আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাস্টমার সার্ভিসগুলোর করুণ অবস্থা !!


কাস্টমার সার্ভিস বা গ্রাহক সেবা বলে একটা কথা এই দেশে প্রচারণায় আছে বাস্তবে নেই। যেখানে যাই সেখানেই ভোগান্তি। এ ব্যাপারে আমার এবং পরিচিতজনদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি- মিরপুর ২নং শিশু হাসপাতাল কয়েকদিন আগে পত্রিকায় ঢাকার রায়েরবাগের শিশুহাসপাতলের করুণ অবস্থা নিয়ে রিপোর্ট এসেছিল। এরকম আরেকটি হলো মিরপুর ২নং শিশু হাসপাতাল। এখানকার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এখানকার দাড়োয়ান থেকে শুরু করে ঝাড়ুদার, নার্স, আয়া এবং ডাক্তাররা চরম অভদ্র।

SCANU নামে নবজাতকদের একটা ইউনিট আছে যা চরম অগোছালো। আর সেখানকার নার্স একেকজন প্রাইমমিনিস্টার। শিশুর মা, আত্মীয়স্বজনদের সাথে চাকরের মতো ব্যবহার করে। আর ডিউটি অফিসার যে ডাক্তাররা থাকেন তাদের ভিতর মহিলা ডাক্তারদের ব্যবহার এত করুণ কেউ না দেখলে বিশ্বাস করবে না। কর্তৃব্য চিকিৱসক ডা: আকতারুজ্জামান (01715627727) সাহেবকে এ ব্যাপারে বললে উনি বারবার বিষয়গুলো এড়িয়ে যান।

সন্তানদের চিন্তায় মানুষ এখানে অসহায়ভাবে এদের অত্যাচার সহ্য করে। একবার যে আসে- মন্তব্য মানিকগঞ্জ থেকে আসা কামরুল ভাইয়ের (আল্লাহ এই অসভ্যদের থেকে একবার বাইর করলে বাচি)। এরকম অবস্থা প্রায় সব হাসপাতালগুলোর তা সে ল্যাব-এইড বা ঢাকা মেডিকেল হউক। জনগণের ট্যাক্সের টাকায়, ফি-এর টাকায় এরা জীবিকা নির্বাহ করার পরও এদের সেবা তো দূরে থাক ব্যবহারগুলো করে চরম ইতরের মতো। কাষ্টমার সাভির্স অফ ইন্টারনেট প্রোভাইডারস এ ব্যাপারে আপনারাই আপনাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন।

কিউবির কাস্টমার সার্ভিস থেকে লাইন ডিসকানেক্ট হওয়ার সমাধান দিতে সময় লাগে ২ দিন। এ ব্যাপারে হাসিন ভাইয়ের চমৎমকার অভিজ্ঞতার কথা এখান থেকে থেকে পড়ে নিতে পারেন। গ্রামীণের যে হারামির ফোন একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর একটেলের মাসে ৩০ দিনের মধ্যে কমপক্ষে ১০ দিন, অনেক সময় তারও বেশি সময় ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ থাকছে নিয়ম করে। অথচ বকেয়া বিলের জন্য মিনিটে মিনিটে এসএমএস, প্রতি চারদিন পর পর সুকণ্ঠীর (ভুটকিই হবে!) ফোন- 'স্যার, আপনার বিল হয়েছে এতো টাকা...অতো পয়সা।

' কিন্তু ইন্টারনেট সার্ভিসের নামে এই যে এতো এতো টাকা প্রতি মাসে নেওয়া হচ্ছে, সেটা বন্ধ থাকলে এসএমএস তো দূরের কথা, আপনি এমনকি অভিযোগও জানাতে পারবেন না। অভিযোগ জানানোর জন্য যে নম্বরটি (১২৩) আছে, সেখানে কল করলে প্রতিদিনই একই অবস্থা। কি রাত কি দিন সবসময়ই নাকি এদের কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভরা বিজি থাকে। জুম, ফুম ইজ গোয়িং অন................ বিক্রির ব্যাপারে মোবাইল কোম্পানীগুলোর যতটা দৌড়ঝাপ, কাস্টমার সার্ভিসের ব্যাপারে খুবই কাহিল অবস্থা। ব্যাংকেগুলোতে যান, কর্পোরেট হাউজগুলোতে কোন কাজের জন্য যান একেকজন টাই পরে প্রেসিডেন্ট হয়ে যায় আর লিপস্টিক বা চুল ঠিক করতে ব্যস্ত থাকে।

চেয়ারে যাদের জন্য বসা তাদের দিকে খেয়াল করার লোক খুবই কম। মনির হোসেন নামে একজন ট্রেইনারের অভিজ্ঞতা দিয়ে শেষ করছি-------------- উনি আমেরিকাসহ বাংলাদেশে বড় বড় কর্পোরেট হাউজগুলোতে ট্রেনিং দিয়ে থাকে। একদিন উনার ভাতিজি এসে বললো তুমি আর আমেরিকান এয়ারলাইন্সে(এএ)-এ উঠবে না। মনির সাহেব বললেন কেন? ভাতিজি বললো- ওখানকার এয়ারহোস্টেসরা ভালো না। মি: মনির বললেন একটু ভেঙ্গে বলো তো মা।

ভাতিজি- দেখো আংকেল আমরা বন্ধুরা মিলে ঐ প্লেনে লস অ্যাঞ্জেলস যাচ্ছিলাম। আমরা একটু হৈ-হুল্লোড় করছিলাম দেখে এক এয়ারহোস্টেস আর একজনকে দেখিয়ে বললো- বড় লোকের উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলে-মেয়ে। আমার অনেক খারাপ লাগছিল। কোনটার সাথে কোনটা মিলালো। মনির সাহেব আমাদের বললেন- আমি এই কথাটা ২০,০০০ হাজার লোকের সামনে বলেছি।

আর আপনারা এই ৬০জন সহ হলো ২০,০৬০জন। এটাই কাস্টমার সার্ভিস। আপনি ভালো সার্ভিস দিলে ১ জন থেকে ১০ জনের কাছে যাবে। আর খারাপ সার্ভিস দিলে ১ জনের কাছ থেকে তা পৌছে যাবে ১০০ জনের কাছে।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.