আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছুটিতে শহরভ্রমণ

ঢাকা চিড়িয়াখানা
মিরপুরে প্রায় ১৮৬ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত ঢাকা চিড়িয়াখানা। রাজধানীর সবচেয়ে জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্রগুলোর একটি। পশুপাখির সমারোহ ছাড়াও এখানকার উন্মুক্ত সবুজ প্রকৃতি বিশেষ করে নাগরিক ক্লান্তিতে হাঁপিয়ে ওঠা ঢাকাবাসীর জন্য বড় পাওনা। এখানে প্রায় ১৯১ প্রজাতির দুই হাজারেরও বেশি পশুপাখি আছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-- বিখ্যাত বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, চিত্রা হরিণ, সাম্বার হরিণ, বানর, হনুমান, লোনা পানির কুমির, ঘড়িয়াল, জিরাফ, জেব্রা, গণ্ডার, ভালুক, জলহস্তী ইত্যাদি।


সোমবার থেকে শনিবার প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চিড়িয়াখানা খোলা থাকে। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ হলেও ওইদিন কোনো সরকারি ছুটি পড়ে গেলে খোলা রাখা হয়। এখানে প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা।
বোটানিক্যাল গার্ডেন
মিরপুর চিড়িয়াখানার পাশেই রয়েছে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বোটানিক্যাল গার্ডেন। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বাগানের আয়তন প্রায় ৮৪ হেক্টর।

ছোটবড় লতাগুল্ম মিলিয়ে দেশি-বিদেশি প্রায় ছয়শ প্রজাতির পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি গাছপালা নিয়ে এই উদ্যান। আরও আছে ক্যাকটাস হাউজ, অর্কিড হাউজ, টিস্যু কালচার রিসার্চ সেন্টার, গোলাপ বাগান ইত্যাদি। পদ্মপুকুর, শাপলাপুকুরসহ ছোটবড় ছয়টি লেক এবং দুটি নার্সারি আছে বোটানিক্যাল গার্ডেনে। উপর থেকে বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আছে দুটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।
মার্চ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যণ্ত সকাল ৯টা বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান।

এখানে বড়দের প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা আর শিশুদের ২ টাকা।
জিয়া শিশুপার্ক
রাজধানী ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত জিয়া শিশুপার্ক। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ শিশুপার্কটির রাইডগুলো বেশ পুরনো হলেও এখনও মধ্যবিত্তদের কাছে এটি খুবই প্রিয়। প্রায় ১৯ একর জায়গাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত এ পার্কে কম খরচে শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা আছে। উল্লেখযোগ্য রাইড হল : মেরি-গো-রাউন্ড, জেট বিমান, টয়ট্রেন ইত্যাদি।


সোমবার থেকে শনিবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা (অক্টোবর থেকে মার্চ) এবং দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা (এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর) খোলা থাকে এ শিশুপার্ক। তবে শুধু বুধবার দুপুর দেড়টা থেকে ৪টা পর্যন্ত দুস্থ ও ছিন্নমূল শিশুদের জন্য বিনামূল্যে শিশুপার্ক উপভোগ করতে দেওয়া হয়। সাপ্তাহিক ছুটি রোববার। এখানে প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৮ টাকা। এছাড়া প্রতিটি রাইডে চড়তে জনপ্রতি ৬ টাকার বাড়তি টিকেট কিনতে হয়।


বলধা গার্ডেন
ঢাকার ওয়ারী এলাকায় ১৯০৯ সালে ভাওয়াল জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বলধা গার্ডেনে এলে এর শতবর্ষী বৃক্ষের সুশীতল ছায়া প্রাণ জুড়াবে সবার। বলধার দুটি অংশ, সিবলি ও সাইকি। ৮শ’ প্রজাতির প্রায় ১৮ হাজার গাছপালা আছে এখানে। সিবলি অংশে সূর্যঘড়ি এবং শঙ্খনদ পুকুর আজও সবার মন কাড়ে। সাইকি অংশের প্রধান আকর্ষণ পদ্ম, বিভিন্ন রকম লিলি আর অর্কিড।

