আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হ্যাকারদের দৌরাত্ন্য এবং পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা

আমি বিধাতার রঙ্গে আঁকা এক অস্পষ্ট ছবি।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের পরিসর এত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে যে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ইন্টারনেট ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে হ্যাকারদের দৌরাত্ন্যে গোপন পাসওয়ার্ডও গোপন থাকছে না। ফলে গোপনীয় তথ্য যেমন অন্যরা জেনে ফেলছে তেমনি ব্যাঙ্ক একাউন্টের পাসওয়ার্ডও ওপেন হয়ে বিপদ ডেকে আনছে।

অতি সম্প্রতি জনৈক শৌখিন হ্যাকার বিভিন্ন নেটওয়ার্কের পাসওয়ার্ড ভেঙ্গে সাবেক সিনেটর (বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট) বারাক ওবামা, পপ সুপারস্টার ব্রিটনি স্পিয়ার সহ বিখ্যাত সেলেব্রেটিদের গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়ে হইচই সৃষ্টি করেছিলো। ই-মেইল একাউন্টের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমত সংশয় সৃষ্টি করেছিল। কীভাবে সে এই অপারেশন চালিয়েছে তার সঠিক তথ্য জানা না গেলেও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন আমরা সচরাচর অনলাইনে একাউন্ট করতে গিয়ে পারিবারিক নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জন্মতারিখ, প্রিয় ব্যাক্তি বা বস্তু সম্পর্কে ব্যাপক তথ্য শেয়ার করি। এগুলো গবেষণা করে হ্যাকাররা আমাদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারে। আর আমাদের আর একটা ভুল হল আমরা অনেকেই কম ক্যারেক্টার বা সঙ্খ্যার পাসওয়ার্ড দিই।

তিন, পাঁচ বা ছয় ক্যারেক্টারের পাসওয়ার্ড ওপেন করা হ্যাকারদের জন্য কঠিন কিছু নয়। তিন ক্যারেক্টারের পাসওয়ার্ড এক সেকেন্ডে, চার ক্যারেক্টারের দেড় মিনিটে, পাঁচ ক্যারেক্টারের দুই ঘন্টা পনেরো মিনিটে আর ছয় ক্যারেক্টারের পাসওয়ার্ড প্রায় নয় দিনে চেষ্টা করলেই খুলে ফেলতে পারবে হ্যাকাররা। তবে সাত ও আট ক্যারেক্টারের পাসওয়ার্ড খুলতে তার সময় লাগবে যথাক্রমে দুই বছর একুশ দিন এবং দুই শতাব্দীরও বেশি। আর দশ ক্যারেক্টার পাসওয়ার্ড ওপেন করা সম্ভব হবে না। এজন্য হ্যাকারকে সাধনা করতে হবে কয়েক মিলিনিয়াম।

আপনারা হয়তো মনে মনে ভাবছেন আমি নিজেই একজন হ্যাকার কিনা। হ্যাকার না হয়ে থাকলে তিন, চার, পাঁচ, ছয় , সাত, আট এবং দশ ক্যারেক্টারের পাসওয়ার্ড খুলতে যে একজন হ্যাকাররের উপরে উল্লেখিত সময় লাগে তা জানি কীভাবে, তাই না? ভয় পাবেন না। আমি হ্যাকার নয়। আমি হ্যাকিংয়ের শিকার। (তাইতো এই বিষয়ে লিখতে বসলাম।

) আর উপরের তথ্যগুলো হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের মতামত। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন লম্বা পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করতে। যত বেশী দীর্ঘ হবে তত বেশী আপনার পাসওয়ার্ড শক্তিশালী হবে। আর পাসওয়ার্ড একই রকম সংখ্যা বা ক্যারেক্টার ব্যবহার না করে সংমিশ্রন করুন। কিছু অংক, কিছু অক্ষর আপনি আপনার পাসওয়ার্ডকে সুরক্ষিত করতে পারেন।

আর ভিবিন্ন নেটওয়ার্কের জন্য আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। যাতে কোনটা কোন কারণে ওপেন হয়ে গেলে অন্যটা যাতে রক্ষা পায়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.