আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরান ঢাকা থেকে বিপজ্জনক কলকারখানা ও দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের গুদাম অপসারণ ও ‘ড্যাপ’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশসম্মত ঢাকা বাস্তবায়নের দাবি।

িশক্ষা, প ি র ে ব শ, স্বাস্থ্য, িবষয়ক উন্নয়ন কর্মসূচীর সােথ জনগ েনর অংশগ্রহন িন িশ্চত করণ।

পুরান ঢাকা’র নিমতলীতে ৩ জুন, সন্ধ্যারাতে দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের গুদামের অগ্নি বিস্ফোরণে সারাদেশ কাঁপানো দুর্ঘটনায় হারিয়ে গেল ১২৪টি তাজা প্রাণ। ভয়াবহতম সেই ‘অগ্নি বুলেট বিস্ফোরণে’র কথা স্বরণ করে এখনো মধ্যরাতে ঘুমের ঘোরে কেঁদে উঠেন স্বজন হারানো এই মানুষেরা! সেই থেকে নিরন্তর কাঁদছে পুরান ঢাকার মানুষ। সরকার নিমতলীর দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের গুদামে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে পুরান ঢাকা থেকে বিপজ্জনক কলকারখানা ও দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের গুদাম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেন। এই দুমাস আরও দু-দু বার সময় নিয়ে ও দিয়েও সংশ্লিষ্ট, গুদাম ও বিপদজ্জনক কারখানা সরানোর কাজটি আদেশের মধ্যেই আটকে আছে।

বাস্তবচিত্র হলো আজ পর্যন্ত এসব এলাকার দাহ্য রসায়নিক পদার্থের গুদাম ও বিপজ্জনক কারখানার একটিও সরকারি সিদ্ধান্তে বন্ধ কিংবা সরানো হয়নি। নবাব কাটারায় যে ভয়াবহ নির্মমতা ঘটে গেছে তা পুরান ঢাকার পাড়া মহল্লা, পরিবেশের জন্য কত যে ভয়াবহ নির্মমতা সৃষ্টি করতে পারে, তা ইতোমধ্যেই রাজধানীবাসিসহ সমগ্র জাতির কাছে ‘নিমতলী ট্রাজেডী’ নামক উপাখ্যানে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি তেজগাঁওয়ে বিষাক্ত গ্যাসে যে ২৫ জন মানুষ অসুস্থ্য হওয়ার খবর তা ধারাবাহিক এই নিমর্মতাকে আরও বিস্তৃতি ঘটাতো। আর এই অনাকাঙ্খিত সকল ঘটনাই ঘটছে পরিকল্পিত নগরী ও গৃহায়ন আইনকে অগ্রাহ্য করার ফলে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রার জন্য তাঁর মতা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে দখল হওয়া নদ-নদী, খাল-বিল, উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এবং এরই অংশ হিসেবেই রাজধানী ঢাকাকে বিশ্বমানের পরিবেশসম্মত নগরী গড়ার ল্েয তাঁর সরকার ‘ড্যাপ’ অনুমোদন করেছেন। এবং বক্তারা তা অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানান। নিমতলীর ‘ভয়াবহ ট্রাজেডী’র পূর্বে আগাসাদেক রোডের নির্মম মৃত্যুর ঘটনা, বেগুণবাড়ির ভয়াবহ ভবনধসের ঘটনা! এসবই ঘটেছে অপরিকল্পিত নগরায়নের জন্য। রাজউকের নীতি অনুযায়ী রাস্তা থাকলে উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভয়াবহ আগুন দ্রুত আয়ত্তে আনতে পারতো এবং এর ফলে প্রাণহানির সংখ্যাও এত র্দীঘ হতো না। তাই ভয়াবহ এই ‘নিমতলী ট্রাজেডী’ আমাদের চোখে আঙ্গুল রেখে শিা দিয়েছে, পরিবেশসম্মত নিরাপদ রাজধানী শহর ঢাকা প্রতিষ্ঠা করতে হলে ‘ড্যাপ’ বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই।

সুপারিশ করেন যতদিন না সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমের পুরান ঢাকা থেকে বিপজ্জনক কলকারখানা ও দাহ্য রাসয়নিক পদার্থের গুদাম স্থানান্তরপূর্বক গৃহায়ন আইন মোতাবেক সংরতি মার্কেট,ভবনে সরানো না হয় ততদিন বিপজ্জনক কলকারখানা, দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের গুদাম, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপরে অবগতির মাধ্যমে বিপজ্জনক চিহ্ন লাল, হলুদ সংকেত যুক্ত সাইনবোর্ড প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হউক । পাশাপাশি এসব হোল্ডিংস এর বাড়ি ঘর স্থাপনা যাতে আবাসিক উদ্দেশ্যে সাধারণ মানুষের কাছে ভাড়া দেওয়া না হয় তার নজরদারি তদারকি থাকাও জরুরি। সরকারের শীর্ষ কর্তৃপ ও সংশ্লিষ্ট এজেন্সীসমূহ যথা ডিসিসি ও অগ্নিনির্বাপন কর্তৃপ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সংশ্লিষ্ট থানা এবং রাজউকসহ স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে আহবান জানানো হয়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।