আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুদ্ধিদীপ্ত প্রাণী -২



ওরাংওটাং চালাকিতে মানুষের পরপর অনেকে ওরাংওটাংকে রাখতে চান। ফিচলে বুদ্ধিতে এ গেছো প্রাণীটার জুড়ি নেই। খাঁচায় পুরে রাখা হলে সব সময় বের হওয়ার মতলব খোঁজে, এমনকি চারপাশে হাতড়ে ছোটখাটো যন্ত্রও বানিয়ে ফেলে। তারপর মওকা বুঝে এক্কেবারে পগার পার। এ জন্য খাঁচা বানানোর পর তা জীবজন্তু আটকে রাখার জন্য যথেষ্ট হলো কি না সেটা পরীক্ষা করে দেখতে চিড়িয়াখানার লোকরা ওরাংওটাংয়ের সাহায্য নেন।

ওটাকে খাঁচায় বন্দি করে অপেক্ষা করেন। ওরাংওটাং ব্যর্থ হলে বাকি প্রাণীদের জন্য যে খাঁচাটি নিরাপদ তা আর বলে দিতে হবে না! অপোসাম অপোসাম বিড়াল আকৃতির ক্ষুদ্র জন্তু। রাতের আঁধারে আমেরিকার গাছে গাছে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। বিপদ টের পেলে উদ্ধার পাওয়ার এক অভিনব উপায় অবলম্বন করে এটি। সামনে শিকারি দেখলে চোখমুখ উল্টে, জিভ বের করে মরার ভান করে পড়ে থাকে।

মুখ দিয়ে সবুজ লালা বের হতে থাকে। আর উৎকট গন্ধে কেউ ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না। এভাবে তুখোড় অভিনেতার মতো পার করে দিতে পারে ঘণ্টা চারেক। খোঁচা দিলেও নড়াচড়া করে না। হঠাৎ জেগে উঠে আশপাশে নজর বুলিয়ে এক ছুটে পালায় নিরাপদ আশ্রয়ে।

হনুমান বানর গোত্রীয় চতুর প্রাণী হনুমান চুরিবিদ্যায় পারদর্শী। একটা হনুমান এনে বাসাবাড়িতে ছেড়ে দিলে খাবার, জামা, এমনকি মাথা থেকে টুপি, চোখ থেকে চশমা খুলে কোথায় যে লুকাবে, হাজার খুঁজেও হদিস মিলবে না। তাদের এ গুণকে(!) কাজে লাগিয়ে কখনো কখনো মানুষ প্রশিক্ষণ দিয়ে পেশাদার চোরে পরিণত করে। তখন চুরি বা পকেট মারার হেন কাজ নেই যা সে করতে না পারে। বনের হনুমানের সঙ্গে চিত্রল হরিণের দারুণ দোস্তি।

বন্ধুর জন্য মগডাল থেকে ফল পেড়ে নিচে ফেলে ও শত্রু সম্পর্কে আগে থেকে সতর্ক করে হনুমান। (সংগ্রহ)


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.