আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছিনতাই থেকে বাচার কিছু কমন উপায়

অভ্র, যুগান্তকারী বাংলা লেখার সফটওয়ার। জটিল কিবোর্ড লেআউট মুখস্থ করতে না পেরে যারা বাংলা লেখাকে ভুলতে বসেছিলেন, বিদেশী ভাষায় চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলা লেখা, তাদের জন্য, আমাদের সবার জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে ফ্রি সফটওয়ার অভ্র। অভ্রর সহজবোধ্য লেখার উপায় ও ইউনিকোড ভিত্তিক ফন্টের কারণেই আজকের ব্লগিং জগতে বাংলার এই সদর্প পদচারণা। এই গ্রুপটিতে আমরা অভ্র নিয়ে কথা বলবো, অভ্রর এই সঙ্কট মুহূর্তে প্রিয় সামহয়ারইন ব্লগের ব্লগারদের কণ্ঠে ধ্বনিত হবে - "ভাষা হোক উন্মুক্ত"।  

প্রথমে কিছু বাস্তব ঘটনা দিয়ে শুরু করি... ১।

আমার এক বন্ধু সকাল ৭টা ৩০ এ বাসের জন্য বাস স্ট্যন্ডে দাঁড়িয়ে আছে ,তখন লোকজন আসেনি। হটাৎ পিছন থেকে একজন ধাক্কা দিল । পিছনে তাকাতেই লোকটি তার হাত সক্ত করে ধরে ফেলল । এবং ধাক্কা দেয়ার জন্য সরি বলতে বলল। কি অদ্ভুত ব্যপার,নিজে ধাক্কা দিয়ে নিজেই সরি বলতে বলে! কথায় কথায় লোকটি আমার বন্ধুর কোথায় থাকে,কি করে,ঢাকায় কতদিন হল এসেছে তা জানার চেস্টা করল।

একটি অবস্যম্ভাবী বিপদের আভাস পেয়ে সে সরি বলে সরে আসার চেস্টা করল। কিন্তু লোকটি তখনো তার হাত সক্ত করে ধরে আছে। কিছুক্ষনের মধ্যে পিছন থেকে আরো একজন ধাক্কা দিল। লোকটিকে কোনভাবে ছিনতাইকারী মনে হয় না,পাঞ্জাবি পরা মাথায় টুপি,আর লম্বা দাড়ি, পুরো পরহেজগার দের মত চেহারা। বাধ্য হয়ে আমার বন্ধু জিজ্ঞেস করলো -আপনারা কি চান? তারা বলল -আওয়াজ আস্তে! সকালের নাস্তা করুম তারাতারি পাচশ টাকা দে।

আমার বন্ধুর পকেটে দশ টাকা ছিল। সে সেই টাকা বের করে দেখাল। । লোকগুলো তার পকেটে হাত দিতেই তাদের হাতে আমার বন্ধুর নকিয়া ৫৮০০ ফোনটি । তার বলল এটা কি? নিশিদ্ধ ঘোষিত অস্ত্র নাকি? এই দেখ আমার কাছে আছে একটা বলে একজন তার কোমোরের দিকে নির্দেশ করল(আমার বন্ধু তার কোমোর হাতিয়ে অবশ্য কিছু পায় নি)।

তো তারা আমার বন্ধুকে তার ফোন টি বের করতে বলে। ততক্ষনে সেখানে কিছু মানুশ আসতে শুরু করেছে । আমার বন্ধু বুঝলো এটা একমাত্র সূযোগ। সে জোরে করে বলে উঠে আপনারা এই মুহুর্তে না গেলে আমি পুলিশ ডাকবো, আল্লাহের মেহেরবানীতে কাছেই একজন ডিবি পুলিশ ছিল । তিনি কাছে এগিয়ে আসতেই আরো একজন মোটরসাইকেল আরোহী এসে ঐ দুজন কে নিয়ে গেল।

একটুর জন্য আমার বন্ধু বেচে গেল। ২। ভার্সিটির ক্লাস শেষ করে বের হয়েছি। বসুন্ধারা আবাসিকের গেটের কাছে একজন খাটো মানুশ দাঁড়িয়ে ছিল। আমাকে দেখে আমার দিকে এগিয়ে এল।

