আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

speakasia নাচুনে বুড়িরদের জন্য ঢোলের বাড়ি

দুষ্ট ছেলে
নাচুনে বুড়িরদের জন্য ঢোলের বাড়ি যদি আপনি চিন্তা করেন আপনার পকেটে কিছু extra money থাকবে যার দ্বারা আপনি শিনা টান করে extra expenses করতে পারবেন। এই extra money আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে online earning। সপ্তাহে শুধু কয়েক মিনিট ব্যয় করে অনায়সেই সেই টাকাটা আয় করতে পারেন আপনার কিছু মতামতের বিনিময়ে। আর এটা সম্ভব হয়েছে speakasia (View this link )নামে একটি সিঙ্গাপুরভিত্তিক survey industry এর বদৌলতে। আসুন দেখি , আয়টা হয় কেমনে?........................... আয়ঃ রেজিস্ট্রেশনঃ ২০ ডলার সাবস্ক্রিপশনঃ ২০০ ডলার (১২ মাস) মাসিক সার্ভে আয়ঃ ৮০ ডলার (মোট ৯৬০ ডলার ১২ মাসে) সরাসরি স্পন্সরড আয়ঃ ১০%(স্পট কমিশন) বাইনারি আয়ঃ ১০%( ডেইলি পে আউট) রয়ালটি আয়ঃ direct Ids হতে ১.৫ ডলার প্রতি সার্ভে ।

। অন্তর্ভুক্তির ধাপসমুহঃ এই লিঙ্ক এ গুতা মারলেই পাবেন……লিংক এই যদি আয় হয় তাহলে বাংলাদেশের মানুষ দৌড়াবে না কেন? যেখানে লাভ বেশি বাঙ্গালিরা সেইখানে কেমনে জানি পিপড়ার মত হাজির হইয়া যায়। ভালোমন্দ না বুইঝা গন জ়োয়ারে গা এলাইয়া দেয়। তারপরেও সবার আয় হয় একটা অনিশ্চিত সময় পর্যন্ত। দেশী ডেসটিনির পর বিদেশি unipay...............এই uni-pay এর পর বাঙ্গালিদের এখন পরবর্তী টার্গেট speakasia. আশেপাশে শূধু entry চলতাসে।

এন্ট্রি চলতাছে ঘটা করে, এন্ট্রি চলতাছে চিপায় চুপায়। বাদ যাবে না একটি বাঙ্গালি। Unipay করে সবাই এখন দক্ষ ব্যাবসায়ী। সিস্টেম আলাদা হলেও আয়ের ধরন একই। তাইতো দেশে আসার আগেই সবাই ধুমাইয়া প্যানেলে অন্তর্ভুক্তি হইতাছে।

সবাই এখন সিঙ্গেল বিজনেস ম্যাগনেট। এই ম্যাগনেটের পাওয়ার ব্যাপক। আকর্ষন করছে, আকর্ষন করাতে নানা কাহিনী করছে এবং অতঃপর সবাইকে আকর্ষিত করছে। । আকর্ষন করার কুটনৈতিক কৌশল গুলো এইরুপঃ ১।

লিফলেট বিতরন । ২। তবলিগী স্টিইলে প্যানেলে অন্তর্ভুক্তির দাওয়াত । ৩। unipay এর special effect লাগিয়ে আলোচনা ।

বাতাসে টাকা উড়ছে...পাবলিক সেই টাকাটা খপখপ করে ধরে ফেলছে। মাছে-ভাতে বাঙ্গালিরা এখন মাছ না ধরে টাকা ধরছে। আহা কি চমৎকার। গোলাম মোস্তফার গাজী পাম্পের মত বলতে হয় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ভাবতে ভালই লাগে। তের কোটি বাঙ্গালি হবে তের কোটি বিজনেস ম্যাগনেট।

কেউ হবে লম্বা ম্যাগনেট, কেউ আবার হবে অশ্বখুরাকৃ্তির দেশী ব্যাংক গুলো আর আগের মত জুতসই বিনিয়োগ পাচ্ছে না। মানুষ সল্প সুদের ব্যাংকের চেয়ে চড়া সুদের এই কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করতে সাচ্ছ্যন্দ্য বোধ করছে। অনিশ্চিত হলেও লাভ বেশি থাকায় সবাই নির্ধিধায় লুফে নিচ্ছে। সংবাদপত্রে ব্যাপক লেখালেখি হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক নড়েচড়ে বসেছে,দেশী বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গুলো বিরোধিতা করছে............কিন্ত তাতে কি আসে যায়। দেশীয় ৩০ হাজার কোটি টাকা যেখানে ক্যাপিটাল হয়ে জমা আছে সরকার চাইলেও তা বন্ধ করে দিতে চাইবে না।

আমার মত আরো দশ জনের ভাবনা কোম্পানীগুলো ব্যাবসা গুটিয়ে নিলে......দেশের অর্থনীতিতে একটা বড় রকমের ধাক্কার আশংকা কি থাকবে ন???? একসময় মানুষ গায়ে গতরে খেটে ব্যাবসা করত। এখন ব্যাবসা করে শুয়ে বসে আঙ্গুল দিয়ে টাইপ করে। ডিজিটাল বাংলাদেশের বিজনেস ডিজিটাল হবে না, তা কি মানা যায়? সরকার লাইসেন্স দিচ্ছে, কোম্পানি আসছে, ব্যাবসা হচ্ছে। আর আমরা ব্যবসা করছি, লাভবান হচ্ছি। ফ্যাকরা শুধু একখানেই...কোম্পানীগুলো গায়েব হলে...গুটিকয়েক লাভবান হবে, আর বাকীরা হবে সেই লাভবানদের বলির পাঠা।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।