জীবন এর গল্প অােছ বািক অল্প
সাভার, অক্টোবর ১১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- "আমরা ধরেই নিয়েছি ও আর জীবিত নেই। এখন প্রিয় বন্ধুর লাশটি চাই"
অশ্র"সজল চোখে এ কথা সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বললেন লালনের বন্ধু বাবু।
লালনের লাশ নিতে চাটাই নিয়ে সাভারের আমিনবাজারে সালেপুর সেতুর কাছে তুরাগ নদীর তীরে অপেক্ষা করছেন তার বন্ধুরা।
রোববার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় লালন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে সাভারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন বৈশাখী পরিবহনের বাসে। বাসটি নদীতে পড়ে যাওয়ার পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আমিনবাজারের সালেপুর সেতুর কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তুরাগ নদীতে পড়ে যায় বৈশাখী পরিবহনের ওই বাসটি। এটি ঢাকা থেকে সাভার যাচ্ছিলো।
বরিশালের আগৈলঝড়া গৈলা গ্রামের ছেলে মো. লালন (২২) গুলশানের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে তার বাবার সঙ্গে কাজ করতেন। তার বন্ধু মহসিন, বাবু আর রুবেল।
তারা চাটাই কিনে সোমবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে লাশের জন্য অপেক্ষায় আছেন।
তিন জোড়া চোখ ছলছল করছে পানিতে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মহসিন বলেন, "রোববার বাসা থেকে বের হয়ে সকাল ১০ টার দিকে লালন আমাদের ফোন করেছিল। ও গুলশান থেকে বৈশাখী পরিবহনের বাসে উঠেছিল। জানিয়েছিল ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই সাভার চলে আসবে। "
"কিন্তু বাস দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমরা অনেকবার ফোন করেছি।
ফোন বন্ধ। আমারা নিশ্চিত এই বাসেই ও ছিল", বলে আবারো অশ্র"সজল হয়ে যান তিনি।
বাবু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "তিন ভাই এক বোনের মধ্যে লালন সবার বড়। ওর মা ঘটনার খবর শুনে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। তিনি অনেকদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছেন।
এই অবস্থায় তাকে সান্তনা দেওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। "
উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রুবেল বলেন, "কিছুদিন আগে কর্ণফুলি নদীতে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান ভেঙ্গে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার অবস্থান নিশ্চিত হয়েছিল। অথচ এখানে শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষ হলেও বাসটি উদ্ধারে ২৬ ঘণ্টা পার হয়ে গেলো। "
তিনি অভিযোগ করে বলেন, "উদ্ধার কাজে কোনো সমন্বয় নেই। লোক দেখাতেই ডুবুরি নামানো হয়েছে।
কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। "
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এলইচ/পিসি/কেএমএস/১৩৫৮ ঘ.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।