আমাকে বলল ভাই, একটু দরকার আছে , দয়া করে গলির মধ্যে আসবেন কি। এই কথা বলতে বলতে সে দুইবার আমার হাত ধরার চেস্টা করল। ভালোমত তাকিয়ে দেখি গলির মধ্যে আরো একজন দারিয়ে আছে। আমি তার হাত থেকে কোনমতে হাত ছুটিয়ে রাস্তা পার হলাম ঐ লোকটি আমাকে অকথ্য ভাষায় ডাকছিল। আমি পিছনে না তাকিয়ে সোজা হেটে বাসে উঠলাম।

৩। আমি আর আমার ঐ বন্ধু হেটে ধানমন্ডি যাব বলে বের হয়েছি। বাংলামটর ওভার ব্রিজের নীচে দিয়ে আমার বন্ধু পার হতে চাইলে আমি তাকে বাধা দিলাম। এতে আমার বন্ধুর অসচেতনতা প্রকাশ পেল। অভারব্রিজের সিড়ির কাছে থেকে একজন লোক আমাদের পর্যবেক্ষন করছিল কাছে যেতেই লোকটি আমার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলো ,ভাই বাংলামটর মসজিদ কোনদিকে,আমি তাকে বলে দিলাম,সে আমার বন্ধুকে দেখিয়ে দিতে বলল, আমার বন্ধু গেলনা।

আমরা যখন ব্রিজ পার হয়েছি,তখন দেখি লোকটিকে একজন মোটোরসাইকেল আরহী নিয়ে গেল। ঘটনাগুলো একটি থেকে অন্যটি আলাদা , এগুলোতে ছিনতাই করার পদ্ধতি ও আলাদা। তবে এই ঘটনা গুলোর মধ্যে কিছু মিল আছে । ছিনতাইকারীর কবলে পরার সম্ভাবনা কমাতে যা করা উচিতঃ ১। সচেতন থাকুন ।

ছিনতাইকারীর মুল অস্ত্র হল আমাদের দুর্বলতা আর অসচেতনতা। ২। সাহসী হন বা না হন চেহারায় সবসময় কনফিডেন্স রাখবেন। আর প্রকৃতপক্ষে সাহসী হওয়ার চেষ্টা করুন। সাহসী মানুস সহজে বিপদে পরেনা।

৩। আর আপনারা যদি সন্দেহ করেন যে আশেপাশের কারো সাথে এরকম কিছু হচ্ছে , দয়া করে এগিয়ে যান। অনধিকার চর্চা নিয়ে বসে থাকার দিন আর নেই। আর যদি এরকম কোন বিপদে পরেই যান তবে কি করবেনঃ ১। আপনার হাত সমসময় খোলা রাখুন।

কখনো হাত ধরতে দেবেন না। অন্তত বিপদের সময় দৌড় দিতে পারবেন। আর আপনার হাত যদি ধরেই ফেলে,তবে সকল শক্তি দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিন। এতে আপনি মুক্ত হতে পারবেন ,আবার আততায়ী আপনার আচরনে ভয় পাবে। ২।

বিপদে পড়লে ভয় পাবেন না। কনফিডেন্সের সাথে কথা বলুন । এবং ছিনতাইকারীকে এই বিষয়ে ধারনা দিন আপনার কাছে থেকে কিছু নেয়া এত সহজ নয়। কখনো এমন ভাব করবেন না যে আপনার কাছে কিছু নেই , এতে আপনার ভীতু ভাব স্পষ্ট হয়ে যাবে। ৩।

আপনাকে অস্ত্রের ভয় দেখালে চেষ্টা করবেন অপেক্ষাকৃত দূরে সরে যাওয়ার। কোন দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে নিরাপদ দুরত্ত আপনাকে বাচতে সাহায্য করবে। যদিও সাধারনত ভয় দেখানো ছাড়া অন্য কিছু করার সাহস ওরা পায় না। ৪। অপেক্ষাকৃত উচ্চসরে কথা বলুন এতে আশেপাশে মানুশ থাকলে তারা এগিয়ে আসবে।

৫। কথা বেশী বারাবেন না। হাত মুক্ত থাকলে সামান্য কথা বলেই নিরাপদ দুরুত্তে সরে যান আমি শুধু সামান্য কিছু কথা তুলে ধরেছি। সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন সাবধানতা । সাবধানতার কোন বিকল্প নেই ।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।