আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রচারণা উদ্দেশ্যমূলক: মিতা হক

মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা যারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি, তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ”
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে আলোচনাকালে শিল্পী মিতা হকের করা একটি মন্তব্য নিয়ে ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এই সঙ্গীতশিল্পী বলেন, “কেউ একজন ফেইসবুকে একটি লিংক ছড়িয়েছে, যাতে আমাকে উদ্ধৃতি করে লেখা হয়েছে ‘যারা ঘোমটা পরে তারা বাঙালি নয়’। আমি ওই অনুষ্ঠানে এ ধরনের কোনো বাক্য বলিনি। ”
‘খণ্ডিত বক্তব্য’ প্রচারের কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে জানিয়ে দেশের অন্যতম প্রধান এই রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী বলেন, “যে লিংকটি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে, সেটি পড়ে আমার পরিচিত অনেকেই আহত হয়েছেন।

অনেকে আমাকে গালাগালি করছেন।
“এমনকি আমার মেয়েকেও ফোন করে গালাগালি করছেন। সহ্য করতে না পেরে সে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে। ”
তিনি বলেন, “আমি ফেইসবুক ব্যবহার করি না। ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মিথিলা ফারজানা অনুষ্ঠান প্রচারিত হওয়ার পরের দিন ফেইসবুকে পুরো বক্তব্য আছে এমন একটি ভিডিও লিংক পোস্ট করেছেন।

আমি অনুরোধ করব- সবাই ওটা দেখুন। ”
একাত্তর টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যায় মিতা হক বলেন, “শাড়ি-ঘোমটা আমি অনেক পছন্দ করি। সবসময় মা-খালাদের দেখেছি শাড়ি পরতে, বাসায় মুরুব্বি কেউ এলে ঘোমটা দিতে। ১২ হাত শাড়ি দিয়েও তো পুরো শরীর আবৃত করা সম্ভব। ছোটবেলা থেকে দেখেছি কেউ কোনোদিন একে অশালীন বলেনি।

আমি সেই অনুষ্ঠানে বলেছি, বোরখা পরলে মুসলমান বোঝা যায়, কিন্তু বাঙালি কি না, এটা বুঝব কিভাবে। ”
শিল্পী বলেন, “যে ভাষা ও জাতীয়তাবাদের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিল, সেই মূল্যবোধকে যদি আমরা মূল্যায়ন না করি, এটা যদি নারীরা প্রকাশ না করে তাহলে কিভাবে হবে। কবি সুফিয়া কামালও তো ঘোমটা দিতেন। ”
সেই অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, “ঈদের দিন একাত্তর টেলিভিশনে শিল্পীদের রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের একটি বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে।

কিন্তু কোনো উত্তরেরই কোনো রিঅ্যাকশন হয়নি।
“সে সময় একটি কথা উঠে বাংলাদেশের পোশাক নিয়ে। ঈদের আগে আমি আমার এক খালার বাসায় গিয়ে কয়েকজনকে দেখি বোরখা পরা অবস্থায়, যারা একসময় বেশ ফ্যাশন সচেতন ছিলেন। ”
“গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাখ্যান করে ফাঁসির দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের পর থেকে টেলিভিশনগুলোতে অনেক টক শো হয়েছে। রাজনীতির অনেক বিষয় উঠে এসেছে।

অনেক মেধাবী মানুষের কথা শুনে আমরা সমৃদ্ধ হয়েছি। অনেক বিষয়ের মধ্যেও কিছু বিষয়ে একেবারেই আলোচনা হয়নি।
“এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই এদেশের মানুষের মধ্যে আইডেন্টিটি ক্রাইসিস (আত্মপরিচিতির সঙ্কট) রয়েছে। এটা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ। এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।

দেশে অনেক রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। একটি পক্ষ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে, আরেকটি পক্ষের মূল বিষয় অসাম্প্রদায়িকতা।
“হরতাল যারা ডেকেছে তারা একটি ধর্মভিত্তিক দল। ঈদ একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। জামায়াতে ইসলাম হরতাল ডেকে ঈদের মতো একটি উৎসবকে অশ্রদ্ধা করেছে।

অনেকেই হয়তো এজন্য বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করতে যেতে পারেনি। অনেকেই জীবনবাজি রেখে দেশের বাড়ি গিয়েছেন। তাহলে কী দাঁড়ায়? জামায়াতের আদর্শই তো ইসলামবিরোধী। ”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.