আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুসংবাদ

* আমি খুজে বেড়াই নিজেকে *

বেসরকারি খাতে ইজারা দেওয়া বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) সাতটি পাটকলেরই ইজারা বাতিল হচ্ছে। সরকার শিগগির এগুলো নিজ উদ্যোগে আবারো চালু করবে। এজন্য সম্ভাব্য ব্যয়ের অর্থের যোগান আসবে সরকারি তহবিল থেকেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জের কওমী এবং খুলনার পিপলস জুট মিল চালুর জন্য ১০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং পাটকল দুটি পরীক্ষামূলকভাবে চালুও হয়েছে। যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করে এ দুটি পাটকলে স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রাথমিক উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সময় অনুুযায়ী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হতে পারে। পাটকল শ্রমিক নেতা শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং বস্ত্র ও পাট সচিব আশরাফুল মকবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সিরাজগঞ্জের কওমী পাটকল, খুলনার পিপলস পাটকল, দৌলতপুরের আরআর ও এমএম, রাজশাহী পাটকল, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী পাটকল ও ঢাকার ফুয়াদ কর্ণফুলী কার্পেটস বেসরকারি মালিকানায় পরিচালনার জন্য পাঁচ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। সেসময় পাটকলগুলোর বকেয়া মজুরির বেশিরভাগ অর্থই শ্রমিকদের পরিশোধ করা হয়। তৎকালীন উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইকবালের উদ্যোগে এ অর্থ ছাড় ও শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের 'সোনালী আঁশ' হিসেবে পরিচিত পাট ও পাট শিল্পের বিকাশে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ইজারা দেওয়া ওই সাতটি পাটকলের শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কর্মসংস্থানের কথা বিবেচনা করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পুনরায় সেগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত ১২ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাটকলগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে সিরাজগঞ্জের কওমী এবং খুলনার পিপলস পাটকল চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য ১০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "মন্ত্রিসভা সাতটি পাটকলই পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এজন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা একই অর্থবছরে মঞ্জুর করা সম্ভব নয়। তাই প্রথমে কওমী ও পিপলস পাটকল চালু করা হবে। পরবর্তীতে আরো দুটি এবং সর্বশেষ ধাপে আরো তিনটি পাটকল চালু করা হবে। " প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, কওমী ও পিপলস পাটকল চালুর জন্য ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু হয়েছে।

বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় বন্ধ হওয়া আদমজী পাটকলের বেশ কিছু যন্ত্রাংশ পাটকল দুটিতে স্থানান্তর ও স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে পাটকল দুটি কার্যকরভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। একইভাবে অন্য পাটকলগুলো চালু করার ক্ষেত্রেও আদমজী পাটকলের পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হতে পারে বলে তিনি জানান। বস্ত্র ও পাট সচিব আশরাফুল মকবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কওমী ও পিপলস পাটকল চালু করার জন্য অর্থ ছাড় করতে অর্থ এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে। সর্বশেষ রোববারও দুই মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়।

সেখানে দ্রুত অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা হয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) মালিকানাধীন পাঁচটি পাটকল বেসরকারি মালিকানায় পরিচালনার জন্য ইজারা দেয়। এ পাঁচটি পাটকল হচ্ছে- সিরাজগঞ্জের কওমী, খুলনার পিপলস, রাজশাহী পাটকলের বর্ধিত অংশ, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী পাটকল ও ঢাকার ফুয়াদ কর্ণফুলী কার্পেটস। এর আগে ইজারা দেওয়া হয় আরআর এবং এমএম পাটকল। অর্থ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, সরকার পাটকলগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ ব্যাপারে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার দেশের পাটকলগুলোকে দেনামুক্ত করতে এগুলোর ঋণের প্রায় দুই হাজার পাঁচশ' কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ১৬টি পাটকলের উৎপাদন কার্যক্রমের জন্য নতুন করে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়। সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।