আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিপন্ন প্রথিবী - মুমূর্ষু মানবজাতি



পৃথিবী যেন হঠাৎই পরিবেশ দূষণরোধ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উচ্চকণ্ঠ হয়ে উঠেছে। উচ্চকণ্ঠ হয়ে ওঠার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। তা না হলে সবাই এত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে উঠবে কেন? এতে এই সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, পরিবেশ মানুষসহ পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে এবং মানবসমাজ টিকে থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে জীববৈচিত্র্য (প্রাকৃতিক) ধারাটির বহমানতা_সে দুটি আজ নিশ্চয়ই হুমকির মধ্যে পড়েছে। তা না হলে বিশ্বময় এ নিয়ে হৈচৈ হবে কেন? প্রমাণিত হয়, শুধু মানুষ নয়, সব প্রাণই আজ সমূহ বিপদের সামনে। বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় সবাই শঙ্কিত।

এ নিয়ে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম হচ্ছে। সেসব সেমিনার-সিম্পোজিয়াম থেকে কিছু ধনাত্মক উপায় বেরিয়ে আসছে। স্বয়ং জাতিসংঘ, যার স্বাধীন সত্তা আজ হুমকির মুখে, এ বিষয়ে ক্রমেই সোচ্চার হয়ে উঠছে। এ নিয়ে গত ৪ নভেম্বর সোমবার বাংলাদেশেও এক 'প্রতীকী জলবায়ু আদালত' বসেছিল। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্তটি বেরিয়ে এসেছে সেই 'পরিবেশ দূষণরোধ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার দায় নিতে হবে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোকে।

' কেন? কারণ সেই শিল্পপ্রধান উন্নত দেশগুলোয়ই আজ প্রকৃতি ধ্বংসের প্রধান হোতা। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশের স্বার্থ আর পৃথিবীর সাধারণ মানুষের স্বার্থ এক নয়। পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষা করাই সাধারণ মানুষের প্রধান লক্ষ্য; অন্যদিকে কৃষিপ্রধান উন্নত দেশগুলোর স্বার্থলাভ। জনগণের স্বার্থ থেকে তাদের স্বার্থ সম্পূর্ণ বিপরীত। যাঁরা মানুষ বাঁচাতে, প্রাণ বাঁচাতে আন্দোলনে নেমেছেন, তাঁদের এ কথাটি স্মরণ রেখেই আন্দোলনে নামতে হবে।

আরো মনে রাখা দরকার, এটা কোনো একক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। এটা একটা অর্থনৈতিক কাঠামোর বিষয়। সেই কাঠামোকে ধ্বংস করতে পারলে পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব নয়। অর্থনীতি তার নিজস্ব নিয়মে চলছে_চলবে। যতক্ষণ না তার রাস টেনে ধরা যায়।

করপোরেট-তন্ত্রী পুঁজিবাদ আজ উত্থানপর্বে পুঁজিবাদের সব সাফল্য ম্লান করে দিয়েছে। যখন সামন্তবাদী অর্থনীতি ও সমাজ কাঠামো 'ব্যাকগ্রাউন্ডে' ছিল, তখন পুঁজিবাদ যে প্রগতিশীল ভূমিকা পালন করেছিল, আজ দীর্ঘ তিন-চার শ বছর পর পেছনে তেমন কোনো পৃথিবী না থাকায়, করপোরেট পুঁজিবাদ এক হিংস্র চেহারা ধারণ করেছে। যার লোভই হলো আজকের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। কেউ অন্য কারো জন্য চিন্তা করে না। মানবজাতির সাধারণ মঙ্গলের চিন্তা তার মাথায় নেই।

এ নিয়ে আমরা কষ্ট পেতে পারি; হা-হুতাশ করতে পারি। কিন্তু সেটাই আজকের অর্থনীতির নৈতিকতা_তোমার-আমার করার কিছু নেই। - শহিদুল ইসলাম Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.