আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান এমডিদে

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সরকার। খেলাপি ঋণ, জালিয়াতি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর আর্থিক ভিত দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতিও। হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর শুধু সোনালী ব্যাংকেরই মূলধন ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এমন অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ছয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডিদের জরুরি তলব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৮ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ব্যাংকগুলোর সার্বিক অবস্থার সর্বশেষ আপডেপ তথ্য নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানকেও বলা হয়েছে উপস্থিত থাকতে।

সূত্র জানায়, জুন ২০১৩ শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৩১০ কোটি টাকা, যা জুন ২০১২-এর চেয়ে ২৩ হাজার ৩১০ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ ব্যাংকগুলোতে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৩ হাজার ৩১০ কোটি টাকা, যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকেরই রয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক ছয়টির প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) ঘাটতির পরিমাণও বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকায়। ব্যাংগুলোতে বিপুল মাত্রায় বেড়ে গেছে আর্থিক জালিয়াতি। খেলাপি ও আর্থিক জালিয়াতি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর মুনাফার পরিমাণও নেমে এসেছে অর্ধেকে। সম্প্রতি ঢাকা সফরে এসে ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল। ব্যাংকগুলোর সুশাসন নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা। এতে হলমার্ক ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়েও বিশ্বব্যাংক উদ্বেগ জানায়। সূত্রমতে, ৩ থেকে ৮ আগস্ট বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলটি ঢাকা সফর করে। ৪ আগস্ট তারা ব্যাংকিং খাত ও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির বিষয়ে বৈঠক করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। বিশ্বব্যাংকের মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি, অনিয়ম, দুর্নীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর। আর এ প্রভাব দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এ জন্য সামষ্টিক অর্থনীতির গতি স্বাভাবিক ও ব্যাংকিং খাতকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে বলা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাংকগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় চেয়ারম্যান ও এমডিদের তলব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সূত্রমতে, সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর আমানত বাড়লেও কমেছে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ। এ ছাড়া বিনিয়োগযোগ্য তারল্যের ঘাটতিও রয়েছে। ফলে জরুরি প্রয়োজনে বা গ্রাহকদের সামান্য চাপ বাড়লেও ব্যাংকগুলোকে কলমানি মার্কেটে হাত পাততে হয়।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.