আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যাংকিং খাতের ইমেজ পুনরুদ্ধার চায় সরকার

সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত ব্যাংক খাতের ইমেজ পুনরুদ্ধারের সর্বাত্দক চেষ্টা করছে সরকার। এ জন্য সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি মেটাতে ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অনিয়ম দুর্নীতি রোধে প্রতিটি ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনের নিষ্পন্ন হিসাব-নিকাশের তথ্য সংরক্ষণ প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করতে অনলাইন ব্যাংকিংকে নিবিড় তদারকির আওতায় এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সার্বিক কার্যক্রম জোরদার করতে সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে আজ বৈঠক করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ছাড়া আগামী মাসের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের এমডি ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংককে সিরিজ বৈঠকের আয়োজন করতে বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে নতুন নির্দেশনা দেবেন অর্থমন্ত্রী। অর্থনীতির মন্দা কাটাতে নতুন নতুন বিনিয়োগ করতে ব্যাংকগুলোকে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে বলা হবে। সেক্ষেত্রে ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে যে কোনো প্রকল্পে অর্থায়নের আগে তা বিশদভাবে জানা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশনাও দেবেন অর্থমন্ত্রী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটা মূলত সৌজন্যমূলক বৈঠক। তবে দেশ জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করায় সরকারের পক্ষ থেকে নতুন কোনো নির্দেশনাও আসতে পারে। কেননা বর্তমান সরকার টানা দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্ণধারদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর এটাই প্রথম বৈঠক। এ ধরনের বৈঠকে সাধারণত গত দিনের কাজের পর্যালোচনা এবং সামনের দিনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে জানান তিনি। তার মতে, ব্যাংকগুলো কর্তৃক অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হবে আজকের বৈঠকে। সূত্র আরও জানায়, ব্যাংকের এমডিদের সর্বশেষ তথ্য-উপাত্তও নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব ব্যাংকের লোকসানি শাখা, খেলাপি ঋণ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে এবং প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতি বেড়েছে, সেসব ব্যাংকের ব্যাপারে কঠোর কোনো নির্দেশনাও দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী। গত কয়েক বছরে সোনালী, রূপালীসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো থেকে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা বেরিয়ে গেছে সেগুলো কীভাবে ফেরত আনা যায় সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেবেন অর্থমন্ত্রী। অপর একটি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে এক অদাফতরিক বার্তার মাধ্যমে হলমার্ক ও বিসমিল্লাহর মতো বড় বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা ভবিষ্যতে যেন না ঘটে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কেননা অর্থমন্ত্রীর মতে, এ দুটি ঘটনা পুরো আর্থিক খাতকে বিপর্যস্ত করেছে। যার ফলে পুরো ব্যাংক খাত আস্থার সংকটে পড়েছে বলে মনে করে সরকার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.