আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৈদেশিক কর্মসংস্থান আইন

বিদেশে শ্রমিক প্রেরণের নামে প্রতারণার ঘটনা অহরহই ঘটছে। আদম বেপারি নামের একশ্রেণীর প্রতারকের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। এমনকি বিদেশ-বিভুঁইয়ে অসহায় অবস্থায় প্রাণ হারানোর ঘটনাও কম নয়। এ অকাম্য অবস্থার অবসানে গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন-২০১৩ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশে শ্রমিক প্রেরণ বন্ধ এবং অভিবাসী শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইন ভঙ্গকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। স্মর্তব্য, দেশে বহির্গমন সংক্রান্ত যে আইন আছে তা ১৯৮২ সালে প্রণীত। তিন দশকের ব্যবধানে আইনগুলোর কার্যক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়েছে। নতুন আইন এ ক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা দূর করবে। গত এপ্রিল মাসে কিছু পর্যবেক্ষণসহ আইনটির খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। সে পর্যবেক্ষণের আলোকেই গত সোমবার আইনের খসড়াটির অনুমোদন দেওয়া হলো। আমাদের প্রত্যাশা, প্রস্তাবিত বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন-২০১৩ বিদেশগামী শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রস্তাবিত আইনে বিদেশগামী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও নূ্যনতম এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। প্রতারণামূলক বা অননুমোদিত বিজ্ঞাপন দিলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও নূ্যনতম জরিমানা তিন লাখ টাকা, চাহিদাপত্র-ভিসা-ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে শাস্তি সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও নূ্যনতম জরিমানা তিন লাখ টাকা, অবৈধভাবে বিদেশ পাঠালে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড ও নূ্যনতম পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এর বাইরে ছোটখাটো আইন অমান্যকারীদের জন্য রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও নূ্যনতম ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান। এ ছাড়া আইন অমান্যজনিত কারণে রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল ও স্থগিত করারও বিধান রয়েছে। বিদেশগামী শ্রমিকদের কল্যাণে আইন প্রণয়ন অবশ্যই একটি ইতিবাচক ঘটনা। আদম বেপারিদের প্রতারণা বন্ধে সরকারের এ পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার। তবে আইন প্রণয়নের চেয়েও তার বাস্তবায়ন অনেক বেশি জরুরি। আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইনের অভাব না থাকলেও তার প্রয়োগ নেই। বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতার জন্য অপরাধের প্রতিকার তথা ন্যায়বিচার পাওয়াও দুষ্কর হয়ে

ওঠে। আইনটি পাসের আগে এসব সীমাবদ্ধতা কীভাবে কটিয়ে ওঠা যায় সে সম্পর্কে ভাবা হবে, আমরা এমনটিই আশা করছি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.