আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বিশ্বস্রষ্টার অস্তিত্ব/ লেখাটি চিন্তাশীল লোকদের হৃদয় নাড়া দিবে

My Name is Md E Mahmud, live in Dhaka, Work at Home

বিশ্ব জগত্‍ পরিচালনায় একজন স্রষ্টার প্রয়োজনীয়তা কতটুকো আধুনিক বিশ্বের জন্য ইহা অতিব গুরত্বপূর্ন একটি বিষয়৷ যুুগে যুগে এই বিষয়টি নিয়েও বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে, মুটামুটিভাবে আমরা এই বিষয়ে তিনটি মন্তব্য দেখতে পাই, ১৷ সবকিছুই প্রাকৃতিক নিয়মের অধিন,তাই অদৃশ্য কোন শক্তির প্রয়োজন নেই ২৷ অদৃশ্য শক্তির প্রয়োজন আছে৷ ৩৷ কোন মন্তব্য নেই৷ এই চিন্তা বিশ্বাসের সঙ্গে যেহেতু কিভাবে বিশ্বজগতের সূচনা হয়েছিল সেই বিষয়টিও এসে যায় তাই উনবিংশ শতাব্দির পূর্ব পর্যন্ত বিশ্বজগতের সূচনা প্রদ্ধতি নিয়েও বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক মতপ্রার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে, তবে বিংশ শতাব্দিতে এসে বিগব্যংগ থীওরির ভিত্তিতে অধিকাংশ বিজ্ঞানী বিশ্বজগতের সূচনাকে একটি মহাবিস্ফোরনের কারন হিসাবে উল্লেখ করেছেন, এই ধারনাটি কতদিন টিকে থাকবে সেটাই এখন প্রশ্ন৷ ডারউইনের বিবর্তনবাদ যেমন বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি, অথচ এই বিবর্তনবাদ নিয়ে পৃথিবীতে কত না হৈ চৈ হয়ে গেল, তখন যেই সমস্ত বিজ্ঞানী এই হৈ চৈ মিছিলে অংশ গ্রহন করেছিলেন তাহারা সবাই পরে হারে হারে আসল সত্যটি এভাবে উপলদ্ধি করতে পেরেছিলেন আহা কত বড় ভুলটাই না হয়ে গেল, মহাবিশ্বের সূচনা প্রকৃয়ার ক্ষেত্রে যেই সমস্ত বিজ্ঞানী এখন বিগব্যংগ থিউরীর নিকট আত্বসমর্পন করেছেন তাদের অবস্থাও একই রকম হয় কিনা কে জানে৷ অনেকে হয়ত বলবে নিউটনের কয়েকটি সুত্র যেহেতু তিন চারশত বত্‍সরেও ভুল প্রমান হয়নি, আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তথ্য যেহেতু বিজ্ঞানীগন মেনে নিয়েছেন সেখানেত বিগব্যংগ থীউরির পক্ষে অসংখ্য বিজ্ঞানী রয়েছেন সুতরাং বিগব্যংগ থীউরি কখনোই ভুল প্রমান হতে পারে না৷ শুনেছি কোন বস্তুর অন্তরর্নিহিত রহস্যের দ্বারোদঘাটনের জন্য অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস নাকি কার্যকারন সুত্রের নিকট আশ্রয় নেয়৷ অথর্াত্‍ তারা বস্তুজগতের অস্তিত্বের জন্য কার্যকারন সুত্রকে অপরিহার্য মনে করে থাকে৷ ইহা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, প্রতি যুগেই চিন্তাশীল ব্যক্তিগনের একটি অংশের মধ্যে মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুর অস্তিত্বের ক্ষেত্রে বিশেষ কোন কারন অনুসন্ধানের তত্‍পরতা পরিলক্ষিত হয়েছে৷ আমার মনে হয় বিজ্ঞানী নিউটন অজানার গহবরে লুকায়িত তিনটি সূত্র কার্যকারন নীতির ভিত্তিতেই আবিস্কার করেছেন৷ নিউটনের সূত্রগুলোকে বিরাটত্বের বৈশিষ্ট দেওয়া হলেও সুত্রগুলো