আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেলায় এবার আমার দুটো বই, যার একটার শুরু এই সামুতেই

মেঘমুক্ত নীলাভ দিঘীর কবোষ্ণতা খুঁজছে মন! গত বছর অনেক ট্রাই করলাম, আমার লেখা থ্রিলারটা বইমেলায় বের করতে। ঘোরাঘুরি সব বৃথা গেল, মেলার সপ্তাহখানেক আগে প্রকাশক জানালেন- বের করতে পারবেন ঠিকই, তারপর সেই ই এর পর কিছু শর্ত জুড়লেন, যা আমার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব ছিল না- আর আমি জানি সেটা সম্মানজনকও না। বাদ দিলাম। ভাবলাম, থাক লাগবে না বই বের করা। কিন্তু সে মোহ থেকে বের হতে পারলাম না, যারা পড়েছেন তারা এত এত বলতেন বই বের করার চেষ্টা করতে যে সেটা সম্ভবও ছিল না।

আবারো বইমেলার আগে জুতোর তলা খসালাম। তবে এবার প্রত্যয়ী ছিলাম থ্রিলারটা বের করবো এমন প্রকাশনী থেকে, যাকে মানুষ থ্রিলারের জন্যই চেনে, থ্রিলার পড়ুয়ারাই যেখানে আসে, নইলে দরকারই নেই। এমন হাতে গোনা দুয়েকটা প্রকাশনীর মধ্যে সেবা প্রথমেই বাদ, ওরা নতুনদের বই বের করে না বললেই চলে, আর তারপরের যে অপশন সেটা আমার জন্য সেবার চেয়েও আরাধ্য ছিল, কারন সে প্রকাশনীর প্রচ্ছদ হয় অসাধারণ, কাগজও ভালো, আমাদের বন্ধুমহলে খুব জনপ্রিয় প্রকাশনী 'বাতিঘর'। আর থ্রিলারের জন্য পুরোপুরি বিশেষায়িত। সেখান থেকে বই প্রকাশ করতে পারাটা আক্ষরিক অর্থেই আমার জন্য স্বপ্নের মত ছিল।

শেষমেশ সফল হবো সেটা ভাবি নি, গল্প পছন্দ হয়ার পর কোন শর্ত ছাড়াই প্রকাশক এবার বইমেলার জন্য নির্বাচিত করলেন আমার লেখা থ্রিলারটা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারী মেলায় প্রকাশিত হল ' ভেন্ট্রিলোকুইস্ট'। বহুদিন পর নিজেকে আবার সৌভাগ্যবান মনে হল। তবে প্রথম মেলাতেই দুটো বই বের করতে পারবো সেটা আমার ভাবনার অতীত ছিল, এবং দুটোই কোন ধরনের শর্ত ছাড়া। সরব ব্লগে আর ফেসবুকে একটা রূপকথা শুরু করেছিলাম ' বিলু, কালু গিলুর রোমাঞ্চকর অভিযান'।

সেটা একদিন পরিচিত এক সিনিয়র সাংবাদিক ভাইকে পাঠালাম, যিনি প্রথম সারির একটা দৈনিকের ডেপুটি ফিচার এডিটর। পাঠিয়েছিলাম যাতে কোন এক পাতায় লেখাটা যায়। কিন্তু তিনি পড়ে বললেন, ‌' পত্রিকায় দরকার নাই, শেষ করো, এটা বই করতে হবে। ' আমিও মহা উৎসাহে শেষ করলাম। পাঠালাম।

উনি এ বছরই একটা প্রকাশনী দিচ্ছেন, বেশ জোরেসোরে এবং মহাসমারোহে। সেটার জন্য নির্বাচন করলেন। বইয়ের অলংকরণের জন্য র‌্যাট আসিফকে খুঁজে বের করলাম, ওর আঁকা ব্লগে দেখে আমার এত ভাল লেগে যায় যে আমার প্লান ছিল যদি কোনদিন বই বের করি তাহলে ওকে দিয়ে অলংকরণটা করিয়ে নেব। তাই কীভাবে কীভাবে যেন এক মেলাতেই এবং আমার জন্য প্রথব বারেই দুটো বই বের হয়ে গেল। আশা করি বইগুলো মেলায় আসলেন দেখবেন, থৃলারটা ৭৮ নং স্টল বাতিঘর এ আর ২৭৭ নং গদ্যপদ্য স্টলে পাওয়া যাবে অন্যটা।

থৃলার ভেন্ট্রিলোকুইস্ট শুরু করেছিলাম সামুতেই। সে পর্বগুলোকেই ভালোমত এডিট করে প্রস্তুত করি বইয়ের জন্য। ভেন্ট্রিলোকুইস্ট: সামুতে প্রকাশিত হওয়া প্রথম পর্ব ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।