আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলে যায় পৃথিবী, বলে যায় কথা ...........................

ঘুনে খাওয়া হৃদয়টাকে নিয়ে চলতে চলতে আজকাল খুব ক্লান্ত লাগে নিজেকে..

অনাদি অনন্তকালের নিস্তরঙ্গ জলরাশি ব্যথিত আঁধারের কানে কানে ফিস ফিস কিছুক্ষণ, যেন এখনি ঝরবে আগুন বৃষ্টির উল্লসিত কনাগুলো; পরম ক্লান্তিঘেরা এই রক্তিম বাগানকে ঘিরে। এখানেই বসবে বুঝি ভাঙা আকাশের টলটলে চোখের কালিতে লেখা কবিতাগুলোর শেষ আবৃত্তিমেলা .... কুয়াশাচ্ছন্ন এই যে এখানে পড়ে আছে শত শত লাশের স্তুপ; মাড়িয়ে মাড়িয়ে চলে যায় অচেনা পথিক-মানুষ, নেই তার কোন ঠিকানা। সূর্যের জাগরণ হয় না বহুদিন, সাজে না পূবের আকাশ আগের মত; মেঘার্ত দুঃখের আবরণে ঢাকা থাকে কেবল পৃথিবীর অশ্রুদীঘি। চারিদিকে বিদায়ের ছাপ, সবাই চলে যাচ্ছে বিদায় নিয়ে নিয়ে .. একে একে আসছে সবার পালা। হৈ হৈ রৈ রৈ সরগলে মাতছে পৃথিবী, খালি হচ্ছে দীর্ঘদিনের পাপ।

বিদায় লেনদেনের সমূহ আসরে মুক্তি পাচ্ছে সমস্ত কয়েদী। পৃথিবী গাইছে মুক্তির গান: তৃপ্তিহীন পৃথিবীর কান্না তোমরা শুনতে কি পাও? সুদীর্ঘ পথের যাত্রীরা ওগো, একটিবার শুনে যাও তোমাদের পাপে হয়েছিনু পাপী আজ হবো পাপমুক্ত, চিরদিনের সব জ্বালা-যাতনা ঐ পূন্যের জলেতে ধুয়ে মুছে .. হবো আজ চিরমুক্ত। । আকাশে-বাতাসে শান্তির সৌরভ, চারিদিকে চন্দনের মৌ মৌ সুবাস। চিরদুখি পৃথিবীর চোখে-মুখে আজ খুশীর ঝকঝকে উল্লাস।

শান্তির মলমে সেড়ে উঠেছে তার সমস্ত ক্ষতস্থান। তার আজকের এই সুখের বিস্তৃতি যেন সীমা ছাড়িয়ে অসীমে গিয়ে ঠেকেছে। এত খুশী, এত সুখ, এত শান্তির আভায় কেটে যায় বহুদিন .. তারপর একদিন, হঠাৎ; বিষন্নতার একটা কালো কবুতর দেখা দেয় আকাশে। সমগ্র আকাশের সুখি নীলগুলো গলে গলে পড়ে, ভিতর হতে বুক ফাটা চিৎকারে বেরিয়ে আসে বহুদিনের জমে থাকা রাশি রাশি দুঃখের স্তুপ। মেঘের তর্জন গর্জনে সূর্য হয় পলাতক, চারিদিকে নেমে আসে থৈ থৈ আঁধার।

অন্ধকারের শকুন খুবলে খুবলে খায় পৃথিবীর সুকোমল শরীর। তীব্র ব্যথার আর্তনাদে ফেটে যায় বুক, শরীরে থাকে না তার একটুকরো কাপড়। এভাবে বহুদিন যন্ত্রণার আগুনে বিদগ্ধ হতে হতে হিম ঠান্ডায় চিরশীতল ঘুমের কোলে ঢলে পড়ে পৃথিবী। শেষ যাত্রার পথে পা বাড়ায় বাস্তুহারা উলঙ্গ পৃথিবী ... চলে যায় পৃথিবী, বলে যায় কথা বুকে তার বয়ে চলে চির নীরবতা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।