মনোজগতে হটাত্‍ অস্তিত্বলাভ করেছিল প্রকৃতির খুবই সাধারন কিছু ঘটনা থেকে৷ এখানে একটি রহস্যজনক অধ্যায় হল যেই ঘটনাগুলো সংঘটিত হওয়ার ভিত্তিতে তার সুত্রগুলো অজানার অন্ধকার থেকে চিন্তার জগতে প্রবেশ করেছিল সেই সমস্ত ঘটনা পূর্বেও তার দৃষ্টির সম্মুখে বহুবার ঘটেছিল কিন্তু তখন তার মনের গভিরে কোন কিছুই রেখাপাত করেনি ! এই বিষয়টি দ্ধারা প্রমান হয়ে গেল মানুষের চিন্তা শক্তি সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারে না৷ আইনস্টানের আপেক্ষিক তথ্য জানি না কত বত্‍সরের চিন্তার ফসল৷ প্রকৃতির কিছু সাধারন ঘঠনাকে কেন্দ্র করে যেমন নিউটনের সুত্রগুলো হঠাত্‍ চিন্তার জগতে অস্তিত্ব লাভ করেছিল, সেই ক্ষেত্রে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তথ্য মনে হয় না কোন সাধারন ঘটনাকে কেন্দ্র করে হঠাত্‍ চিন্তার সুগভিরে অস্তিত্ব লাভ করেছে৷ তবে আপেক্ষিক তথ্য অস্তিত্ব লাভের পিছনেও কার্যকারন সুত্রের বিদ্যমানতা অ্স্বীকার করার কোন উপায় নেই, আর এই আপেক্ষিক তথ্য বিশ্বপ্রকৃতির রহস্যের দ্ধার কতটুকো উদঘাটন করতে পেরেছে সেটাও আমার জানা নেই, কোন এক সময় আপেক্ষিক তথ্য মানুষের মুখে মুখে থাকলেও বর্তমান সময়ে খুব একটা দৃষ্টিগোচর হয়না৷ কারন সময়ের পরিবর্তনে প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানের নতুন নতুন সূত্র আবিস্কার হচ্ছে, প্রতিনিয়ত বস্তজগতের কোন না কোন রহস্য উদঘাটন হচ্ছে তাই প্রগতিশীল বিশ্বের মানুষ কেন কয়েকটি সূত্রের মধ্যে চিন্তাকে বন্দি রাখবে৷ প্রচলিত কিছু বোধ বিশ্বাস মানুষের প্রতিভাকে এমনিতেই গুটিয়ে দিচ্ছে যেমন বলা হয়ে থাকে নিউটন আর হবেনা, বা আইনস্টাইন আর আসবেনা৷ আক্ষেপের বিষয় হল উক্ত নৈতিবাচক বিশ্বাসগুলো যখন বৈজ্ঞানিক ধ্যান ধারনায় বেড়ে উঠা বালক বালিকাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তখন সংগত কারনেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই বিশ্বাসটি তাদের মনোজগতে দানা বেধে যায়, অতপর যখন এই বিষফোড়াটি অন্তরজগতকে আচ্ছন্ন করে ফেলে তখন সে আর কোনদিন ভাবতেই পারে না সেও যে নিউটন কিংবা আইনস্টাইনের চেয়েও অনেক বড় বিজ্ঞানী হতে পারে৷ আমি মনে করি চিন্তার বিশালতাকে কলুষিত করার জন্য সীমাবদ্ধ একটি বোধ বিশ্বাসই যথেষ্ট৷ অবশেষে যাহা বলতে চাই, শুনেছি আইনস্টাইন নাকি বিশ্ব জগতের জন্য একটি অদৃশ্য শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতেন ! যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে যেই সমস্ত বিজ্ঞানী বিনা বাক্য আপেক্ষিক তথ্য মেনে নিয়েছেন তারা কেন আইনস্টাইনের অদৃশ্য শক্তির প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন ? কেন তারা আইনস্টাইনের নিকট সেই অদৃশ্য শক্তির ব্যাখ্যা চাননি ? কয়েক বত্‍সর পূর্বে কোন একটি পত্রিকায় দেখেছিলাম ভারতে নাকি