আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাইবান্ধায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙ্গনরোধে এলাকাবাসী

গত বুধবার থেকে সোমবার পযর্ন্ত ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া ও নামাপাড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে প্রায় ৫০০ মিটার এলাকায় বালুর বস্তা ফেলে নদীভাঙ্গন রোধে কাজ করে।
সরেজমিন জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ফুলছড়ি রক্ষা প্রকল্পের দক্ষিণাংশের ব্যাপক এলাকা নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে।
কিন্তু গত দুই বছর থেকে অর্থ বরাদ্দ না থাকার অজুহাতে ভাঙ্গন রোধে পাউবো কোনো উদ্যোগ  না নেয়ায় ওই এলাকার শতাধিক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়।
বর্ষা মৌসুমের আগেই কয়েক দফা বৃষ্টি এবং উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতাও বেড়ে যায়। ফলে আতংকিত এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে ভাঙ্গন ঠেকাতে নদীর তীরে বালুর বস্তা ফেলা শুরু করে।


কামারপাড়া গ্রামের সমাজসেবী নুরুন্নবী মুন্সী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কয়েক দফা বিষয়টি জানালেও তারা ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়েই নিজের গ্রাম, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে তারা এ কাজটি শুরু করেছেন।
ফুলছড়ি উপজেলা নিবার্হী অফিসার মেহেদি-উল-সহিদ জানান, ওই এলাকার ভাঙ্গনরোধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী রেজাউল মোস্তফা আসাফুদ্দৌলা জানান, নদীর ভাঙ্গন থেকে ওই এলাকাগুলো রক্ষায় এই মুহুর্তে কোনো বরাদ্দ নেই। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের মূল বাঁধ থেকে বেশ দূরে হওয়ায় সেখানে ভাঙ্গন রোধের কোন কাজ করারও পরিকল্পনা নেই।


তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান প্রকৌশলী।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.