আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিরোজপুর লাইনে ঢুকে পুলিশ পেটাল ছাত্রলীগ

ভুদাই সমিতির সেক্রেটারী হিসেবে কাজ করছি। পার্মানেন্ট প্রেসিডেন্টের পোষ্ট খালি আছে।

টেম্পোচালককে মারধরের হাত থেকে বাঁচানোয় পুলিশ সদস্যদেরই লাঠিপেটা করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পিরোজপুর পুলিশ লাইনের ভেতরে ঢুকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের বর্ণনা অনুযায়ী, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পিরোজপুর পৌর এলাকার রায়েরকাঠীতে পুলিশ লাইনের সামনে ছয়-সাতটি মোটরসাইকেলের হেডলাইট জ্বালিয়ে (অন রেখে) ছাত্রলীগের ১৪-১৫ জন নেতা-কর্মী আড্ডা দিচ্ছিল।

এ সময় কুমারখালী থেকে আসা একটি টেম্পো পুলিশ লাইন অতিক্রমকালে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর মুজিব অভি টেম্পোচালক ফারুক হোসেনকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে সেখানে থাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মাহবুব শুভসহ অন্য নেতা-কর্মীরা ফারুকের ওপর চড়াও হয়। আত্মরক্ষার্থে টেম্পোচালক কাছের একটি মুদি দোকানে আশ্রয় নেন। সেখানে গিয়ে ছাত্রলীগের ৮-১০ জন নেতা-কর্মী জ্বালানি কাঠ দিয়ে ফারুককে মারধর শুরু করে।

এ সময় কুমারখালীর বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম তাঁকে রক্ষা করতে এলে তিনিও হামলার শিকার হন। তাঁদের দুজনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। কিন্তু অভি পিরোজপুর-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়ালের ভাতিজা হওয়ায় কেউ এগিয়ে আসেনি। পিরোজপুর পৌর এলাকার বৌদ্ধপাড়ার বাসিন্দা ও বাগেরহাটে কর্মরত পুলিশ সদস্য সুনীল চন্দ্র বলেন, 'মুদি দোকানের সামনে দুজনকে মারতে দেখে আমি নিজের পরিচয় দিয়ে হামলাকারীদের বিরত থাকতে বললে তারা আমাকেও লাঞ্ছিত করে। একপর্যায়ে পিরোজপুর পুলিশ লাইন থেকে সাদা পোশাকে কাউয়ুম হোসেনসহ চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য এসে বাধা দেন।

এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গেও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কথাকাটাকাটি হয়। সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, পুলিশ সদস্যরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের টেম্পোচালককে মারধরে বাধা দিলে তারা পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা পুলিশ সদস্যদের লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। এ সময় তাঁরা আত্মরক্ষার্থে পুলিশ লাইনে গিয়ে আশ্রয় নেন।

সেখানে ঢুকেও তারা পুলিশ সদস্যদের মারধর করে। তাঁদের চিৎকারে পুলিশের অপর সদস্যরা ধাওয়া করলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা লাইনের বাইরে চলে আসে। ঘটনার পর পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের বক্তব্য রেকর্ড করে। Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.