কিছু বিজ্ঞানীর উপর একটি সমিক্ষা হয়েছিল, প্রশ্ন ছিল জগত স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে, ৩৫ ভাগ বিজ্ঞানী নাকি ইতিবাচক মন্তব্য করেছে আর ৬৫ ভাগ বিজ্ঞানীর মন্তব্য ছিল নৈতিবাচক ! এই ৬৫ ভাগ বিজ্ঞানীকে যদি তাদের দেহের অভান্তরে যেই আত্বা লুকায়িত রয়েছে সেই আত্বার গতি প্রকৃতির উপর প্রশ্ন করা হয় তাহলে তাদের কাছে এই প্রশ্নের কোন উত্তর আছে কি ? যারা নিজের দেহের অভ্যান্তরে লুকায়িত একটি বস্তুর মাত্র ব্যাখ্যা দিতে পারে না তারা নাকি আবার সিদ্ধান্ত দিচ্ছে জগতস্রষ্টা বিদ্যমান না থাকার পক্ষে ! পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং নাকি অবিনশ্বর জগতের পক্ষে তার অভিমত ব্যক্ত করেছেন এবং স্রষ্টার প্রয়োজনীয়তা এক্ষেত্রে অস্বীকার করেছেন ! আবার অনেক বিজ্ঞানীকে দেখা যাচ্ছে নশ্বর জগতের পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করতে৷ এভাবে স্রষ্টা ও সৃষ্টবস্তু নিয়ে পৃর্বে যেমন বিজ্ঞানীদের মধ্যে তুমূল বিতর্ক হয়েছিল এখনও হচ্ছে৷ ভাবতে অবাক হতে হয়, যেখানে দৃশ্যমান জগতের লক্ষ ভাগের একভাগ রহস্য মাত্র এখনও পর্যন্ত উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি সেখানে জগত্‍স্রষ্টার অস্তিত্ব অজানার গহবরে লুকায়িত থাকবে ইহাইত একটি স্বাভাবিক বিষয় ছিল ? স্বাভাবিক একটি বিষয়কে টেনে হিচড়ে অস্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অধিকার বিজ্ঞানীদেরকে দিয়েছে ? বিশ্বপ্রকৃতির সকল রহস্য উদঘাটন করার পর তারা স্রষ্টার দিকে ধাবিত হতে পারে কিংবা স্রষ্টার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলতে পারে৷ তখন তাদের সিদ্ধান্ত যদি নৈতিবাচকও হয় তবুও পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ সেটা মেনে নিবে বলে আমার ধারনা৷ পরিশেষে বলতে চাই, এখন যেই সমস্ত বিজ্ঞানী বিগব্যংগ থিওরীকে বিশ্বজগত্‍ সৃষ্টির কারন হিসাবে উল্লেখ করেছেন অপাত দৃষ্টিতে আমরা এই তথ্যকে যদি সঠিক বলে ধরেও নেই তাহলে এই বিগব্যংগ থিওরী দিয়েই স্রষ্টার অস্তিত্ব এভাবে প্রমান করা যায়, যদি বিশ্বজগত সৃষ্টির লক্ষে কোন এক সময় মহাবিষ্ফোরন ঘটেই থাকে তাহলে অবশ্যই কার্যকারন সূত্রের ভিত্তিতে সংঘটিত হয়েছিল, আর কার্যকারন সূত্রকে বিজ্ঞানীদের অস্বীকৃতি জানানোর কোন উপায় নেই এই জন্য যে, তারাই কার্যকারন সূত্রকে গর্ভেধারন করেছে এবং তারাই এটাকে প্রসব করেছে, তাদেরকে যদি এখন প্রশ্ন করা হয় সেই মহাবিষ্ফোরনে কোন কার্যকারন নীতি সক্রিয় ছিল অথবা সেই মহাবিষ্ফোরন কে ঘঠিয়ে ছিল (যেহেতু কর্তা ব্যতিত ক্রিয়া হয় না) তাহলে তাহারা কি জবাব দিবে ? এখানে এসে তাদের চুপ হয়ে যাওয়া ব্যতিত দ্ধিতিয় কোন পথ আছে বলে মনে হয় না ! আছে কি ? সুতরাং বিশ্বস্রষ্টা যে মহাবিষ্ফোরনের পূর্ব থেকেই ছিলেন ইহাই তার প্রমান৷ Visit us: