আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মসজিদে আটকা মুরসির সমর্থকেরা

মিসরের কায়রোর রামসেস স্কয়ারের কাছে আল-ফতেহ মসজিদে আটকে পড়া মুরসির সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে গতকাল শনিবার 
বিকেলে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ওই স্কয়ারে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের একপর্যায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের
সমর্থকেরা মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেন।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মুরসির সমর্থকদের কয়েক ঘণ্টা ঘিরে থাকার পর পুলিশের একটি দল মসজিদের ভেতরে ঢোকে। তারা
মুরসির সমর্থক বেশ কয়েকজনকে বাইরে নিয়ে আসে। বাইরে অপেক্ষমাণ জনতা তাঁদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময়
পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মুরসির সমর্থকদের মসজিদ থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে খবরে বলা হচ্ছে। তবে
প্রাণভয়ে তাঁরা সেখান থেকে বেরোচ্ছেন না।
ওমাইমা হালাবা নামের এক নারী মসজিদের ভেতর থেকে টেলিফোনে আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, সেখানে ৭০০ লোক আটকা
পড়েছে। এর মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে।

তাঁরা সেখান থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। ওমাইমা হালাবা বলেন, ‘বাইরে
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি গুন্ডারাও রয়েছে। ’
কায়রোতে আল-জাজিরার সাংবাদিক মুবাসশের মিছর জানান, একটি সেনাশিবিরে নিয়ে তল্লাশি চালানো হবে—এই শর্তে
বিক্ষোভকারীদের ওই মসজিদ থেকে বের হতে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে বিক্ষোভকারীরা মসজিদের ভেতরেই তল্লাশি
চালানোর কথা বলেছেন।
টেলিভিশনে প্রচারিত ছবিতে দেখা যায়, মসজিদটির প্রবেশমুখের সিঁড়িতে দাঙ্গা পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

পাশাপাশি সরকার-সমর্থক
বিক্ষুব্ধ জনতাও সেখানে রয়েছে।
এর আগে মিসরের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, মসজিদের ভেতর থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা স্থানীয় বিভিন্ন ভবন লক্ষ্য
করে গুলি ছুড়ছে।
রামসেস স্কয়ার এলাকায় শুক্রবারের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। মুরসির সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের এক হাজার
সমর্থককে এদিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সংগঠনটির আধ্যাত্মিক নেতা জেনারেল গাইথ মোহাম্মদ বাইদির
ছেলে আম্মার বাইদিও রয়েছেন বলে জানা গেছে।


কায়রোর রাব্বা আল-আদাবিয়া মসজিদ ও নাহদা স্কয়ার এলাকা থেকে মুরসিপন্থীদের সরিয়ে দিতে গত বুধবার নিরাপত্তা বাহিনীর
অভিযানে ছয় শতাধিক লোক নিহত হয়। এর প্রতিবাদে ব্রাদারহুড শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে রামসেস স্কয়ারে বিক্ষোভের ডাক
দিলে সেখানে আবারও সহিংসতা হয়। ওই সহিংসতার সময়ই লোকজন পাশের আল-ফতেহ মসজিদে আশ্রয় নেয়।
ব্রাদারহুড তার ফেসবুকে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের আধ্যাত্মিক নেতা মোহাম্মদ বাইদির ছেলে আম্মার বাইদি
শুক্রবার রামসেস স্কয়ারে সহিংসতার সময় মারা যান। তাঁর মাথা ও চোখে দুটি গুলির আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রাদারহুডের
রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (এফজেপি)।


চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে ব্রাদারহুডের পদস্থ নেতাদের তিন সন্তান নিহত হলেন। এর আগে গত বুধবার ব্রাদারহুডের শীর্ষ নীতিনির্ধারক
খাইরাত আল-শাতেরের মেয়ে হাফসা আল-শাতের এবং এফজেপির প্রধান মোহাম্মদ আল-বেলতাগির মেয়ে আসমা আল-বেলতাগি
নিহত হন।
এদিকে ব্রাদারহুডকে ‘আইনগতভাবে বিলুপ্ত করার’ প্রস্তাব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হাজেম আল-বেবলাউয়ি। দেশটির
মন্ত্রিপরিষদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবটি ‘পর্যালোচনা’ করে দেখা হচ্ছে। বিবিসি ও আল-জাজিরা।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.