আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কর্পোরেট ছেনালী এবং কর্তাব্যক্তি সমাচার

একজন খেটে খাওয়া-শ্রমজীবী মানুষ। নিজের অধিকারের কথা বলতে চাই ও অন্যের শুনতে চাই। তাই বলে দেশ, দেশের মাটি, আলো-বাতাশ ও মানুষকে বাদ দিয়ে নয়।

যে কোন টিভি চ্যানেলে চোখ রাখলেই গ্রামীন ফোনের একটি বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। বিজ্ঞাপনটি হলো একটি দেশের কিছু খ্যাত নামা শিল্পী বিজ্ঞাপন চিত্রটিতে অংশ গ্রহন করেছেন।

তারমধ্যে বেশ কিছু দেশের প্রথিতযশা শিল্পী আছেন, যাদের দেখেলে দেশের মানুষ অনুকরণ করেন, অনুসরণ করেন। যাদের কাজ দেখে ছোটদের শিক্ষা নিতে বলেন। যারা বিনোদনের উৎস। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কিছু ব্যক্তির প্রেরণাও হতে পারেন। ব্যক্তিগতভাবে আমিও পার্থদার কয়েকটি গানের দারুন ভক্ত।

বিজ্ঞাপনটিতে গ্রামীণ ফোনের একটি প্যাকেজের মাজেজা ফুটিযে তোলা হয়েছে। কিন্তু এই মাজেজা বলতে গিয়ে যে বিষয়টি বের হয়ে এসেছে আমাকে বিদ্ধ করেছে। বিরক্ত করেছে। ক্ষুব্ধ করেছে। এডটাতে মিথ্যা একটি খবর দিয়ে বন্ধুদের ডেকেছে।

‘আমি অসুস্থ তোমরা আসো’। বন্ধুরা তাড়াহুড়া করে এলো, এসে দেখে আহবায়ক বন্ধু অসুস্থ না, মুলত একসঙ্গে আড্ডা দিতে অন্য বন্ধুদের ডেকেছে। ওই এডটা কি শুধু ওই মিথ্যাবাদী পারফরমারই দেখেছে ? নাকি ছোট ছেলে, যে শিশুটি কিছু দেখলেই অনুকরন করে, যে যুবকটি পছন্দের নায়ক/নায়িকাকে দেখলেই অনুসরন করে, যে আধুনিকতা প্রত্যাশি রমনীটি/লোকটি আধুনিক হওয়ার জন্য টিভিকে অনুসরন করে বা যে বাবা পরকালের কথা ভেবে সদা ধর্মের অনুশাসনগুলো মেনে চলে-তারাও দেখেন? তারা এই মিথ্যা ডাক দিয়ে এনে গান শুরু করতে বলে -এ বোধটা কি নিজের ব্যক্তিগত জীবনে তারা অনুসরন করেন? ছি পার্থ দা, ছি ! সামান্য টাকার লোভে নিজের আজীবন অর্জিত সম্পদ মানুষের ভাল বাসাকে বিক্রি করে মিথ্যার বেসাতী করা আপনার উচিত হয়নি। আর যে এড নির্মাতার প্রতিষ্ঠানের মাথা থেকে এই ‘চিন্তা’ এসেছে তার উচিত ছিল দৌলত দিয়া ফরিদপুর, টাঙ্গাইলে পতিলালয়ে সর্দারগিরি করে টাকা কামায় করা। আপনার ছেলে/মেয়ে, ভাই/বোন, বৃদ্ধ বাবার কথা ভেবছেন এই ‘আইডিয়া’ মাথায় আসার সময়? সব বিষয় বিষয় নিয়ে ফান করা যায়? কর্পোরেট পূঁজির মালিকরা তাদের নিজেদের পরিজনদের ন্যায় সমাজটাকেও পণ্য হিসাবে বাজারে তুলে।

বিক্রি করে। তারা তা করবে। কিন্তু এই বিজ্ঞাপন নির্মাতারা যা ইচ্ছা তাই করবেন? তাদের সামাজিক দায়িত্ব নেই? যারা এটার ছাড়পত্র দেন বিষয়টি নিয়ে ভাববেন? এর ইমপ্যাক্ট কোথায় পড়বে? না আপনাদের, রাজনীতিকদের,ধর্ম ব্যবসায়ী ও লুটেরাদের ছেলে/মেয়ে বাইরে আছে তাতে কোন যায় আসবে না? তারা বাইরে লেখা পড়া করতে গিয়ে যা ইচ্ছা তা করুক? তাহলে ইভটিচিং নিয়ে এত মাথা ব্যাথা কেন? এই সব অকর্মের ফল কি এই সব অনৈতিক কাজ না? ব্যবসার কথা ‘প্রচারেই প্রসার’। এই তত্তে¡র কারণে এটাকে যদি বৈধ করেন তাহলে আমরাও এই ইন্টালেকচুয়াল-কাজকে ছেনালীপনা বলতে চাই। ব্লগাররা বলেন? এগুলো যদি বৈধ হয় প্রভারা এনজয়! করতে হোক বা কোন সুতার টানের জন্যে ‘পারফর্ম’ করে চিত্রায়ন করে বাজারে ছাড়ে-সেগুলো দেখা, আপলোড/ডাউন লোড এবং করাও অনৈতিক না।

বেঅইনিনা মনে হওয়া উচিত?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.