আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতকে ঘৃণা করি কিন্তু ইসলামকে নয়।

মোটামুটি সম্মানিত অ্যাডমিন ও মডারেটর, বিনীত অনুরোধ রইল পোস্টটা রেখে দেয়ার জন্য। আওয়ামীলীগের কোন মুক্তিযোদ্ধা কাউকে রাজাকার বললে আমি তা সহজে বিশ্বাস করব না। কারণ, তারা কোন কোন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কারণে এরকম করতে পারে। যেমনটা ঘটে থাকে বিভিন্ন অপরাধীর ক্ষেত্রে। রাজনৈতিক কারণে ক্ষমতার স্বার্থে অনেকেই অপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করে এবং করেও।

আমি একজন মুক্তিযোদ্ধাকে চিনি যিনি কোন দল করেন না এবং এখনো তার সার্টিফিকেটও সংগ্রহ করেননি। তিনি মনে করেন যে তিনি যুদ্ধ করেছেন দেশের জন্য, সার্টিফিকেটের জন্য নয়। তার লেখা একটি বই আছে যা ৫০০-৭০০ পৃষ্ঠার হবে এবং বইটিকে মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি প্রামাণ্য বই হিসেবে অনেকেই স্বীকার করেন। তার এক পরিচিত লোকের কাছ থেকে এবং বইটা থেকে জানা যায় জামাতের বর্তমান নেতাদের কুকীর্তির ঘটনা। সেই থেকে জামাতকে ঘৃণা করি।

এরা যুদ্ধের সময় ধর্মকে ব্যবহার করেছে বর্ম হিসেবে এবং পরেও করেছে। নবীজীকে (সাঃ) কটুক্তি করে ব্লগে লেখার ঘটনা নতুন নয়। জামাত এতদিন কিছু না বলে এখন এই ঘটনাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। কিন্তু এরজন্য ইসলাম কোনক্রমেই এর জন্য দোষী নয়। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ হুজুগে চলে।

যারা নাস্তিক হয় তারা শুনে এবং কম লেখাপড়া করে নাস্তিক হয় এবং সাধারণ মুসলমানরাও মোল্লাদের কাছ থেকে শুনে এবং কম লেখাপড়া করে আমল করে। আমাদের দেশের নাস্তিকরা বাংলা অনুবাদের আলোকে কোরান-হাদীসের ভুল ধরে এবং নাস্তিক হয় যা বড়ই হাস্যকর। নাস্তিক হতে চাইলে লেখাপড়া করে আরবির অর্থ ভালোভাবে বুঝে নাস্তিক হন। আপনি যত বড় নাস্তিক হন আপনার কোন অধিকার নেই কোন ধর্মের বিষয়ে বা ধর্মীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুকথা বা আপত্তিকর কথা বলা। খারাপ কিছু দেখলে যুক্তিসংগতভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

যেমন সম্রাট আওরংগজেব একদিন দেখলেন যে কিছু লোক একটা মেয়েকে ধাওয়া করছে। একসময় একজন মেয়েটার কাছাকাছি পৌছালে একটা মুগুর ছুড়ে মারলে মেয়েটা আহত হয় এবং লোকগুলো মেয়েটাকে নিয়ে গেল। পরে তিনি জানতে পারলেন যে মেয়েটার স্বামী মারা যাওয়ায় তাকে তার স্বামীর সাথে পোড়ানো হবে। পরে তিনি আইন করলেন যে কোন মেয়ে সহমরণে যেতে রাজী নাহলে তাকে পোড়ানো যাবেনা। কারণ তার অধিকার নেই ঐ ধর্মের আইন সরাসরি নিষিদ্ধ করা।

এবার আসি শেষ কথায়: বাড়ি ফেরার সময় নিজ কানে শুনলাম "ই-তে ইসলামী দল, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার। " ব্যস্ততা থাকার জন্য রেকর্ড করার কথা মাথায় আসেনি। আর রেকর্ড করতে পারলেও কেউ বিশ্বাস করত কিনা সন্দেহ। খানিক অপেক্ষা করেছিলাম আর ভাবছিলাম এটা কি বলল। পরে চলে আসলাম।

এই কথা কোন সুবিবেচনার পরিচায়ক নয়। আপনাদের কাছে আহবান এরকম কথা বলবেন না। রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃণা করুন কিন্তু ইসলামকে নয়। আর নাস্তিক হতে চাইলে বা ভালো মুসলমান হতে চাইলে বেশি বেশি পড়ুন। সঠিক ধারণার জন্যই পড়া জরুরী।

আমাদের জেলাতে হওয়া গণজাগরণের সমাবেশ থেকে উপোরক্ত কথা শুনেছিলাম, ঢাকারটার থেকে নয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.