অজানাকে জানতে এক দূর্নিবার যাত্রা।
খুব একটা যে বেশি যাওয়া হয় ঢাকা বললে ভূল হবে। তবে যাই মাঝে মাঝে।
এই তো সেদিন ও গিয়েছিলাম এবং যে আভিজ্ঞতা হয়েছে ঢাকা সিটির মেয়ে সম্পর্কে তাই বলব এখন, কথাতা শুনে আপ্নারা বলবেন আমার ধারনাটা কি একেবারেই ভূল-
আমার এক বন্ধুর সাথে যাচ্ছিলাম ফার্মগেট থেকে মতিঝিল-
বাসেতে একটি সিট খালি থাকায়,বন্ধুর অনুরোধে আমিই বসলাম। পাশেই বসা ছিলো একটা মেয়ে।
মনে হচ্ছিলো সে নিজের বাড়িতেই আছে তাইতো মেক্যাপ নিয়ে সদা ব্যাস্ত।
এরকম, মেয়ের পাশে বসে যাওয়ার কনো অভিজ্ঞতা না থাকায় এম্নিতেই আন ইজি ফিল করছি-তবুও আছি বসে উপায় নেই ভেভে-
সিটের মাজখানে দিয়ে বেশ কয়েকটা মেয়ে দারিয়েছিলো, একটু ঝাকুনিতে যারা এসে হুম্রি খেয়ে পরত আমার উপরে ।
ঠিক আমার সামনেই যে মেয়েটি ছিলো তাকে দেখে আমার খুব মায়া হচ্ছিলো কেনোনা,তার কাধে একটি ব্যাগ ছিলো সম্ভত তার মধ্যে অনেক কিছু ছিলো বেশ ভারী বলে মনে হচ্ছিলো-
অনেকবার বসার চেষ্টা করছিলো কিন্তু প্রত্তেক বারই ব্যার্থ হচ্ছিলো।
ড্রেসাপ দেখে মনে হচ্ছিলো হয়তো ভার্সিটি লেভালের ছাত্রি হবে।
হঠাৎ, আর একটা ঝাকুনিতে পাশে বসে থাকা মেয়েটি এসে আমার গায়ের উপর প্রায় জরিয়ে ধরে পরলো,যার প্রেক্ষিতে তার ঠোঁটের লিপিস্টিকে আমার শার্টের কলার একেবারে কি বলব-
তার পর সত্যি আমি অবাক এমন ভাব দেখাচ্ছে মেয়েটি যেনো কিছুই হয়নি।
আমার শার্টের বারোটা বাজানোর পরেও সরি টুকোও বলতে নারাজ।
আর ভাবখানা এমনটি দেখাচ্ছে যেনো আমি নিজেই এর জন্য দায়ী। অথচ আমি অনেক সতর্ক ছিলাম যেনো একটু ছোঁয়া না লাগে।
এই রকম ঘটনার পরে আর সম্ভব হচ্ছে না সেই খানে বসে থাকতে ।
কি করা জায় ভাবতেই মেয়েটি যে সামনে ছিলো ওর কথা মনে পরায় অতি ভদ্রভাবে বললাম,
আপু আপনি এইখানেই বসুন মনে হচ্ছে আপনার কষ্ট হচ্ছে।
এই বলে আমি যখন নাজের সিটটি ছেরে দিলাম-
সঙ্গে সঙ্গে বসে পরলো। তারপর একদম চুপ!!!
ধন্যবাদ জানানোর প্রয়োজনটুকোও সে মনে করলো না।
অনেক বেশি যাত্রি থাকায় বাধ্য হয়ে সামনেই দাঁড়াতে হলো মেয়েটির।
সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছি তখন-
একটু ঝাকুনিতে আমার পায়ের সাথে যখন তার পা ছোঁয়া লাগলো-
মস্ত বড় অপরাধি ভেবে যা ইচ্ছে তাই বলে গালা গালি করতে লাগলো-
অসভ্য,ইতর,ছোটলোক ইত্যাদি।
এই ঘটনার পরে চারপাশের সবাই আমাকে বলতে লাগলো বাড়িতে মা-বোন নেই আরও কত কী ???
একটু পরে কন্ট্রেক্টার সাহেব একরকম গলা ধাক্কা দিয়েই নিচে নামিয়ে দিলো।
এত কিছু হচ্ছে অথচ আমি হতবাক-নিরব!!!
ব্যাপারটা বোঝার আগেই দেখি আমি নিচে দাঁড়িয়ে-বাস্টি ছলে যাচ্ছে তার নিজস্ব গতিতে।
আমার বন্ধুটি অনেক পিছনে থাকায় কিছুই টের পায় নি।
রাতে যখন বন্ধুটির মেসে ফিরলাম, তখন বল্লো -
বাস থেকে নেমে কোথায় গিয়েছিলি ফোনটাইবা কেনো বন্ধ ছিলো।
লজ্জায়,ঘৃনায় আর বড্ড অভিমানে বলতে পারিনি কছুই !!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।