http://www.bdcareer.tk Visit for online career in Bangladeshবিশ্ব জগত্‍ পরিচালনায় একজন স্রষ্টার প্রয়োজনীয়তা কতটুকো আধুনিক বিশ্বের জন্য ইহা অতিব গুরত্বপূর্ন একটি বিষয়৷ যুুগে যুগে এই বিষয়টি নিয়েও বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে, মুটামুটিভাবে আমরা এই বিষয়ে তিনটি মন্তব্য দেখতে পাই, ১৷ সবকিছুই প্রাকৃতিক নিয়মের অধিন,তাই অদৃশ্য কোন শক্তির প্রয়োজন নেই ২৷ অদৃশ্য শক্তির প্রয়োজন আছে৷ ৩৷ কোন মন্তব্য নেই৷ এই চিন্তা বিশ্বাসের সঙ্গে যেহেতু কিভাবে বিশ্বজগতের সূচনা হয়েছিল সেই বিষয়টিও এসে যায় তাই উনবিংশ শতাব্দির পূর্ব পর্যন্ত বিশ্বজগতের সূচনা প্রদ্ধতি নিয়েও বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক মতপ্রার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে, তবে বিংশ শতাব্দিতে এসে বিগব্যংগ থীওরির ভিত্তিতে অধিকাংশ বিজ্ঞানী বিশ্বজগতের সূচনাকে একটি মহাবিস্ফোরনের কারন হিসাবে উল্লেখ করেছেন, এই ধারনাটি কতদিন টিকে থাকবে সেটাই এখন প্রশ্ন৷ ডারউইনের বিবর্তনবাদ যেমন বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি, অথচ এই বিবর্তনবাদ নিয়ে পৃথিবীতে কত না হৈ চৈ হয়ে গেল, তখন যেই সমস্ত বিজ্ঞানী এই হৈ চৈ মিছিলে অংশ গ্রহন করেছিলেন তাহারা সবাই পরে হারে হারে আসল সত্যটি এভাবে উপলদ্ধি করতে পেরেছিলেন আহা কত বড় ভুলটাই না হয়ে গেল, মহাবিশ্বের সূচনা প্রকৃয়ার ক্ষেত্রে যেই সমস্ত বিজ্ঞানী এখন বিগব্যংগ থিউরীর নিকট আত্বসমর্পন করেছেন তাদের অবস্থাও একই রকম হয় কিনা কে জানে৷ অনেকে হয়ত বলবে নিউটনের কয়েকটি সুত্র যেহেতু তিন চারশত বত্‍সরেও ভুল প্রমান হয়নি, আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তথ্য যেহেতু বিজ্ঞানীগন মেনে নিয়েছেন সেখানেত বিগব্যংগ থীউরির পক্ষে অসংখ্য বিজ্ঞানী রয়েছেন সুতরাং বিগব্যংগ থীউরি কখনোই ভুল প্রমান হতে পারে না৷ শুনেছি কোন বস্তুর অন্তরর্নিহিত রহস্যের দ্বারোদঘাটনের জন্য অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস নাকি কার্যকারন সুত্রের নিকট আশ্রয় নেয়৷ অথর্াত্‍ তারা বস্তুজগতের অস্তিত্বের জন্য কার্যকারন সুত্রকে অপরিহার্য মনে করে থাকে৷ ইহা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, প্রতি যুগেই চিন্তাশীল ব্যক্তিগনের একটি অংশের মধ্যে মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুর অস্তিত্বের ক্ষেত্রে বিশেষ কোন কারন অনুসন্ধানের তত্‍পরতা পরিলক্ষিত হয়েছে৷ আমার মনে হয় বিজ্ঞানী নিউটন অজানার গহবরে লুকায়িত তিনটি সূত্র কার্যকারন নীতির ভিত্তিতেই আবিস্কার করেছেন৷ নিউটনের সূত্রগুলোকে বিরাটত্বের বৈশিষ্ট দেওয়া হলেও সুত্রগুলো মনোজগতে হটাত্‍ অস্তিত্বলাভ করেছিল প্রকৃতির খুবই সাধারন কিছু ঘটনা থেকে৷ এখানে একটি রহস্যজনক অধ্যায় হল যেই