আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি বিবর্তনবাদী মামলা বাদীঃ 2nd law of Thermodynamics বিবাদীঃ বিবর্তনবাদী ছাগ্নাস্তিকসমূহ পর্বঃ ৩য় / শেষখানা

অনেকগুলো পোস্ট ড্রাফটে নিলাম বিশেষ কারণে

গত পর্বের কমেন্ট পড়ে মনে হয়েছে সাধারণ ব্লগাররা আমার চেয়ে অনেক জ্ঞানী এবং এই সিরিজের ব্যাপারে তাদের আগ্রহ কম। তাই তড়িঘড়ি শেষ করে দিলাম , বিশদ ব্যাখ্যা না করে কেবল আমার যুক্তিগুলো দিলাম । তবে যুক্তিবান মানুষ মাত্রই স্বীকার করবেন এককোষী জীবাণু থেকে আমাদের মানবদেহ অনেক জটিল । অর্থাৎ বিশৃংখল অবস্থা থেকে সুশৃংখল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে- বিবর্তনবাদ এর আলোকে এমন মন্তব্য করাই যায়। মানুষের সংবহনতন্ত্র, মস্তিষ্কের গঠন, শারীরিক কাঠামো নিঃসন্দেহে একটি গরু,ছাগল,তেলাপোকার চেয়ে overall উন্নত।

এখন প্রমাণিত ও প্রচলিত নিয়মে (পড়ুন তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র মতে যা এখানে জৈব সিস্টেমের জন্য প্রয়োগ করতে চাই আর তার কারণ আগেই বলেছি যে , বিশৃংখলা হিরন্ময়) এটা তখনি ঘটবে যখন কোন external force সিস্টেমের উপর কিছু ‘ কাজ ’ করবে (mechanical work আরকি)। কিন্তু সেই external force কি, কে বা কারা ?????? প্রথমেই ধরে নিলাম , আল্লাহ বা ঈশ্বর নামক কোন স্বত্তা ‘ এমিবা ’কে বিবর্তনের ধাপে ধাপে মানুষ করেননি (তাহলে বিবর্তনবাদ এর মুল উদ্দেশ্য ব্যহত হয় )। তাহলে নিশ্চয়ই কোন ক্ষমতাবান মহাশক্তি এই পৃথিবীতে বিবর্তন এর ক্ষেত্রে প্রভাব খাটিয়েছে(ভীনগ্রহের এলিয়েন আরকি !!! )। ফলে আমরা বলতে পারি আমাদের চেয়েও উন্নত এক জীবের দ্বারা এই কাজটি সুসম্পন্ন হয়েছে। আমরা আসলে এক ধরনের ক্ষমতাবান সত্ত্বার অস্তিত্ব স্বীকার করছি।

তারা কোন উপায়ে এতটা জ্ঞান বা সক্ষমতা অর্জন করল এই প্রশ্ন করলে চক্রপ্রশ্নের (loop) উদ্ভব ঘটে (তাদের বিবর্তন কেমনে হইল এইসব আরকি …… )। অতএব , ব্লগার তার সীমিত জ্ঞানের নিরিখে তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র দিয়ে বিবর্তনবাদ কে ব্যাখ্যায় সীমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন –এমন সিদ্ধান্ত আপনি টানতে চাইলে আমি প্রতিবাদ করবো না বলেই মনে হয়। কারো আপত্তি বা সংযোজন বা গালিগালাজ সাদরে গৃহীত হবে। রাতে সব কমেন্টের জবাব দেয়ার আশা রাখি। আগের পর্ব ১ম পর্ব ২য় পর্ব ।