বলধা গার্ডেনে জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ ১৯২৫ সালে দুর্লভ সংগ্রহ নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন বলধা জাদুঘর। তবে তার মৃত্যুর পরে জাদুঘরটির মৃত্যু ঘটে। বলধা সংগ্রশালার সব নিদর্শনের ঠিকানা হয় বর্তমান জাতীয় জাদুঘর। এসব সংগ্রহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নবাব সিরাজউদ্দৌলাহ এবং টিপু সুলতানের তরবারি। সিরাজউদ্দৌলাহর গালিচা ইত্যাদি।


 প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা (মার্চ থেকে নভেম্বর) এবং সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা (ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি) খোলা থাকে বলধা গার্ডেন। এখানে প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা।
আহসান মঞ্জিল
বুড়িগঙ্গার তীরে ঢাকার নওয়াবদের বাসস্থান আহসান মঞ্জিল। যা এখন জাদুঘর। সর্বমোট ২৩টি গ্যালারিতে দেখা যাবে আহসান মঞ্জিলের নানান ইতিহাস, নবাবি খাবার ঘর, নবাবদের ব্যবহৃত কাচ ও চিনা মাটির নানান দ্রব্য সামগ্রী, ঢাল, তলোয়ারসহ বিভিন্ন অস্ত্র।

সিঁড়িঘর, ত্রিশের দশকে ঢাকার হাসপাতালে ব্যবহৃত ডাক্তারি সরঞ্জামাদি, ঢাকার নবাবদের প্রতিকৃতি, নবাবদের ব্যবহৃত সিন্দুক, গ্রন্থাগার, শয়ন কক্ষ, বৈঠকখানা, নাচঘরসহ আরও অনেক কিছু।
আহসান মঞ্জিল জাদুঘর খোলা থাকে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। অক্টোবর থেকে মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। শুক্রবার খোলা থাকে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার এবং অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনে জাদুঘরটি বন্ধ থাকে।

প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা।
লালবাগ দুর্গ
১৬৭৮ সালে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের ছেলে শাহজাদা আজম লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কাজ শুরু করার পর তিনি দিল্লি চলে গেলে নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত থেকে যায়। এর পরে শায়েস্তা খাঁ এসে আবার দুর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করে শেষ করেন ১৪৮৪ সালে।
লালবাগ দুর্গের ভেতরে রয়েছে তিনটি মূল্যবান পুরাকীর্তি।

আজও হাজার দর্শনার্থীর হৃদয় কাড়ে। পরীবিবির মাজার, দরবার হল ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ-- এ তিন স্থাপনা আর চারপাশে বিশাল খোলা চত্বরের চারদিকে উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। দুর্গে প্রবেশের জন্য অতীতে ছিল চারটি ফটক।
দক্ষিণেরটি ছিল প্রধান দরজা। এর ফটকের সামান্য উত্তরে ছিল একটি গুপ্ত পথ।

বর্তমানে যা পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। ধারণা করা হয়, এ গুপ্তপথ দিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনাকান্দা দুর্গের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হত।
দক্ষিণ ফটক দিয়ে উত্তরের ফটকে যাওয়ার মাঝে রয়েছে চারকোনাকৃতির একটি পুকুর। সিপাহি বিপ্লবে নিহত এ অঞ্চলের সৈন্যদের লাশ এখানে ফেলা হত বলে কাহিনি প্রচলিত আছে।
পুকুরের পশ্চিম পাশেই রয়েছে দুর্গের দরবার হল।

এর নিচতলায় আছে একটি হাম্মামখানা। অনেকে মনে করে শায়েস্তা খাঁ এই ঘরে বাস করতেন। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এ জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে মুঘল আমলের নানান নিদর্শন যেমন মুদ্রা, অস্ত্রসস্ত্র, হাতে লেখা কোরান শরিফ, তৈজসপত্র ইত্যাদি। দরবার হল থেকে কিছুটা পশ্চিম দিকেই পরীবিবির মাজার।

