আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘মাহফুজ ও স্বপ্নার খুনিরা অপেশাদার’

এই হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি জড়িত ছিলেন বলে ধারণা করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ।
ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, নিহত পুলিশ কর্মকর্তার দেহে ছুরিকাঘাতের দুটি এবং তার স্ত্রীর দেহে ১১টি চিহ্ন রয়েছে।
শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল মর্গে মাহফুজ ও স্বপ্নার ময়না তদন্ত হয়। একদিন আগেই ঢাকার চামেলীবাগের বাড়ি থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাদের দুই সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ঐশীর খোঁজ এখনো মেলেনি।

‘গা ঢাকা দেয়া’ ঐশীকে খুঁজে পেলে হত্যাকাণ্ডের কূলকিনারা পাওয়া যাবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করছেন।
ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুজনের শরীরে ছুরিকাঘাতের ১৩টি চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মাহফুজের শরীরে দুটি এবং তার স্ত্রীর শরীরে ১১টি।
“পুলিশ পরিদর্শককে ছুরি মারা হয় গলায়, এতে শ্বাস নালী কেটে মৃত্যু হয় তার। ”
স্বপ্না বেগমের গলায় দুটি, ডান পাঁজরে তিনটি, বুকে একটি এবং পেটে ও পিঠেও ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এতে তার লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শ্বাসনালী কেটে যায়।
এটি ছুরিকাঘাত, না কি কোপের চিহ্ন- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ডা. সোহেল বলেন, “অল আর স্ট্যাব, নট চপিং। ”
হত্যাকাণ্ডের পর ওই বাসা থেকে একটি বটি ও একটি ছুরি জব্দ করে পুলিশ।
ডা. সোহেল বলেন, “কমপক্ষে দুই থেকে ততোধিক ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
“এতগুলো স্ট্যাব করা হয়েছে, তাতে মনে হয় অপেশাদার কেউ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।


এসবির উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া শুক্রবার বলেছিলেন, “আক্রোশ থেকে পরিকল্পিতভাবে দুজনকে খুন করা হয়েছে। চার থেকে পাঁচ জন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। ”
যে ছুরি দিয়ে মারা হয়েছে তার দুপাশই বেশ ধারাল ছিল বলেও জানান সোহেল মাহমুদ।  
মৃত্যুর আগে তাদের কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কি না, তা জানতে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য শরীরে বিভিন্ন অংশের নমুনা রাখা হয়েছে।
নিহত স্বপ্না বেগম ও তার স্বামী মাহফুজুর রহমান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজেদের তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটের একটি বাথরুম থেকে মাহফুজ (৪৫) ও স্বপ্নার (৪২) ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত স্বপ্না বেগম ও তার স্বামী মাহফুজুর রহমান।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাহফুজের ভাই মনসুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার মতিঝিল থানায় মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।  
মাহফুজ পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) রাজনৈতিক শাখায় কর্মরত ছিলেন।

স্ত্রী স্বপ্না এবং দুই ছেলে-মেয়ে ও এক শিশু গৃহকর্মীকে নিয়ে ওই বাড়ির পঞ্চম তলায় থাকতেন তিনি।
মাহফুজের দুই সন্তানের মধ্যে ঐশী একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী এবং ছেলে ঐহীর বয়স সাত বছর।
ঐশীর আচরণ সন্দেহজনক বলে পুলিশের কাছে মনে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঐশী ছোট ভাই ও গৃহকর্মী সুমিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে একটি রিকশায় করে ঐহীকে এক আত্মীয়ের বাসায় পাঠানো হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.