আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘ভারতের উচিত হাসিনাকে সর্বাত্মক সমর্থন করা’

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত চুক্তি এবং এর আওতায় ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত প্রটোকল বাস্তবায়নে এ সংক্রান্ত একটি বিল সোমবার ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় উঠছে।
এর বিরোধিতা করছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ও আসাম গণপরিষদ।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা শ্রীনিবাস বিজেপির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বিজেপি সরকারের আমলেই সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য আসাম এবং জম্মু ও কাশ্মীরের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কৌশলগত বিষয়ে তার মতামতকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করা হয়।


অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল শ্রীনিবাস মনে করেন, উগ্রবাদীদের নিবৃত্ত করতে বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর বিরোধ নিরসনে ভারত সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখানো প্রয়োজন। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকারকে সর্বাত্মকভাবে সমর্থন করা জরুরি।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক এই উপ-প্রধান বলেন, নয়া দিল্লিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সহায়তার হাত বাড়ানো প্রয়োজন।
“তিনিই সম্ভবত কোনো মুসলিম দেশের একমাত্র নেতা, যিনি জঙ্গিবাদীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। ”
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নিয়ে চলেছেন এবং তা শুধু ভারত নয়, পুরো বিশ্বের স্বার্থে করা হচ্ছে।

আমি মনে করি শেখ হাসিনাকে পূর্ণ সমর্থন দেয়া উচিত। ”
মুসলিম বিশ্বে জঙ্গিবাদের উত্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “গতকালের তথাকথিত সুপার পাওয়ার, যাদের আধিপত্য এখন ক্ষয়ে আসছে, সেই যুক্তরাষ্ট্র এই সঙ্কট তৈরি করেছে। তারাই জঙ্গিদের উৎসাহিত করেছে এবং তার মধ্য দিয়ে নাইন-ইলেভেন সংঘটিত হয়েছে। ”
যুক্তরাষ্ট্র এখনো শোধরায়নি বলেও মনে করেন তিনি।


ভারত-বাংলাদেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সুরাহা না হওয়ার জন্য ভারত সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শ্রীনিবাস সিনহা।
স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে বিরোধী দলের সমর্থন আদায় না হওয়া এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির অচলাবস্থার জন্য মনমোহন সরকারকেই দায়ী করেন তিনি।
শ্রীনিবাস বলেন, “আমি মনে করি, এর জন্য বিজেপি দায়ী নয়। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বলতা। এটা একটা অচলাবস্থা এবং তারা সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে পারছে না।

বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে আপনারা মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে নতি শিকার করছেন। ”
“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, তিস্তা নয় এবং দিল্লি কিছুই করতে পারলো না। এটা কোন ধরনের সরকার?”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.