হিন্দু ও মুসলিম স্থাপত্যের সংমিশ্রণ রয়েছে এ স্থাপনাটিতে। মূল্যবান মার্বেল পাথর, কষ্টি পাথর, বিভিন্ন ফুল আর পাতার নকশা করা টালি দিয়ে মাজারের ৯টি ঘর সাজানো রয়েছে। ছাদ কষ্টিপাথরের তৈরি।
লালবাগ দুর্গে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।


দুপুর ১টা থেকে চলে ত্রিশ মিনিটের মধ্যাহ্ন বিরতি। শুক্রবারে মধ্যাহ্ন বিরতি থাকে সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত। রোববার পূর্ণ দিবস,  সোমবার অর্ধ দিবস এবং সব সরকারি ছুটির দিনগুলোতে লালবাগ দুর্গ বন্ধ থাকে। এখানে প্রবেশমূল্য ১০ টাকা।
ফ্যান্টাসি কিংডম
আশুলিয়ার জামগড়ায় গড়ে উঠেছে বিশ্বের আধুনিক সব রাইড নিয়ে বিনোদন কেন্দ্র ফ্যান্টাসি কিংডম।

রোলার কোস্টার, শান্তা মারিয়া, ম্যাজিক কার্পেটসহ আনন্দদায়ক ও রোমাঞ্চকর বেশ কিছু রাইড আছে এখানে। সর্বশেষ সংযোজন জলের রাজ্যে বেড়ানোর মজাদার আর রোমাঞ্চকরসব রাইডসমেত ওয়াটার কিংডম।
মজার মজার ১১টি রাইড ছাড়াও রয়েছে বেড়ানোর অনেক জায়গা। কৃত্রিম সমুদ্র সৈকত ওয়েবপুল, যাবেস্লাইড ওয়ার্ল্ড, টিউব স্লাইড, ফ্যামিলি পুল, মাল্টি স্লাইড, লেজি রিভার, ওয়াটার ফল, ডুম স্লাইড, লস্ট কিংডম, প্লে জোন ইত্যাদি।
ওয়াটার কিংডম প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বছরের সব দিনই খোলা থাকে।


হেরিটেজ পার্ক
ফ্যান্টাসি কিংডমের পাশেই হেরিটেজ পার্কে আছে ঐতিহ্যের পরিপূর্ণ ভান্ডার। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর অধিকাংশই চোখে পড়বে এখানে। মূল স্থাপনার অবিকল আদলেই তৈরি করা হয়েছে হেরিটেজ পার্কে।
নন্দন পার্ক
সাভারের অদূরে চন্দ্রার বাড়ই পাড়ায় রয়েছে এই পার্ক। এখানকার ড্রাই জোনে মজাদার বেশ কিছু রাইড থাকলেও এর মূল আকর্ষণ ওয়াটার ওয়ার্ল্ড।

রাইডগুলো হল-- ওয়েবপুল, ওয়েব রানার, ফ্যামিলি কার্ভ স্লাইড, ওয়াটার ফান প্লাজা, ডুম স্লাইড, মাল্টি প্লে জোন ইত্যাদি।
প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
ফয়েজ লেক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম শহরের মাঝখানেই সবুজে ঘেরা ৩৩৬ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত নগরীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ফয়’স লেক। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আঁকাবাঁকা এই লেকের আশপাশে নানান রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে সার্কাস সুইং, বাম্পার কার, বাম্পার বোট, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, জায়ান্ট ফেরিস হুইল, ড্রাই স্লাইড, ফ্যামিলি ট্রেইন, প্যাডেল বোট, পাইরেট শিপের মতো বিশ্বের আধুনিক অ্যামিউজমেন্ট পার্কের সব রাইড।


অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ডের উত্তরে একটু উপরে উঠলেই মূল ফয়’স লেক। দুপাশে সবুজে ঘেরা উঁচু পাহাড়। লেকে ভ্রমণেরও নানান আয়োজন আছে। নানান আকারের ইঞ্জিন চালিত ফাইবার-বোট, স্পিড-বোটসহ আছে এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী নৌকা ও সাম্পান। আধা ঘণ্টা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়াদে লেকে ভ্রমণ করা যায়।


