আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কক্সবাজার জেলার পেকুয়ায় অনলাইন রেডিও প্রোগ্রাম উদ্ভাবনকারী যুবক পলাশ দেবনাথকে শুভেচ্ছা



গত দুই দিন ধরে সংবাদপত্রের মফস্বল পাতায় একটি সংবাদ দেখে খুব আনন্দিত হলাম। খবরটির শিরোনাম হচ্ছে, 'পেকুয়ায় এক যুবক চালু করলেন অনলাইন রেডিও প্রোগ্রাম'। পেকুয়া উপজেলায় পলাশ নামের এক প্রতিভাবান যুবক এবার নিয়ে এলো মোবাইলে ইন্টারনেট রেডিও সার্ভিস শোনার দারুণ সুযোগ। খুব শিগগিরই ইন্টারনেট রেডিওটির আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। পেকুয়ায় চলতি মাস থেকে বিভিন্নম্ন এফএম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হবে।

রেডিওটি উদ্ভাবন করেছেন সম্ভাবনাময় যুবক পেকুয়ার পলাশ। রেডিও সার্ভিস ওয়েবসাইট সম্প্রচার সম্পর্কে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএএইচ হুমায়ুন কবির আমার দেশকে জানান, এই ব্যবস্থা জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছানোর জন্য অধিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে। তিনি আরও জানান, আমাদের দেশের রেডিও অনুষ্ঠানগুলো সাধারণত প্রবাসীরা শুনতে পান না। তাদের কথা চিন্তা করেই রেডিও সম্প্রচার যাত্রা শুরু করেছে পলাশ। ইন্টারনেট রেডিও চালুর ব্যাপারে পলাশের মূল টার্গেট হচ্ছে প্রবাসীরা।

এতে তারা দেশীয় সংস্কৃতিতে ঘটমান নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাছাড়াও এই সার্ভিস সম্প্র্রচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি সব রেডিও চ্যানেলের অনুষ্ঠান মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ব্যবহারকারীরা শুনতে পারবেন। তিনি জানান, রেডিও ঢাকা, রেডিও গুনগুন, রেডিও সবুজ, রেডিও ফুর্তি, রেডিও আপন, রেডিও টু ফান বিবিসি ওয়ার্ল্ড, বিবিসি বাংলাসহ আরও অনেক চ্যানেল বাংলাদেশ, আমেরিকা, কানাডা, দুবাই, ইরান, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরবসহ প্রায় ১৯০টিরও বেশি দেশের ২০ হাজারেরও বেশি চ্যানেল এফএম রেডিও প্রোগ্রাম অগণিত দর্শক-শ্রোতা উপভোগ করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তির এই সুযোগ-সুবিধা উপভোগকারী বেশ কয়জনের সঙ্গে আলাপ করে তার এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে। আরও তথ্য ওয়েবসাইট মোবাইল +৮৮ ০১৯১১-৭৩৯৯০৭ নম্বরে জানা যাবে।

এই যুবকের পুরো নাম পলাশ দেবনাথ, বাবা ফনিন্দ্রলাল নাথ। তার বাড়ি উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের নাথপাড়া কান্ত বৈদ্যরবাড়ি। পলাশ তার উদ্ভাবিত প্রযুক্তির বিকাশ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে পৃষ্ঠপোষকতার আবেদন জানিয়েছেন। আমি যখন পলাশ দেবনাথের সাথে কথা বললাম তখন উনি তাঁর স্বপ্নের কথা আমাকে জানাল। একসময় উনার ইচ্ছা ছিল বিদেশের মাটিতে গিয়ে কাজ করা।

কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয় নি। উনি আগামী ২৩ তারিখ ঢাকা আসবেন। দেখাও করবেন বলে আমাকে জানালেন। বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা বিশ্বের উন্নতশীল রাষ্ট্রে গিয়ে নতুন নতুন যন্ত্র আবিষ্কার করে। কিন্তু বাংলাদেশে থেকে কেন পারে না? এটা সবাই জানে।

কারণ, এ দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহযোগিতার অভাব এবং এসব কাজকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় অনেক তরুণ নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে পারে না। অথচ খুব দুঃখ হয়। আমাদের দেশের বড় বড় নেতা, শিল্পপতী এবং ব্যবসায়ীরা নেতা-নেত্রীকে খুশি করার জন্য কোটি কোটি টাকার পোস্টারিং করে। অথচ প্রতিভাবান ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে না। হায়রে আমার দেশের অপদার্থ জাগ্রত বিবেক।

কি আর বলার আছে। খুব কষ্ট লাগে। আপনারা অনেক প্রবাসী আছেন। যারা প্রবাসে গিয়ে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছেন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে। রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে চাঙ্গা করার জন্য অবদান রাখছেন।

অথচ এ দেশের সরকার আপনাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আপনারা দেশপ্রেমের কারণে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। আশা করি এ তরুণ প্রতিভাবান পলাশ দেবনাথের কাজকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন। মনে রাখবেন এ অনলাইন রেডিও আপনাদের কল্যাণে অবদান রাখবে। সর্বশেষে রইল পলাশ দেবনাথের প্রতি অভিনন্দন।

পলাশ দেবনাথ আপনি এগিয়ে যান বাংলার অসংখ্য দেশ প্রেমিক মানুষ আপনার পাশে থাকবে। জয়তু পলাশ দেবনাথ। .....................

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।