ঘটনাগুলো সংঘটিত হওয়ার ভিত্তিতে তার সুত্রগুলো অজানার অন্ধকার থেকে চিন্তার জগতে প্রবেশ করেছিল সেই সমস্ত ঘটনা পূর্বেও তার দৃষ্টির সম্মুখে বহুবার ঘটেছিল কিন্তু তখন তার মনের গভিরে কোন কিছুই রেখাপাত করেনি ! এই বিষয়টি দ্ধারা প্রমান হয়ে গেল মানুষের চিন্তা শক্তি সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারে না৷ আইনস্টানের আপেক্ষিক তথ্য জানি না কত বত্‍সরের চিন্তার ফসল৷ প্রকৃতির কিছু সাধারন ঘঠনাকে কেন্দ্র করে যেমন নিউটনের সুত্রগুলো হঠাত্‍ চিন্তার জগতে অস্তিত্ব লাভ করেছিল, সেই ক্ষেত্রে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তথ্য মনে হয় না কোন সাধারন ঘটনাকে কেন্দ্র করে হঠাত্‍ চিন্তার সুগভিরে অস্তিত্ব লাভ করেছে৷ তবে আপেক্ষিক তথ্য অস্তিত্ব লাভের পিছনেও কার্যকারন সুত্রের বিদ্যমানতা অ্স্বীকার করার কোন উপায় নেই, আর এই আপেক্ষিক তথ্য বিশ্বপ্রকৃতির রহস্যের দ্ধার কতটুকো উদঘাটন করতে পেরেছে সেটাও আমার জানা নেই, কোন এক সময় আপেক্ষিক তথ্য মানুষের মুখে মুখে থাকলেও বর্তমান সময়ে খুব একটা দৃষ্টিগোচর হয়না৷ কারন সময়ের পরিবর্তনে প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানের নতুন নতুন সূত্র আবিস্কার হচ্ছে, প্রতিনিয়ত বস্তজগতের কোন না কোন রহস্য উদঘাটন হচ্ছে তাই প্রগতিশীল বিশ্বের মানুষ কেন কয়েকটি সূত্রের মধ্যে চিন্তাকে বন্দি রাখবে৷ প্রচলিত কিছু বোধ বিশ্বাস মানুষের প্রতিভাকে এমনিতেই গুটিয়ে দিচ্ছে যেমন বলা হয়ে থাকে নিউটন আর হবেনা, বা আইনস্টাইন আর আসবেনা৷ আক্ষেপের বিষয় হল উক্ত নৈতিবাচক বিশ্বাসগুলো যখন বৈজ্ঞানিক ধ্যান ধারনায় বেড়ে উঠা বালক বালিকাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তখন সংগত কারনেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই বিশ্বাসটি তাদের মনোজগতে দানা বেধে যায়, অতপর যখন এই বিষফোড়াটি অন্তরজগতকে আচ্ছন্ন করে ফেলে তখন সে আর কোনদিন ভাবতেই পারে না সেও যে নিউটন কিংবা আইনস্টাইনের চেয়েও অনেক বড় বিজ্ঞানী হতে পারে৷ আমি মনে করি চিন্তার বিশালতাকে কলুষিত করার জন্য সীমাবদ্ধ একটি বোধ বিশ্বাসই যথেষ্ট৷ অবশেষে যাহা বলতে চাই, শুনেছি আইনস্টাইন নাকি বিশ্ব জগতের জন্য একটি অদৃশ্য শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতেন ! যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে যেই সমস্ত বিজ্ঞানী বিনা বাক্য আপেক্ষিক তথ্য মেনে নিয়েছেন তারা কেন আইনস্টাইনের অদৃশ্য শক্তির প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন ? কেন তারা আইনস্টাইনের নিকট সেই অদৃশ্য শক্তির ব্যাখ্যা চাননি ? কয়েক বত্‍সর পূর্বে কোন একটি পত্রিকায় দেখেছিলাম ভারতে নাকি কিছু বিজ্ঞানীর উপর একটি সমিক্ষা হয়েছিল, প্রশ্ন ছিল জগত স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে, ৩৫ ভাগ বিজ্ঞানী নাকি ইতিবাচক মন্তব্য করেছে আর ৬৫ ভাগ বিজ্ঞানীর মন্তব্য ছিল নৈতিবাচক ! এই ৬৫ ভাগ বিজ্ঞানীকে যদি তাদের দেহের অভান্তরে যেই আত্বা লুকায়িত রয়েছে সেই আত্বার গতি প্রকৃতির উপর প্রশ্ন করা হয় তাহলে তাদের কাছে এই প্রশ্নের কোন উত্তর আছে কি ? যারা নিজের দেহের অভ্যান্তরে লুকায়িত একটি বস্তুর মাত্র ব্যাখ্যা দিতে পারে না তারা নাকি আবার সিদ্ধান্ত দিচ্ছে জগতস্রষ্টা বিদ্যমান না থাকার পক্ষে ! পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং নাকি অবিনশ্বর জগতের পক্ষে তার অভিমত ব্যক্ত করেছেন এবং স্রষ্টার প্রয়োজনীয়তা এক্ষেত্রে অস্বীকার করেছেন ! আবার অনেক বিজ্ঞানীকে দেখা যাচ্ছে নশ্বর জগতের পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করতে৷ এভাবে স্রষ্টা ও সৃষ্টবস্তু নিয়ে পৃর্বে যেমন বিজ্ঞানীদের মধ্যে তুমূল বিতর্ক হয়েছিল এখনও হচ্ছে৷ ভাবতে অবাক হতে হয়, যেখানে দৃশ্যমান জগতের লক্ষ ভাগের একভাগ রহস্য মাত্র এখনও পর্যন্ত উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি সেখানে জগত্‍স্রষ্টার অস্তিত্ব অজানার গহবরে লুকায়িত থাকবে ইহাইত একটি স্বাভাবিক বিষয় ছিল ? স্বাভাবিক একটি বিষয়কে টেনে হিচড়ে অস্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অধিকার বিজ্ঞানীদেরকে দিয়েছে ? বিশ্বপ্রকৃতির সকল রহস্য উদঘাটন করার পর তারা স্রষ্টার দিকে ধাবিত হতে পারে কিংবা স্রষ্টার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলতে পারে৷ তখন তাদের সিদ্ধান্ত যদি নৈতিবাচকও হয় তবুও পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ সেটা মেনে নিবে বলে আমার ধারনা৷ পরিশেষে বলতে চাই, এখন যেই সমস্ত বিজ্ঞানী বিগব্যংগ থিওরীকে বিশ্বজগত্‍ সৃষ্টির কারন হিসাবে উল্লেখ করেছেন অপাত দৃষ্টিতে আমরা এই তথ্যকে যদি সঠিক বলে ধরেও নেই তাহলে এই বিগব্যংগ থিওরী দিয়েই স্রষ্টার অস্তিত্ব এভাবে প্রমান করা যায়, যদি বিশ্বজগত সৃষ্টির লক্ষে কোন এক সময় মহাবিষ্ফোরন ঘটেই থাকে তাহলে অবশ্যই কার্যকারন সূত্রের ভিত্তিতে সংঘটিত হয়েছিল, আর কার্যকারন সূত্রকে বিজ্ঞানীদের অস্বীকৃতি জানানোর কোন উপায় নেই এই জন্য যে, তারাই কার্যকারন সূত্রকে গর্ভেধারন করেছে এবং তারাই এটাকে প্রসব করেছে, তাদেরকে যদি এখন প্রশ্ন করা হয় সেই মহাবিষ্ফোরনে কোন কার্যকারন নীতি সক্রিয় ছিল অথবা সেই মহাবিষ্ফোরন কে ঘঠিয়ে ছিল (যেহেতু কর্তা ব্যতিত ক্রিয়া হয় না) তাহলে তাহারা কি জবাব দিবে ? এখানে এসে তাদের চুপ হয়ে যাওয়া ব্যতিত দ্ধিতিয় কোন পথ আছে বলে মনে হয় না ! আছে কি ? সুতরাং বিশ্বস্রষ্টা যে মহাবিষ্ফোরনের পূর্ব থেকেই ছিলেন ইহাই তার প্রমান৷ Visit us: http://www.bdcareer.tk Visit for online career in Bangladesh

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.