আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনি ও সেনাবাহিনিতে রাজনীতি



বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনির আগমন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। তার পর হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সেনাবাহিনির পোষাকেই দেশকে নয় বছর শাসন করলেন। ঢাকার রাস্তায় এক বস্তিবাসী তরুণ নুর হোসেনের ‌‌‍গণতন্ত্র মুক্তি পাক স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক বানী প্রচারের মধ্য দিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দেশকে সামরিক শাসনের হাত থেকে ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশকে উদ্ধার করা হয়। সেনাবাহিনি এদেশের রাজনীতিতে এখন আর সরাসরি সম্পৃক্ত নেই এ কথা সত্য। তবে দেশের প্রধান দুটি দলের নীতি নির্ধারণে তাদের রয়েছে প্রভাবশালী ভুমিকা।

উভয় দলের অন্তত ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ পদ এখন তাদের হাতে। সেনাবাহিনিকে নিয়ে সবচেয়ে মজার রাজনীতি করছে বিরোধী দল ও সরকারি দলের কয়েকজন নেতা। বিরোধী দলের নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধূরী সরকারের বিষোদগারের সময় কোন না কোনভাবে সেনাবাহিনিকে টেনে আনে। সেনাবাহিনি এদেশের ১৬ কোটি মানুষের সম্পদ। তাছাড়া সেনাবাহিনি দেশেল সার্বভোমত্বের প্রতীকও বটে।

দল দুটির মধ্যকার একটি চাচ্ছে এ বাহিনিকে বিতর্কিত করতে অন্যটি চাচ্ছে নিজেদের অক্ষতার সুযোগে সেনাবাহিনির নাম টেনে সুবিধা লুটতে। এটি সত্যি দুঃখজনক। হায় সেলুকাস! কি বিচিত্র এ দেশ। তবে কেন আমাদের মুলধারার রাজনৈতিক দল দুটি কথায় কথায় সেনাবাহিনির মত স্পর্শকাতর একটি প্রতিষ্ঠানকে টেনে আনে? এদেশের ১৬কোটি আমজনতার মত আমারও আজ তা জানতে ইচ্ছে করে। কেন এ দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তর কি কেউ দিবেন।

একজন গোবেচারা আমজনতা হিসেবে আজ আমার তা জানতে বড়ই ইচ্ছে করে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.