আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৈদ্যুতিক রাস্তায় চলবে বৈদ্যুতিক গাড়ি

If you want to make your dreams come true, the first thing you have to do is wake up..

শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমনটি ঘটিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা। তাদের দ্বারা নির্মিত হল পৃথিবীর সর্বপ্রথম “Road Powered Electric Vehicle Network”.এই নেটওয়ার্কে রয়েছে বিশেষভাবে তৈরি বৈদ্যুতিক রাস্তা, যার উপরিতল থেকে কিছুটা নিচেই ইলেকট্রিক কেবল স্থাপন করা হয়েছে। তারহীন ওয়্যারলেস প্রযুক্তির সাহায্যে ম্যাগনেটিক রেজোনেন্সের মাধ্যমে এই কেবল থেকে বৈদ্যুতিক যানে পাওয়ার সরবরাহ করা হয়। এই বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোর একটি ভালো দিক হচ্ছে এগুলোতে বড় আকৃতির ফুয়েল ট্যাংকের বদলে ছোট আকারের ব্যাটারী থাকবে, ফলে গাড়ির ওজন অনেকাংশে হ্রাস পাবে। এবং এগুলো রিচার্জ করার জন্য প্লাগ করা লাগবে না, ফলে সময়ও সাশ্রয় হবে।

নেটওয়ার্কটি দক্ষিণ কোরিয়ার গুমি শহরের ২৪ কি.মি. রাস্তা জুড়ে স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে দু’টি OLEV “Online Electric Vehicle” এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে শহরের রেলস্টেশন হতে ইন-ডং পর্যন্ত চলাচল করছে। ধারণা করা হচ্ছে, পাওয়ার সরবরাহের ক্ষেত্রে “Shaped Magnetic Field in Resonance” (SMFIR) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যার ব্যপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে “Korean Advanced Institue of Science and Technology”(KAIST). এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ১০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ একটি নির্দিষ্ট কম্পাংকে (এক্ষেত্রে ২০ কিলোহার্জ) সরবরাহ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে শক্তি সরবরাহের দক্ষতা প্রায় ৮৫%, ফলে খুব কম অংশই পরিবেশে নষ্ট হয়। যেহেতু একটি OLEV এ ছোট আকারের ব্যাটারি থাকে, সেক্ষেত্রে রাস্তার সূক্ষ একটি অংশ তড়িৎবাহী করলেই যথেষ্ট।

দক্ষতা বৃদ্ধি ও বিকিরণ রোধ করার জন্য রাস্তাটিতে সবসময় তড়িৎ পরিবাহিত না করে, শুধুমাত্র OLEV আসা মাত্রই তড়িৎবাহিত করা হবে। মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে SMFIR প্রযুক্তিতে “International EMF Standard” মেনে বিকিরণ মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ২০১৫ সালের মধ্যে ১০ টি নতুন ইলেকট্রিক বাস সংযুক্ত করা হবে এবং ইলেকট্রিক রাস্তার পরিমানও বৃদ্ধি করা হবে। গবেষকরা ধারণা করছেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বর্তমান যোগাযোগ ব্যবস্থার যেসকল ত্রুটিসমূহ রয়েছে, সেগুলো রোধ করা সম্ভব। ফিলিং/চার্জিং স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা লাগবেনা, যানবাহনের আকারের পরিবর্তন ঘটবে, বড় আকারের ইঞ্জিন ও ফুয়েল ট্যাংকের চাহিদা ফুরিয়ে যাবে।

সবচেয়ে বড় কথা, জীবাশ্ম জ্বালানীর উপর আমাদের নির্ভরশীলতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। এছাড়া যানবাহন ট্র্যাকিং, চালকবিহীন যান নিয়ন্ত্রণ, আন্তঃযান যোগাযোগ, স্মার্ট ব্রেকিং প্রভৃতি ক্ষেত্রে সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে। তবে এই প্রযুক্তির বিকাশে সবচেয়ে বড় বাধা হল, এটা অনেক ব্যয়বহুল। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, বর্তমান যোগাযোগ ব্যবস্থায় ট্রাফিক জ্যামের কারনে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে , তা নেহায়েত কম নয়। বিঃদ্রঃ আমার এই লেখাটি সম্প্রতি জিরো টু ইনফিনিটি নামক বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েব পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে।

এখানে ক্লিক করুন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.