ফয়’স লেকের একপ্রান্তে গড়ে তোলা হয়েছে জলের রোমাঞ্চকর এক রাজ্য। শহরের সিটি গেইট সংলগ্ন সড়ক দিয়ে গেলে সরাসরি প্রবেশ করা যাবে সি-ওয়ার্ল্ডে। তবে মূল প্রবেশ পথে সি-ওয়ার্ল্ডে গেলে লেকের গোড়া থেকে চড়তে হবে ইঞ্জিন নৌকায়। সি-ওয়ার্ল্ডের টিকেট কিনলেই নৌকাযোগে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে।
ইঞ্জিন নৌকায় চড়ে লেকের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে দশ মিনিটে পৌঁছে দেবে সি-ওয়ার্ল্ডের দুয়ারে।

জলের রাজ্যে বেড়ানোর মজার আর রোমাঞ্চকর সব রাইডে সমৃদ্ধ এ জায়গাটি।
চিলড্রেন পুলে শিশুদের পানিতে খেলার জন্য আছে অনেকগুলো রাইড। এছাড়া কৃত্রিম সমুদ্র সৈকত  ‘ওয়েবপুল’ও আছে এখানে।
ঈদের দিন থেকে পরের ১০ দিন দর্শনার্থীদের জন্য নানান আয়োজন থাকবে ফয়েজ লেকে। প্রতিদিন গেম শো ছাড়াও ১৬ অগাস্ট থাকবে নগর বাউল জেমস্‌, রিংকু, নিশিতা বড়ুয়ার কনসার্ট।


পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ প্রান্তের সৈকতটির নাম পতেঙ্গা। এটি বন্দরনগরীর সবচেয়ে পর্যটকপ্রিয় ভ্রমণ স্থান। শাহ আমানত বিমান বন্দরের কাছেই এ সৈকত। শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২২ কিলোমিটার।
এখানে দাঁড়িয়ে বন্দরের বহির্নোঙ্গরে অপেক্ষমান জাহাগুলো দেখা যায়।

সন্ধ্যার পর সেগুলোকে মনে হয় সমুদ্রের মাঝে একটি আলো ঝলমলে শহর। পতেঙ্গা সৈকতে সূর্যাস্তের দৃশ্যও দেখা যায় ভালোভাবে।
শহর থেকে বন্দর রোড ধরে গেলে নতুন এয়ারপোর্ট এলাকাটিও ঘুরে দেখে আসতে পারেন। এয়ারপোর্টের সামনে কর্ণফুলী নদীর দৃশ্যটিও মনোহর।
বাটারফ্লাই পার্ক, চট্টগ্রাম
পতেঙ্গার শাহ আমানত বিমান বন্দরের পাশেই এই পার্ক।

সামনে রঙিন প্রজাপতির ছবিতে মোড়ানো দেয়ালের ভেতরে লোহার জালে তৈরি বিশাল খাচায় প্রজাপতির জগত।
ছোট্ট জলধারার চারপাশে নানা রকম গাছপালা। বেশিরভাগই বনফুল। গাছের ছায়ায় ছায়ায় ট্রেতে খাবার দেওয়া। এরই মাঝে রং বাহারি সব প্রজাপতির ওড়াউড়ি।

একেক গাছে, ফুলে একেক রকম প্রজাপতি। কোনো কোনো গাছের পাতায় দেখা যাবে শুককীট। যা থেকেই আসলে প্রজাপতির জন্ম। গাছের ছায়ায় বসার চেয়ারগুলোও প্রজাপতির আদলে তৈরি।
এখানে একটি প্রজাপতি জাদুঘরও আছে।

ভেতরের দেয়ালে কাচে ঘেরা বাক্সে সাজিয়ে রাখা আছে নানান প্রজাতির প্রজাপতি। এখানে যেসব প্রজাপতি মারা গেছে, সেগুলো ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মৃত প্রজাপতিগুলো সংগ্রহ করে এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সপ্তাহের প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা খোলা থাকে বাটারফ্লাই পার্ক। এখানে প্রবেশ মূল্য বড়দের ১শ’ টাকা ও ছোটদের ৫০ টাকা।
আলোকচিত্র: লেখক


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।