আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরান খবর

আজাইরা প্যাঁচাল ছাড়া অন্যসব

বিশ্বকাপ ত্রিক্রকেট শুরুর প্রায় এক বছর (1 এপ্রিল 2006) আগে আনস্নর্জাতিক ত্রিক্রকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ঘোষণা করেছিল আসরের ফিকশ্চার। সেই ফিকশ্চার ধরে সুপার এইটের প্রথম খেলাটি হওয়ার কথা 'এ' গ্রুপের প্রথম দল অসদ্ব্রেলিয়ার সঙ্গে 'ডি' গ্রুপের দ্বিতীয় দল আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। সাধারণ ধারণা অনুযায়ী গ্রুপের শীর্ষ দল বোঝাতে গ্রুপের সঙ্গে 1 এবং দ্বিতীয় দল বোঝাতে গ্রুপের সঙ্গে 2 এভাবে গ্রুপ সদ্ব্যান্ডিং করা বিশ্বস্ট্বীকৃত; কিন্তু গতকাল জানা গেল_ না, এবারের বিশ্বকাপ ত্রিক্রকেটের আয়োজকরা চলেছেন ভিল্পম্ন পথে। আইসিসি র্যাংকিং সে সঙ্গে আয়োজকদের আবদার রক্ষা করতে গিয়ে তারা পুরো গোঁজামিল বাধিয়ে ফেলেছেন ফিকশ্চারে। গ্রুপ থোরাই কেয়ার।

তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়েও 'ডি' গ্রুপের দ্বিতীয় দল ওয়েসদ্ব ইন্ডিজ। সে কারণেই তারা অ্যান্টিগায় সুপার এইটের প্রথম ম্যাচটি খেলবে অসদ্ব্রেলিয়ার সঙ্গে। আইসিসির অফিসিয়াল ফিকশ্চার অনুযায়ী এ ম্যাচটি হওয়ার কথা অসদ্ব্রেলিয়া-আয়ারল্যান্ড। কেন ওয়েসদ্ব ইন্ডিজ 'ডি' গ্রুপের দ্বিতীয় দল? সুপার এইটের ফিকশ্চার হাতে নিয়ে বিভ্রানস্নি দহৃর করতে প্রথমেই এমন প্রশম্ন জাগবে মনে। আইসিসির ব্যাখ্যায় উত্তরটি শুনুন, সুপার এইটের ফিকশ্চারের বর্ণিত দলগুলো নির্ধারিত হয়েছে আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিং নিয়ে।

এর সঙ্গে চলতি গ্রুপ পর্বের খেলার ফলের কোনো সংশি্নষদ্বতা নেই! অর্থাৎ দক্ষিণ আফিদ্ধকা শনিবার সেন্ট কিটসে অসদ্ব্রেলিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ শীর্ষে থাকলেও সুপার এইটে তারা বিবেচিত হতেন এ 2 দল হিসেবেই। কারণ বিশ্বকাপের ফিকশ্চার করার সময় অসদ্ব্রেলিয়াই যে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল। যেমনটি হয়েছে 'ডি' গ্রুপের সদ্ব্যান্ডিং চূড়ানস্ন করতে গিয়ে। বিভ্রানস্নির শুরু তখনই যখন বলা হলো ওয়েসদ্ব ইন্ডিজ 'ডি' গ্রুপের দ্বিতীয় দল, আয়ারল্যান্ড শীর্ষ দল। তারও যুক্তি পাওয়া গেল।

বলা হলো, পাকিস্টস্নানকেই ওই গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে বিবেচনায় নিয়েই ফিকশ্চার করা হয়েছিল। ওয়েসদ্ব ইন্ডিজ ছিল দ্বিতীয় দল। যেহেতু পাকিস্টস্নান সুপার এইটে যেতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই সুপার এইটের ফিকশ্চার ঠিক রাখতে আয়ারল্যান্ডকে রাখা হয়েছে গ্রুপের শীর্ষ দল (ডি-1) হিসেবে। মনের মতো আর কী। যেখানে গ্রুপ পর্বে খেলার অর্জনকে কোনো বিবেচনায় আনা হয়নি।

হয়েছে স্ট্বাগতিকদের সুবিধা, দর্শকের উপস্টি্থতি আর অন্যসব অবকাঠামোগত বিষয়গুলো। এখানেই শেষ নয়, সুপার এইট পর্বটিই তো বানানো হয়েছিল বাংলাদেশ ও জিল্ফ্বাবুয়েকে বাদ রেখে আইসিসির পহৃর্ণ সদস্য অবশিষদ্ব আটটি দলকে বিবেচনায় রেখেই। সে হিসাব পাল্কেল্ট দিয়েছে আয়ারল্যান্ড আর বাংলাদেশ। পাকিস্টস্নান ও ভারতকে সুপার এইটের বাইরে রাখার সব আয়োজনই মোটামুটি গুছিয়ে এনেছে তারা। পাকিস্টস্নান তো দেশেই ফিরে গেছে আর ভারতীয় দল অপেক্ষা করছে ত্রিনিদাদে।

বাংলাদেশ-বারমুডার ম্যাচেই তাদের বিশ্বকাপে আয়ুষ্ফ্কাল নির্ধারণ হবে। গ্রুপ 'ডি'র শেষ ম্যাচে বারমুডার বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতলে দ্বিতীয় রাউন্ড আর হারলে বিশ্বকাপের পরের পর্বে খেলবে ভারত। অসল্ফ্ভব এক ফলাফলের প্রত্যাশা নিয়ে দ্রাবিড়দের তাই অপেক্ষা ত্রিনিদাদে। তবে বাংলাদেশের সুপার এইটে সল্ফ্ভাব্য প্রথম ম্যাচটিও এ অ্যান্টিগাতেই, প্রতিপক্ষও থাকছে অসদ্ব্রেলিয়া। এমন বিভ্রানস্নি কেন? বাংলাদেশ ত্রিক্রকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাধারণ সমঙ্াদক মাহাবুব আনাম জানালেন, এমন প্রস্টস্নাব অনুমোদনের সময়ই বিষয়টি নিয়ে আইসিসির সভায় বিস্টস্নর তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল।

কিন্তু ওয়েসদ্ব ইন্ডিজ আগেভাগেই চারটি দেশের ম্যাচ ভেনু্য নিয়ে তাদের পছন্দের কথা জানিয়ে দেয়। এ চারটি দেশ হলো অসদ্ব্রেলিয়া, ওয়েসদ্ব ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড ও ভারত। এ দলগুলোর খেলা দেখতে আসা হাজার হাজার সমর্থকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্ট্থাদি সুচারু রাখতেই নির্দিষদ্ব ভেনু্যতেই তাদের ম্যাচ রাখার অনুরোধ করা হয়েছিল। তাই ফিকশ্চার নিয়ে এমন কা-। আইসিসি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল একটি সংস্ট্থা_ এমন কথা বিশ্ব ত্রক্রীড়াঙ্গনে বহুল প্রচারিত।

প্রমাণ মিলল, ফিকশ্চার নিয়ে এমন তেলেসমাতি কা-েই।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।