আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহাম্মকের ময়লা লাগে তিন যায়গায় : আবারো ছায়ানটি মিতার মূর্খের ন্যায় বক্তব্য



আগের বিতর্কিত বক্তব্য খন্ডাতে আরো বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে ছায়ানটি মিতা। আহাম্মকের ময়লা নাকি তিন যায়গায় লাগে, কিন্তু তার ময়লা কয় জায়গায় লেগেছে তার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ আগে বাংলা নিউজ ২৪ (ওরফে ত্রিপুরা নিউজ ২৪) কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তার ময়লা আরো ছড়িয়ে দুর্গন্ধ বের কয়ে দিয়েছে ছায়নটি মিতা। সে তার বক্তব্যে বলেছে: ১) সে বলেছে: “আমরা এখনো এই আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছি যে আমি কী মুসলমান না বাঙালি। ” উত্তর: আবারো ভুল।

বাঙালী ও মুসলমান এই দুইটি শব্দকে সে ফের বিপরীত অর্থ হিসেবে দাড় করিয়েছে। অর্থাৎ মুসলমান যে বাঙালী হতে পারে না এটা সে এখন বিশ্বাস করে না। ২) সে বলেছে “মেয়েদের আরব দেশের পোশাক পরতে হচ্ছে মেয়েদের। আমাদের কী কোন নিজস্ব পরিচয় থাকবে না” উত্তর: মিতা ছায়ানটির সাধারণ কোন জ্ঞানবুদ্ধি নেই। সে জানেই না, আমাদের দেশের মেয়েরা বোরকা পড়ে আরবের পোষাক হিসেবে নয়, পবিত্র র্কুআন শরীফ হাদীস শরীফ নির্দেশিত পথ অনুসারে।

আর বোরকা পড়লে নিজস্ব পরিচয় থাকবে না! আবার ঐ একই কথা। অর্থাৎ মুসলমান যে বাঙালী হতে পারে সে সেটা বিশ্বাস করে না। ৩) সে বলেছে, “মুসলমান প্রমাণ করতে আমি কেন হিজাব আর বোরখা পরবো। ” উত্তর: কাদিয়ানী মত এই ছায়ানটির উপরও দেখি ওহী নাজিল হওয়া শুরু করেছে। পবিত্র কুরআন শরৗফে মহিলারা কতটুকু শরীফ ঢাকবে তা স্বয়ং আল্লাহপাক সূরা নিসা, সূরা আহযাব ও সূরা নিসা শরীফের মধ্যে বলেছেন।

আর সে বলছে মুসলমান প্রমাণ করতে বোরকা পড়ব কেন? মুসলমান কি মিতা কথা শুনে হয়, আল্লাহপাক উনার কথা শুনে? ৪) “পোশাক ধর্মের আইডেন্টিটি করে না। ” উত্তর: দেখছেন এক্কেবারে মুফতিদের ফতওয়া দিতে শুরু করছে। প্রকৃত ফতওয়া হচ্ছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আমার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাব) আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলেদিন, যদি তারা আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত লাভ করতে চায় তাহলে তারা যেনো আপনার অনুসরণ করে, তাহলে আমি আল্লাহ পাক স্বয়ং তাদেরকে মুহব্বত করবো, তাদেরকে ক্ষমা করবো, তাদের প্রতি দয়ালু হবো; নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক ক্ষমাশীল ও দয়ালু।

(সুরা আল ইমরান/১৩১) সুন্নতের ফযীলত সম্পর্কে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে মুহব্বত করলো, সে মূলতঃ আমাকেই মুহব্বত করলো। আর যে আমাকে মুহব্বত করবে, সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে। ” (তিরমিযী শরীফ) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, আখিরী যামানায় যে ব্যক্তি একটি সুন্নত আঁকড়ে ধরে থাকবে তথা আমল করবে তাকে এর বিনিময়ে একশত শহীদ এর ছওয়াব প্রদান করা হবে। এখন পুরুষগণ সরাসরি নবীজিকে অনুরসরণ করবে আর মহিলারা অনুসরণ করবে হযরত উম্মুল মু’মিনিন আলাইহিন্নাস সালাম (নবীজির আহালিয়াগণদের) এবং নবীজি কন্যাদের। সুতরাং উনারা যেকরম পোষাক পড়েছেন মহিলাদের সেই ধরনের পোষাক পড়তে হবে।

এখানে কারো কোন মনগড়া বা বানানো কোন কথা চলবে না। ৫) “ হিজাব পরলে যদি আইডেন্টিটি ক্রাইসিস তৈরি হয়। তাহলে যে মেয়েরা জিন্স, শার্ট, টি শার্ট, স্কার্ট পরে তাদের কী বলবেন আপনি? এটাকে আমি ফ্যাশন বলবো। ” উত্তর: হিজাব = আইডেন্টিটি ক্রাইসিস। কিন্তু জিন্স, শার্ট, টি শার্ট, স্কার্ট = ফ্যাশন এবার আপনারাই বিচার করুন।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।