দুটি প্রাসংগিক কমেন্ট পোস্টের সাথে যুক্ত করা হল ...। আমি কেউ না বলেছেন: The basic elements of the model behind the theory of evolution remain: Change over long periods of time: entities/organisms change over time. These changes are random and are only based on pure chance. Natural Selection: positive changes strengthen the organism and increase its chances for survival. Therefore (random) positive changes will be preserved and even favored over the original organism. The only forces at work are random (chance) and (long periods of) time: evolution is completely controlled by natural processes and the natural environment. There is no controlling power or other influence. এইবার আসেন মুল কথায়... ১। বিগ ব্যাং এর মতো একখানা বিগ ব্যাং হইলো, মাগার শুরু হইলো বিশাল এক আন্ডা থেইকা... সেই আন্ডা থেইকা সব কিছু পয়দা হইলো!!! এত্তো নিখুত ভাবে!!! ২। ল্যাবে একটা নতুন ওষুধ বানাইতে ঝামেলা কেমন কোনো ধারনা আছে? হাজার চেষ্টার পর ক্যামিকেল কম্বিনেশনটা মানব দেহের চাহিদা মতো পাওয়া যায়, বাকি প্রায় সব ক্ষেত্রেই পাওয়া যায় বিষ ... দুনিয়ার এতো এতো অরগানিক মালের সব ন্যাচারাল সিলেকশনে এমন স্টেবল অবস্থায় আছে!!! ৩। “To us, the signal is so strong that even at this time, it appears that earth indeed may be extraordinarily rare.” (Evolutionary astronomers Peter D. Ward and Donald Brownlee , Rare Earth (2000), chapter 12) ৪।

আপনার কি মনে হয়? র‌্যান্ডম ভাবে একটা complex building blocks of the simplest living cell – proteins, DNA পয়দা হওয়ার চান্স কতোটুকু? ৫। কোনো পজেটিভ মিউটেশন দেখাতে পারবেন? মানুষের মিউটেশনগুলোকে আমরা বলি birth defects.’ People today suffer from more than 4,000 disorders caused by gene mutations. আমরা x-man এর দুনিয়ায় বাস করি না যে যা বুঝার - বুইঝা লন জবাবে দুরের পাখি বলেছেন: ওক্কে , এইবার প্রশ্ন যেহেতু কিলিয়ার আসেন আনসার দেখি । ১ . পুরা মহাবিশ্ব বলতে একটা হাইপোথেটিক্যাল প্লেস বুঝানো হয়, যেটা একটা বদ্ধ সিস্টেম । যেটা কোনভাবেই প্রমাণ করা সম্ভব না । অনেকটা ইনফিনিটির মত ।

অর্থাৎ যদি ধরেন মহাবিশ্বের এমন কোন বিচ্ছিন্ন সীমারেখা আছে যার বাইরের সাথে ভিতরের কোন সম্পর্ক নাই অর্থাৎ কোনরকম শক্তির দেয়া নেয়া নাই, তাইলেই ঐ সিস্টেমের জন্য এনট্রপি হয় বাড়বে অথবা স্থির থাকবে , কখনোই কমবে না । এখন তাইলে বুঝতে পারতেছেন পৃথিবীতে প্রাণের উম্নেষ বা অর্ডার ডিজঅর্ডার এর সাথে এই হাইপোথেটিক্যাল মহাবিশ্বের এনট্রপির কোন সম্পর্ক নাই । ২. এক লম্বরের সাথে সম্পর্কিত , তাও একটু বিস্তারিত বলি । ছোটকালে হয়ত ভূগোলে একটা জিনিস পড়ে থাকবেন সমুদ্র বায়ু । এইটা প্রবাহিত হয় কারণ, পানি এবং মাটির তাপধারণ ক্ষমতা সমান না ।

অর্থাৎ একই পরিমাণ তাপ পাইলেও পানির তাপমাত্রা মাটির মত বাড়ে না । উল্টা দিকেও তাই । অর্তাৎ সমান পরিমাণ তাপমাত্রা কমানোর জন্য পানি মাটির চাইতে বেশি তাপ হারাইতে হবে । এইটার ফলে সমুদ্র তীরের জায়গাগুলাতে কি হইতাছে ? রাতে যখন সূর্যের তাপ থাকতাছে না তখন মাটির তাপমাত্রা কমতাছে দ্রুত পানিরটা ধীরে । রাত বাড়তে বাড়তে একসময় হয়তো সমান হইতেছে ।

