আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কঠোর গোপনীয়তায় ফেলানী হত্যার বিচার শুরু

গোপনীয়তা ও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আজ মঙ্গলবার থেকে কোচবিহারে শুরু হয়েছে ফেলানী হত্যার বিচার। সকালে কোচবিহারের সোনারীতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১৮১ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে ওই বিচারকাজ শুরু হয়।

প্রথম দিন  বিচারকাজ পরিচালনার জন্য পাঁচজন বিচারককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিএসএফ তাঁদের নাম জানায়নি। বিএসএফের  কোচবিহার সেক্টরের ডিআইজি দলজিত্ সিং জানান, বিচারকাজ শুরু হয়েছে।

আগামীকাল বুধবার থেকে শুনানি শুরু হবে। বিএসএফ সদর দপ্তরে কোনো সংবাদকর্মীকেও বিচারকাজ দেখার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

বিএসএফ সূত্র জানায়, প্রথমে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য শোনা হবে। ১৯ আগস্ট ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম এবং মামা আবদুল হানিফের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।   সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালত তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

ওই দুই সাক্ষীসহ বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের সরকারি কৌঁসুলি ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক কর্মকর্তাও যান কোচবিহারে।

 ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফেলানী বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকা ফেলানীর মৃতদেহ নিয়ে সারা পৃথিবীতে হইচই পড়ে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সীমান্তে এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার বিচার দাবি করা হয়।

বিএসএফ সদর দপ্তর এ ঘটনার বিচার করতে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালত গঠন করে। গত মার্চে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকেও বিষয়টি উত্থাপিত হয়। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।