আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলফ্রেড হিচকক - দ্যা মাস্টার অফ সাসপেন্স

লেখালেখির জগতে এক ‘‘ক-অক্ষর গোমাংস’’। ইতিউতি চেয়ে, এখান-সেখান থেকে একটু আধটু নিয়ে একেবারে পড়ার অযোগ্য নয় এমন কিছু লেখার প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাওয়া এ সময়কার এক নিধিরাম সর্দার।

১৮৯৯ সালের ১৩ আগস্ট আলফ্রেড হিচকক জন্মগ্রহণ করেন লন্ডনের লেইটোনস্টোনে। তার বাবা উইলিয়াম হিচকক শাক-সব্জি ও পোলট্রির ব্যবসা করতেন। মার নাম ছিলো এমা জেন হিচকক।

হিচককের জন্মের পর তার বাবা নিজের ভাই আলফ্রেডের নামটাই ছেলের নাম হিসেবে রেখে দেন। তাকে প্রথমে লন্ডনের স্ট্যামফোর্ডের জেসুইট ক্লাসিক স্কুলে এবং পরে সেন্ট ইগনেসিয়াস কলেজে পড়ানো হয়। তার যখন ১৪ বছর বয়স, তখন তার বাবা মারা যান। সে বছরই তিনি লন্ডন কাউন্টি কাউন্সিল স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড নেভিগেশনে ভর্তি হন। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে তিনি একটি কেবল কোম্পানিতে ড্রাফটসম্যান ও অ্যাডভার্টাইজিং ডিজাইনার হিসেবে যোগ দেন।

এ সময়েই তিনি ফটোগ্রাফির প্রতি ঝুঁকে পড়েন এবং ফিল্ম প্রোডাকশনের কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি প্যারামাউন্ট পিকচার্সের লন্ডন শাখায় টাইটেল ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯২০ সালে তিনি আইলিংটন স্টুডিওতে টাইটেল ডিজাইনার হিসেবে পাকাপাকিভাবে কাজ পান। আর এর মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই তিনি পুরোদস্তুর চলচ্চিত্র পরিচালক হয়ে ওঠেন। পরিচালক হিসেবে হিচকক প্রথম দিকে তেমন সুবিধা করতে পারেননি।

তার প্রথম কয়েকটা ছবি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। তিনি ১৯২২ সালে তার প্রথম ছবি ‘নাম্বার থার্টিন’এর কাজ শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই অর্থসঙ্কটের কারণে ছবিটির কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। আর যা কাজ করা হয়েছিলো, তার অনেকগুলো দৃশ্যও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় হারিয়ে যায়। ১৯২৫ সালে বের হয় ‘দ্য প্লেজার গার্ডেন’ এবং ব্যবসায়িকভাবে চূড়ান্ত রকমের ব্যর্থ হয়।

তবে এর মাঝেও তিনি আরো একটি ছবির কাজ করেছিলেন। ‘অলওয়েজ টেল ইয়োর ওয়াইফ’ নামের ছবিটি মুক্তি পেয়েছিলো ১৯২৩ সালে। কিন্তু সেটাতে পরিচালক হিসেবে তার নামই উল্লেখ করা হয়নি। ১৯২৬ সালে তিনি বের করেন তার পরবর্তী ছবি ‘দ্যা মাউন্টেন ঈগল’। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিলো ‘ফিয়ার অফ গড’ নামে।

এটাও ফ্লপ। অবশেষে হিচককের ভাগ্য ফিরলো। আর তা একটা থ্রিলার ছবি দিয়েই। ১৯২৭ সালে হিচকক তার প্রথম থ্রিলার ছবি তৈরি করলেন। ‘দ্যা লজার : এ স্টোরি অফ দ্য লন্ডন ফগ’ ছবিটি যুক্তরাজ্যে সে বছরের অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি হয়ে উঠলো।

আর ছবিটির সাফল্যে আলোচনায় উঠে এলেন হিচকক। বছরের শেষের দিকে তিনি আবারও উঠে এলেন আলোচনায়। ডিসেম্বরের ২ তারিখ তিনি তার সহকারী পরিচালক এলমা রেভিলেকে বিয়ে করলেন। ১৯২৮ সালের ৭ জুলাই তাদের একমাত্র সন্তানের জন্ম হ্য়। এলমার সঙ্গে হিচককেরে সংসার আমৃত্যু টিকে ছিলো।

[তথ্যসূত্র : অন্তর্জাল]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.