আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়-সম্পদের খোঁজে মাঠে দুদক

কাস্টমস শাখার প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য গঠিত হয়েছে দুদকের ৫ সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান দল। কারণ অভিযোগ রয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীনস্থ কাস্টমস শাখার প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণীর অনেক কর্মচারীও বিপুল সহায়-সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন। যার কোনো বৈধ উৎস নেই। এমনকি কাস্টমস শাখার অনেক তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীও ঢাকার অভিজাত এলাকায় বাড়ি এবং একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক।

এনবিআরের এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতি অনুসন্ধ্যানে মাঠে নেমেছে দুদকের ৫ সদস্যের বিশেষ দল। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এনবিআরের কাস্টমস বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে এবং প্রতিরোধে অনুসন্ধ্যানের জন্য প্রায় ১ বছর আগেই দুদকের ৩ সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই দলটি কাস্টমস শাখায় অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে দেখে সেখানে দুর্নীতির বিতৃতি খুবই ব্যাপক। এ কারণে দুদকের অনুসন্ধান দলের সদস্য সংখ্যা এরা ২জন বাড়ানো হয়। এ অনুসন্ধান দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল জাহিদ।

এ অনুসন্ধান দলটি এনবিআরের কাস্টমস শাখার প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি উদঘাটন করবে। খোদ এনবিআর সংশ্লিষ্টরাও কাস্টমস শাখার কমবেশি অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন। যদিও দুর্নীতি প্রতিরোধে ইতোমধ্যে এনবিআরে চালু করা হয়েছে সততা বিভাগ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে গতবছরের ১৫ ফেব্র“য়ারি এ সততা বিভাগ চালু করা হয়। এ সততা বিভাগের কাজের পরিধির মধ্যে রয়েছে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক অনুবিভাগে কর্মরত সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী।

তবে এনবিআর সংশ্লিষ্টদের অভিমত, জনবলের অভাবে বিভাগটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। সূত্র জানায়, এনবিআরের রাজস্ব বিভাগের অধীনস্থ কর বিভাগ, কাস্টমস, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) খাতে এক শ্রেণীর অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী আয়করদাতাদের সাথে আঁতাত করে প্রতি বছরই বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দিতে সহায়তা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর বিনিময়ে কর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে থাকারও অভিযোগ পেয়েছে দুদক। তাছাড়া মিথ্যা ঘোষণা আর আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে প্রতি বছরই সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এ ধরনের সুযোগ তৈরি করে দিয়ে অসৎ আয়ে পাহাড়সম অবৈধ অর্থ-সম্পদের মালিক বনে গেছে অসংখ্য ছোট-বড় কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আজ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কোনো শাস্তির নজির নেই। বরং আইনের ফাঁক গলে রাজস্ব আÍসাতের মূল সহযোগীরা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই রাজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়-সম্পদ ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি অনুসন্ধ্যানে মাঠে নেমেছে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান দল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.