আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈদুল আযহা ও আমাদের করণীয়


[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/mahbuburrashid_1289828562_1-eid_05_1_.jpg ........মাহবুবুর রশিদ......... ঈদ আরবি শব্দ । মাত্র দু'টি অরের সমন্বয়ে গঠিত । কিন্তু এর তাৎপর্য অনেক । ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ বা খুশী । প্রত্যেক সমপ্রদায়ের লোকদের কাছে বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাদের নিজ নিজ আনন্দ ও উৎসবের দিন থাকে ।

তেমনি প্রতি বছর বিশ্বের মুসলমানদের কাছে দু'টি অত্যন্ত আনন্দের দিন আসে -- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা । ইসলামের আনন্দ উৎসবাদির মধ্যে নিহিত রয়েছে ইসলামের মূল শিা,মানবতার সাম্য,শান্তি ও কল্যাণ সাধনের প্রশিণ । তাই প্রত্যেক মুসলমানদের কাছে দু'ঈদের আনন্দ সংযমের ও আনুগত্যের। ঈদ মুসলমানদের জাতীয় পর্ব । ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার পৃথক পৃথক পটভূমি রয়েছে ।

ঈদের খুশী প্রত্যেক মুসলমানের প্রাণকে আলোড়িত করে তোলে। দু'টি ঈদের দিন পত্যেক মুসলমানগণ হিংসা,বিদ্বেষ,ভুলে গিয়ে ধনী-গরীব নির্বিশেষে এক কাতারে সমবেত হয় । এ যেন মুসলমানদের এক মহান মিলনমেলা । ঈদের দিন থেকে আমরা এ শিা পাই যে,প্রত্যেক মুসলমান একে অন্যের ভাই ভাই । ঈদুল ফিতরের আনন্দ শেষ হতে না হতেই জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ খুশীর সওগাত নিয়ে আবার আমাদের মাঝে হাজির হয় ঈদুল আজহা বা কুরবানীর ঈদ ।

জিলহজ্ব মাসের ১০হতে ১৩ তারিখ পর্যন্ত কোরবাণী আদায় করে আল্লাহর কাছে সন্তুষ্টি কামনা করেন বিশ্বের মুসলিম জনতা । ঈদুল আযহার অনেক তাৎপর্য রয়েছে । হযরত ইব্রাহীম(আঃ) কে মহান আল্লাহ তাআলা স্বপ্নে তার সর্বাপো প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর নামে কুরবাণী করার জন্য তাগিদ দেন । হযরত ইব্রাহীম(আঃ) অনেক চিন্তা,ভাবনার পর স্থির করলেন যে,তাঁর স্নেহের পুত্র হযরত ইসমাইল(আঃ) ব্যাতীত প্রিয় বস্তু আর কিছুই নেই । আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হযরত ইব্রাহীম(আঃ) তাঁর প্রাণ প্রিয় পুত্রকে আল্লাহর নামে কুরবানী করতে নিয়ে যান ।

কঠিন পরীায় হযরত ইব্রাহীম(আঃ) উত্তর্ীণ হন । আল্লাহ তাআলা,ইব্রাহীম(আঃ)এর প্রভূভক্তির জন্য সন্তুষ্ট হয়ে ইসমাইলের পরিবর্তে দুম্বা স্থাপন করেন । দুম্বা কোরবানী হয়ে যায় । সেদিন থেকে মহান আল্লাহ ইব্রাহীম(আঃ) এর উপর সন্তুষ্ট হয়ে মুসলমানদেরকে ঈদুল আযহা উপহার দিয়েছেন এবং কুরবাণী করার নির্দেশ দিয়েছেন । আর তাই প্রত্যেক বছর জিলহজ্ব মাসের ১০-১৩ তারিখ বিশ্বের মুসলমানরা ঈদুল আজহা পালন করে থাকে ।

কবি বলেছেন--------- ঈদুজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ এলো আবার দুসরা ঈদ কোরবাণী দে কোরবাণী দে শোন খোদার ফরমান তাগিদ । কোরবাণী মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে একটি ইবাদত । নামায,রোজা,হজ্ব,ইত্যাদি যেমন আল্লাহ ছাড়া কারো উদ্দ্যেশ্য হয়না,তেমনি কুরবাণী ও আল্লাহ ছাড়া কারো জন্য নয় । আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন যে,আপনার প্রতিপালকের উদ্দ্যেশ্য নামাজ ও কোরবাণী করুণ (সূরা কাওসার) । তাই মুসলমানদের যাদের সামর্থ্য আছে তাদের কোরবানী করা অবশ্যই কর্তব্য ।

রাসুল(সাঃ) বলেন-অর্থ্যাৎ যাদের কোরবাণী দেওয়ার সমতা আছে,কিন্তু কোরবাণী দেয়,না,সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবতর্ী না আসে । ঈদুল ফিতরের মত ঈদুল আযহার দিন ও ঈদগাহে ইমাম সাহেব ঈদুল আযহার খুৎবা পাঠ করেন । খুৎবায় ঈদুল আযহার তাৎপর্য,উদ্দ্যেশ্য ইত্যাদি বয়ান করে থাকেন । খুৎবা শেষে মোনাযাত করা হয় । মোনাজাত শেষে বাড়ীতে এসে কুরবাণী পশু কুরবাণী করা হয় ।

কোরবাণীকৃত পশুর গোস্ত গরীব,এতিম,মিসকিনদের মধ্যে বন্টন করা হয় । আমাদের দেশে অনেক ধনী ব্যক্তি আছে যারা কুরবাণীর গোস্ত গরীবদের মধ্যে বন্টন না করে ফ্রিজে সংরণের জন্য রেখে দেয় । কিন্তু মনে রাখতে হবে এরাও আমাদের ভাই । ধনী ব্যাক্তিদের উপর এদের ও একটা প্রাপ্য আছে । সাহাবা (রাঃ) এর প্রশ্নের জবাবে রাসুল(সাঃ) বলেন, কুরবাণীর পশুর প্রত্যেকটি লুমে একটি করে সওয়াব লিখিত হয় ।

তবে কুরবাণী হতে হবে আল্লাহকে খুশী করার নিয়তে । কোরবাণীর পশু নিয়ে হিংসা,বিদ্বেষ করা চলবেনা । অনেকে বেশী দাম দিয়ে পশু ক্রয় করে পত্র পত্রিকায় নিজেদের নাম ফলাও করে প্রকাশ করে । আল্লাহ অহংকারীদেরকে পছন্দ করেন, না । ঈদ মুসলসানদের মন থেকে হিংসা,বিদ্বেষ, অহংকার,ঘৃণা,উঁচু,নিচু,ভেদাবেদ দূর করে।

ফলে তাদের অন্তরে দয়া,সহানুভূতি,ত্যাগ, ও দানশীলতার উন্নেষ ঘটে । মুসলমানদের প্রত্যেকটি দিনই হোক ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনের মতো । কবির ভাষায়------------ ওরে হত্যা নয় আজ সত্যাগ্রহ সত্যোর উদ্বোধন । লেখকঃ মাহবুবুর রশিদ,সাংবাদিক ও শিাথর্ী
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.