আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন জামাতকে না বলে সবাই দেশপ্রেমের পরিচয় দিই।

আমি এক জন শান্তি প্রিয় মানুষ। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে পরিচালিত তারুণ্যের আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সঞ্চারিত স্বতঃস্ফূর্ত দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। এখানে যেসব নিবেদিত প্রাণ বাংলার সূর্য সন্তানেরা নিজেদের সুখ স্বাচ্ছন্দ বিসর্জন দিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তারা কোন বিশেষ রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর আহ্বানে কেউ শাহবাগ স্কয়ারে সমবেত হননি। এদের কারো ব্যক্তিগত কোন রাজনৈতিক উচ্চাভিলাসও নেই। সবাই একাত্ম হয়েছে একাত্তরের ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধীদের একমাত্র উপযুক্ত শাস্তি ফাঁসির দাবিতে।

ইতিহাসের নির্মম পরিহাসে সময়ের পরিক্রমায় এ সকল যুদ্ধাপরাধীরা স্বাধীন বাংলার পবিত্র ভূমিতে রাজনৈতিক ভাবে পুনর্বাসিত হয়েছে। তাই যুদ্ধাপরাধীদের নেতৃত্বাধীন জামাত শিবির দলটি তারুণ্যের এ আন্দোলনকে রাজনৈতিক কূটচালে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে শুরু থেকেই। প্রথম দিকে আন্দোলনকারীদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত পত্রিকা, ব্লগ এবং ফেসবুকের মাধ্যমে। এতে সফলকাম হতে না পেরে শাহবাগের আন্দোলনকারীদেরকে নাস্তিক তথা ইসলাম বিদ্বেষী হিসাবে প্রমানের অশুভ পাঁয়তারা চালিয়ে জামাত শিবির চক্র এখন ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অশুভ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অন্যান্য ইসলামি দল গুলোকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে এ অশুভ শক্তি দেশে সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের চেষ্টা করছে।

ভাষা আন্দোলনের মাসে শহীদ মিনারে ভাংচুর চালিয়ে, জাতীয় পতাকার অবমাননা করে, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রজন্ম মঞ্চ ভাংচুর, সাংবাদিকদের আহত করে স্বাধীনতা বিরোধীরা চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে। এদের এ ধৃষ্টতার সমুচিত জবাব দিতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে যে ভাবে নিসিদ্ধ হয়েছিল নাৎসি বাহিনী ঠিক একই ভাবে জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে জামাত শিবিরের অস্তিত্ব মুছে দেবার এখনি উপযুক্ত সময়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে জঙ্গিবাদ, ধর্মীয় উন্মাদনা , উগ্রবাদীতার কোন স্থান নেই।

দেশের সাধারন মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পূঁজি করে যারা হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে সদা সচেষ্ট, যে দলটি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে প্রত্যক্ষভাবে একাত্তরে গনহত্যায় অংশ গ্রহণ করেছে, যে দলের নেতৃত্ব এখনো চিহ্নিত ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধীদের হাতে সে দলটির কোন অধিকার নেই স্বাধীন বাংলার মাটিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার। যুদ্ধাপরাধীদের যথোপযুক্ত বিচার এবং যুদ্ধাপরাধী দল জামাতকে নিষিদ্ধকরণে আজ দল মত নির্বিশেষে আমাদের জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির হাতিয়ার হিসাবে এ ইস্যুটি কিছুতেই আর জিইয়ে রাখা যাবে না। রাজনীতিবিদদের প্রতি অনুরোধ- রাজনীতি করার জন্য দেশে ইস্যুর কোন অভাব নেই। নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের আবেগ অনুভূতি তথা হৃদয়ের আকুতিকে মূল্যায়ন করে অন্তত এ ইস্যুটিকে রাজনীতির শৃঙ্খল হতে মুক্তি দিন।

আজ আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন রাজনীতি আপনাদের কাছে মুখ্য - ভোটের রাজনীতি না দেশপ্রেমের রাজনীতি। তারুণ্যের নিঃস্বার্থ দেশপ্রেম আলোকবর্তিকা হয়ে আজ সমগ্র দেশকে আলোকিত করেছে। আসুন জামাতকে না বলে সবাই দেশপ্রেমের পরিচয় দিই। ( বিঃ দ্রঃ আগামীকাল জামাত আবার হরতাল ডেকেছে। কিছুতেই এদেরকে আর প্রিয় মাতৃভূমির বিন্দু মাত্র অসম্মান করতে দেওয়া যাবে না।

সবাই পাড়ায় মহল্লায় একতাবদ্ধ হয়ে এ অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করুন। জনতার জয় হবেই, ইনশাআল্লাহ। ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.