আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভিনদেশে নিজ দেশের পতাকা উরতে দেখলে কি মজাই না লাগে!!!

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/

প্রথমে তিনটি দুঃখের কথা বলি যাতে করে আনন্দের খবরে বেশি আনন্দ পাওয়া যায়। ১ম) বাংলাদেশ এমবাসি অফ ইজিপ্ট। মোটামোটি বড় সড় একটি এ্যাম্বাসি। এই এ্যাম্বাসি থেকে আবার কয়েকটা দেশের কাজ করা হয়।

সাইপ্রাস, ফিলিস্থিন, সুদান, আলজেরিয়া ইত্যাদি। দুঃখের কথা হচ্ছে আমাদের এ্যাম্বাসির ঠিকানা শহজে খুজে পাওয়া যায় না। কাউকে জিজ্ঞেস করলেও বলেদিতে পারে না। এমনকি এ্যামবাসির সামনে দন্ডায়মান পতাকাটাও গাছের আড়ালের কারণে রাস্তায় থেকে দেখা যায় না। মজার ব্যাপার হলো, বিভিন্ন উৎসবে এ্যাম্বাসি থেকে বিশেষ ব্যাক্তিদের ডায়রী উপহার দেয়া হয়।

ঐ ডাইরীর প্রথম দিকে মিশরে অবস্থিত সমস্ত এ্যাম্বাসির ঠিকানা ও ফোন নম্বর দেয়া থাকে, দুঃখের বিষয় হলো সেখানে ও বাংলাদেশ এ্যাম্বাসির ঠিকানা থাকে না। ২য়) কায়রোর বিভিন্ন হোটেলের সামনে বিভিন্ন দেশের পতাকা উরতে দেখা যায়, অতিথিদের আকৃষ্ট করার জন্যে, মাঝে মাঝে ভরতের পতাকাও দেখা যায় কিন্তু আমাদের দেশের পতাকা কোথাও দেখা যায় না। ৩) 'নাদিল অফেদিন' বা 'ফরেন স্টুডেন্টস ক্লাব' এ ২০০৬ এর দিকে একবার আমরা সাংস্কৃতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করলাম। এই ক্লাবে প্রায় ৭০ টি দেশের সদস্য আছে। মুল স্টেজের দুই পাশে সুন্দর সমস্ত দেশের পতাকা আকা আছে।

কিন্তু বাংলাদেশের পতাকা নেই, কিন্তু আামাদের অনুষ্ঠান। অবশেষে দুই রঙের কাগজ কেটে কোন রকমে আমাদের পতাকা বানিয়ে কাজ শেষ করলাম। ------ ভাল লাগলঃ গত ১২ তারিখ হটাৎ কায়রোর মুল স্কায়ার 'তাহরীর স্কায়ারে' (ফ্রিডম স্কয়ার) দেখলাম কয়েকটা পতাকা উরছে। অনেক দুর থেকে লক্ষ করলাম বাংলাদেশর পতাকাও উরছে। হটাৎ করে মনটা যেন আকাশে উরতে লাগল।

ছয় বছরের বেশি বিদেশে আছি, কেনিয়া, সোদান, সাউথ আফ্রিকা ঘুরে আসলাম কিন্তু এই প্রথম স্বাদ পেলাম ভিনদেশে নিজ দেশের পতাকা উরতে দেখে। হোক অযত্নে বাধাঁ এই পতাকা তবুও ত নিজ দেশের।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।