আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন্দরনগরীতে ‘মৌসুমী রিকশাচালক’

পরে রিকশাচালক আলাউদ্দিন স্বীকার করেন, তিনি কাজীর দেউড়ি  চেনেন না। পরে ১৫ টাকা ভাড়াতেই তিনি যেতে রাজি হন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান করিম।
আলমগীর নামের আরেক রিকশাচালক নিউ মার্কেট থেকে সিটি কলেজ যেতে ১০ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা ভাড়া দাবি করেন। পরে আলমগীরও জানান, তিনি জায়গা চেনেন না।
রমজানে চট্টগ্রাম নগরীতে হঠাৎ রিকশা চালকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় অনেককে।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব চালকদের অধিকাংশই নগরীতে নতুন এসেছেন। যারা স্থায়ী রিকশাচালক নন।
চালক আলাউদ্দিন নীলফামারী থেকে আর আলমগীর এসেছেন গাইবান্ধা থেকে। প্রতি বছর রমজান মাসে বাড়তি আয়ের আশায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বন্দর নগরীতে  আসেন তাদের মতো অনেকেই।
এদের অধিকাংশই গ্রামে কৃষিকাজ বা দিনমজুরের কাজ করেন, ঈদকে সামনে রেখে বাড়তি কিছু আয়ের আশায় নগরীতে রিকশা চালাতে এসেছেন।

ঈদ শেষে আবার বাড়ি ফিরে যাবেন।
সিটি রিকশা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতিবছর রমজানে নগরীতে অতিরিক্ত আট থেকে ১০ হাজার রিকশা চালক আসে। আবার ঈদ শেষে চলে যায়।
এদের বেশিরভাগই আসে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে।  
নগরীর কোতোয়ালি মোড়ে কথা হয় চালক জহিরের সঙ্গে।

তিনি গত ১৫ জুলাই নেত্রকোনা থেকে চট্টগ্রামে আসেন।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী জসিম তিন বছর আগে রমজানে চট্টগ্রাম এসে রিকশা চালাতে শুরু করে। এখন চট্টগ্রামেই তিনি স্থায়ী।
“তার পরামর্শেই প্রথমবারের মত আমিও এলাম,” বলেন জহির।  
রতন নামে নেয়াখালী থেকে আসা আরেক রিকশাচালক বলেন, “চট্টগ্রামে রিকশা চালালে রোজগার বেশি।

অন্য জায়গায় তেমন রোজগার নাই। ”
সালাম নামে এক রিকশাচালক বলেন, “আগে ঢাকায় রিকশা চালাতাম। সেখানে পুলিশ সব রাস্তায় রিকশা চালাতে দেয় না। চট্টগ্রামে সব দিকে রিকশা চালানো যায়। কোনো সমস্যা নেই।


তিনি জানান, রিকশা চালিয়ে দিনে সব খরচ বাদে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা হাতে থাকে।  
রিকশামালিক মোস্তফা কামাল বলেন, সাধারণ সময়ে গ্যারেজগুলোতে বেশকিছু রিকশা ভাড়া হয় না। কিন্তু রোজার মাসে প্রতিটি গ্যারেজের সব রিকশা ভাড়া হয়ে যায়।
“অপরিচিত চালকদের রিকশা ভাড়া দিই বিশ্বাসের ওপর বা পরিচিত কোনো রিকশা চালকের জিম্মায়। ”
নগরীতে প্রায় ৩৫ হাজার নিয়মিত রিকশা চালক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রমজানে এর সঙ্গে আরো আট থেকে ১০ হাজার যোগ হয়।


চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, বন্দর নগরীতে যানজটের অন্যতম কারণ হচ্ছে রিকশা।
রমজানে রিকশার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যানজট নিরসন কঠিন হয়ে পড়ে, বলেন তিনি।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.