আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের প্রচারণা কম হচ্ছে

সম্প্রতি 'বিশ্ব অঙ্গনে নজরুল সংগীত' শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এর প্রতিপাদ্য বিষয় কি ছিল?

এ সেমিনারের মূলত ভাষ্য ছিল আমাদের দেশের মিডিয়ার নজরুল সংগীতের প্রসারের ক্ষেত্রে কম আন্তরিকতা থাকার কারণেই বিশ্ব অঙ্গনে নজরুল সংগীত সেভাবে প্রতিষ্ঠিত নয়। তবে আমি মনে করি, আমাদের দেশের সব মিডিয়া বিশেষ করে স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো যদি এগিয়ে আসে তবে বিশ্ব অঙ্গনে নজরুল সংগীতের অবস্থান আরও অনেক বেশি দৃঢ় হতে পারে। আমাদেরই জাতীয় কবির সম্মান আরও অনেক বাড়বে। ' বর্তমানে আমাদের দেশে কয়েকটি টিভি ছাড়া এখন নজরুলের কোনো অনুষ্ঠানই হয় না।

 

এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?

আমার একটি কষ্টের কথা বলি।

আমি যখন বঙ্গ সম্মেলনে গান করতে গিয়েছিলাম, তারা আমাকে গান করার জন্য সময় দিয়েছিল ১০ মিনিট। আমি আমার নির্দিষ্ট সময়ে শুরু করি এবং নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করি। আমি যখন গান শেষ করে চলে আসছিলাম তখন সবাই আমাকে আরও ৩০ মিনিট গান করার জন্য অনুরোধ করে। আমি গল্পটা এই কারণে বললাম, কারণ তারা জানত না, আমি বাংলাদেশে নজরুল সংগীতের জন্য কী করেছি। আমাদের প্রচারণা যদি ভালো হতো তবে আমার নিজেকে নিজের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দরকার হতো না।

ওই দিনের সেমিনারে প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট গবেষক, স্বরলিপিকার ও সংগীতজ্ঞ সুধীন দাস, ড. রফিকুল মোহামেদ (সচিব), তরঙ্গ অব ইউএসএ-এর ড. কাজী গুলশান আরা, কাজী বেলাল আহমেদ, আরিফ ইকবাল, সালমা বানী, কবি মুহাম্মদ নূরুল হূদা। প্রতিটি মানুষ নজরুল প্রচারণার ওপর জোর দিয়েছে।

 

সম্প্রতি কাজের কথা বলুন?

ঢাকার বাইরে চ্যানেল আইয়ের জন্য স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি দেশাত্দবোধক গানের মিউজিক ভিডিওর চিত্রায়ণে অংশ নিই। এটি ২৬ মে মার্চ প্রচার শুরু হবে। এ ছাড়া আমার সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 'সুরসপ্তক' নিয়ে আমি ব্যস্ত আছি।

১৪ মার্চ এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

একটু পেছনের গল্প বলুন। গানের ভুবনে আসার গল্পটি বলুন?

আমি তখন চট্টগ্রামে। প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। সে সময় গান শেখার জন্য আমার বড় তিন বোন সংগীত পরিষদে যেতেন।

তারা গান করতে গেলেও আমি যেতাম খেলতে। কিন্তু খেলাটাকে পণ্ড করে আমি একমনে জানালার গ্রিল ধরে তাদের নাচ দেখতাম ও গান শুনতাম। খেলার ছলে কী প্রচণ্ড এক আকর্ষণ বা টানে আমি সে সময় এটা করতাম, সেটা এখন বুঝি। এরপর আরও দিন কেটে গেল। আস্তে আস্তে গান শেখা শুরু হলো।

ওস্তাদরা যা যা গান শেখাতেন সব মুখস্থ করে ফেলতাম। এ ছাড়া স্কুলের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রথম হতাম। এরপর চলে এলাম রাজশাহী। আমার বড় আপুদের সহযোগিতায় আমি নানারকম খেলাধুলা, নাচ ও গানে অংশগ্রহণ করতাম। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রথম হতাম।

আমি অনেক দুষ্টু ছিলাম। এ জন্য আপুরা গান শিখতেন আর আমাকে বেশির ভাগ সময় নাচে ব্যস্ত রাখতেন। আর নাচে আমি কখনই দ্বিতীয় হইনি। এভাবেই বড় হওয়া।

ঙ্ আলী আফতাব

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.