জীবনের জন্যই এই সব কথামালা
এক বিষন্ন বালকের মুখ দেখে আতকে
উঠেছিলাম আজকে,
এমনভাবেও কেউ মেঘ নামায় পৃথিবীতে?
কি এতো বিষাদ, অপ্রাপ্তি হৃদয় জুড়ে?
উত্তর শুনে হেসে উঠলাম অনিচ্ছেয় -
একটি চিঠি লিখতে না পারার আক্ষেপ।
সে এমনকি, না লিখতে পারলে কি এমন
ক্ষতি?
যে চিঠি বদলে দেবে এই আমাকে -
পৃথিবীজুড়ে এনে দেবে আনন্দধারা;
কোন সাহসে সে চিঠি না লিখি!
বড্ড গুছানো উত্তর শুনে মনে হলো সন্ধ্যায়
আকাশের তারাগুলি জ্বলছে বালকের চিঠির অনুষঙ্গে,
আর দখিনা হাওয়া গায়ে চিমটি কেটে গেলে,
মনে হলো বালকের মুখটি এক খন্ড আলোক ঝর্ণা।
তবে কেন লিখনা চিঠি পাতাদের আনন্দে,
শহর ঘুমিয়ে গেলে ঝিঝিদের অপার সুখে!
আরো কিছু চাই, একটিই তো চিঠি একজনমে।
বাকি জনমের কি হবে উপায়?
প্রত্যুত্তর হবে এমন দীর্ঘ কেটে যাবে সময় পাঠ আনন্দে।
তবে হোক না সে চিঠি, শীঘ্রই কিংবা এখনই!
আমি মাটিতে আসন পেতে বসলাম।
হে বালক, আচড় তুলো তোমার স্বপ্নচিঠিতে -
পৃথিবী বদলে দেবার জোর দাবিতে।
মুখ আর মন থেকে এক উচ্ছারনে বললাম।
সকাল সন্ধ্যে ফুল বিক্রি করে দুটি টাকা তুলে দেয়
মায়ের মুখে; শিশুদের দল দেখোনি, তাদের আনন্দে লিখো।
তুমি লিখতে পারো চিঠি নিঃস্ব মানুষদের কৃতজ্ঞতায়
সব হারিয়ে যারা হাত তুলে, ঈশ্বর তোমার পৃথিবী অনন্য।
চিঠি লেখার এতোসব উপকরণ পাবে কোথায় আর?
সবুজ শ্যামলের এ দেশের সবচেয়ে সুন্দর মানুষগুলো
তাদের মুখ দেখে লিখো, হে সুপ্রিয় এ চিঠি তোমার।
বিষন্ন বালকের বদলে যাওয়া জ্বলজ্বলে মুখ আর
পৃথিবী বদলে যাওয়া চিঠির বিশ্বাস বুকে -
আমি মাটিতে আসন পেতে বসলাম। ।
শেষের আগেঃ যা কিছুই লিখি, যত হাবিজাবিই হোক; বেঁচে থাকার খানিক আনন্দ এইগুলো। নিদারুন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে, আমি আর কোন বর্ণ টানতে পারবো না। আর কোন শব্দ টানার ক্ষমতা আমার নেই।
তবুও এই গ্রস্থ সময়গুলো কাটাতে লিখা জরুরী। কিছুটা সময় কেটে যাবে এখানে সেখানে। কিন্তু পারছি না। অনেকটা জোর করে লিখা এটা, মাথা ঘুর ঘুর করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।