আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাইবান্ধায় সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু

রোববার বিকালে জেলা প্রশাসক কাজী আনোয়ারুল হক গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ খাদ্য গুদামে এ অভিযানের উদ্বোধন করেন।
সরকারের ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার কথা থাকলেও আবুল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর ধান কিনে গাইবান্ধায় ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আবুল হোসেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বলে জানিয়েছেন মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলার এগারটি সরকারি খাদ্য গুদামে তিন হাজার ৯২৯ মেট্রিক টন ধান ও ২৩ হাজার ৬১৯ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেয়া হয়েছে।
সরকার প্রতি কেজি ধানের মূল্য ১৮ টাকা ৫০ পয়সা ও চাল প্রতি কেজি ২৯ টাকা নির্ধারণ করেছে।

জেলার ৬৪০ জন মিলারের মাধ্যমে চাল এবং কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা হবে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষক সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, উদ্বোধনের দিন থেকেই ক্রয় নীতিমালা লংঘন করে সরকার দলীয় লোকজনের কাছে ধান কেনা হয়েছে, যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে এ বছরও কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে পারবে না।
মহিমাগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিতাই কুমার বর্মণ জানান, কৃষকের কাছে মানসম্মত ধান না পাওয়ায় উদ্বোধনের দিন শুধু আবুল হোসেনের কাছ থেকে চারশ’ কেজি ধান কেনা হয়।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল জানান, ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে হবে ঠিক। কিন্তু তড়িঘড়ি করে উদ্বোধন অনুষ্ঠান করার কারণে কৃষকের ধান পাওয়া যায়নি।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য বিভাগ রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পরিমল চন্দ্র সরকার, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল আলম প্রমুখ।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.