ইয়েস, এনট্রপি বাড়তাছে । কারণ তাপমাত্রা পার্থক্য ব্যবহারযোগ্য শক্তির পরিমাণের সাথে সম্পর্কিত । কিন্তু পরেরদিন যখন সূর্য উঠতাছে , তখন কি হইতেছে ? পানি আর মাটির মধ্যে আবার তাপমাত্রার পার্থক্য তৈরী হইতাছে । অর্থাৎ ব্যবহারযোগ্য শক্তির পরিমাণ বাড়তেছে । অর্থাৎ এনট্রপ কমতেছে ।

এই কমানির জন্য বহিরাগত শক্তি আসতেছে সূর্য থেকে । এবং এই বহিরাগত শক্তিই সিস্টেমের উপর কাজ করতেছে । কিভাবে ? রাইতে পানির তাপমাত্রা বেশি বইলা তার উপরের বাতাস পাতলা হইয়া উইঠা যাইতাছে , সেই জায়গায় স্থল থাইকা ঠান্ডা বাতাস আসতেছে । এবং দিনের এর উল্টাটা । আশা করি এইবার বুঝতে পারতেছেন , থার্মোডিনামিক্সের এনট্রপির সাথে পৃথিবীর অর্ডার ডিজঅর্ডারের কোন সম্পর্ক নাই ।

কারণ পৃথিবী একটা ওপেন সিস্টেম । এইবার ১১ নাম্বার মন্তব্যের কথায় আসি (যদিও নিশ্চিত না এইটা আমারে করছেন কিনা) আপনার ১-৪ নাম্বার পয়েন্ট বিবর্তনবাদের আলোচনায় পুরাপুরি অর্থহীন, সম্পর্কহীন । ঐটা পদার্থবিদ্যার আলোচনা এবং কেমেস্ট্রির আলোচনা । এবং আমাদের জ্ঞান এইটা নিয়া এখনো অসম্পূর্ণ । বিবর্তনবাদ আলোচনা করে কেবল এককোষী জীব থেকে বর্তমানের জটিল বহুকোষী বহুঅঙ্গী জীবের রুপান্তর নিয়া ।

প্রথম এককোষীটা ক্যামনে আইলো, কৈত্থাইকা আইলো এইটা নিয়া কেমিস্টরা অনেক কাজ করতাছে এবং এখনো কোন শতভাগ সঠিক উত্তর নিয়া আসতে পারে নাই । এবং প্রথম কোষটা আল্লাহ বানাইছে বা বিগ ব্যাং আল্লায় ফু দিয়া তৈরী করছে এইটারে পুরা সত্য ধরলেও বিবর্তনবাদের উপর কোন ইফেক্ট নাই । যেমন আপনে তরকারী ফ্রিজে না রাইখা পচাইয়া খাইছেন, তাতে পেট খারাপ হইবো , এর সাথে ঐ তরকারী কোন চাষা উৎপাদন করছে , কোন মার্কেট থাইকা কিনছেন, দাম কত দিছেন এইসবের সাথে কোন সম্পর্ক নাই । আপানর ৫ নম্বর পয়েন্টটা অত্যন্ত ভ্যালিড এবং যৌক্তিক একটি প্রশ্ন । বিবর্তনবাদীরা এইটা নিয়া সিরিয়াস সমস্যায় আছে ।

পজিটিভ মিউটেশন কিছু কিছু ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায় । যারা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যায়, মিউটেশনের মাধ্যমে । কিন্তু এর পরের কোন লেভেলের জন্য এখন পর্যন্ত পজেটিভ মিউটেশনের কেস পাওয়া যায় নাই । এইটা নিয়া আমিও ওয়েট করতেছি , দেখা যাক কেউ কিছু নিয়া আসতে পারে কিনা ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.