আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মালয়েশিয়া ভ্রমণ গাইড- ০০৫



৪র্থ পর্ব গ্যন্টিং হাইল্যন্ড ঘোরা শেষ, এবার রাজধানী কে.এল এর ভেতরটা ইচ্ছা করলে হেটে-হেটেও দেখতে পারেন, তবে পুরো কে.এল শহরটা হেটে দেখা সম্ভব নয়, তবে সেটাও চিন্তার বিষয় নয়, প্রায় প্রতিটি মুল পয়েন্টগুলোতেই আছে বাস অথবা এল.আর.টি ষ্টেশন। আপনি যদি পাসার সেনি অথবা মসজিদ জামেক এলাকায় থাকেন তো আগে আপনার কাছাকাছি যেসব দর্শনীয় স্থান আছে (যেগুলো হেটে-হেটে দেখা সম্ভব) সেগুলো দেখে নিন চট করে। আপনি প্রথমেই দেখতে পারেন দাতারান মারদেকা আর সুলতান আবদুল আহমেদ ভবন, এই স্পটটিতে প্ড়তিদিন হাজার-হাজার পর্যটক আসে এই মহান ঐতিহাসিক স্থানটি দর্শনের আশায় (কিন্তু আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এইটার মাঝে কিছুই পাই নাই, শুধু বিশাল একটা মাঠ আর পুরুনো ধাচের একটা বিল্ডিং,) ঐতিহাসিক স্থান দর্শনের ব্যারাম থাকলে ঘুরে যেতে পারেন, এরপর যেতে পারেন মসজিদ জামেক, শতবর্ষ (১৯০৯) পুরোনো এই মসজিদটি মালয়েশিয়ার ধর্মীয় ঐতিয্য লালন করে আছে, সুনিবীড় পরিবেসে অবস্থিত এই মসজিদে ঢুকতে হলে আপনাকে যথাযথ পোষাক পরে ঢুকতে হবে। আপনি যেই ধর্মেরই হোন না কেন মহিলা বা পুরুষের ক্ষেত্রে নমনীয় পোষাক পরিধান করা আবশ্যিক। এরপর যেতে পারেন কাছাকাছি পিতালিং স্ট্রীট এবং পাসার সেনি মার্কেটে।

পিতালিং স্ট্রীট চায়না তাইন নামেও পরিচিত, পুরোনো দিনের ভান্গা মার্কা কিছু চায়নাদের বাড়ীঘর, আশেপাশে আছে বেশ কয়েকটা চায়না মন্দির, সন্ধ্যা থেকে এই এলাকা বেশ জমজমাট, ছোট-ছোট দোকান বসে সারি-সারি অনেকটা ফোটপাতের হকারদের মত। (এ নিয়ে পরে আলাদা করে পোষ্ট দেব)। এছাড়াও দেখতে পারেন কে.এল টাওয়ার। জাতীয় চিড়িয়াখানা, জাতীয় জাদুঘর, জাতীয় মসজিদ, ইসতানা নেগারা (রাজার বাড়ী), এগুলো ঘুরে দেখতে পারেন বাসে চড়েই, এগুলোর যেকোনটাতে যেতে বাস পাবেন পাসার সেনি থেকেই, (এগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নেটেই পাবেন যাবতীয় তথ্য, তাই আর আমি আলাদা করে দিলাম না)। এছাড়াও আপনি যেতে পারেন বাতুকেভস, পাহাড়ের গুহা, ১৮৭৮ সালে আবিষ্কৃত এই গুহাটির সৌণ্দর্য উপভোগ করতে হলে ২৭২টি সিড়ি পেরিয়ে উপরে উঠতে হবে আপনাকে।

সেই ধৈর্য থাকলে যেতে পারেন, এছাড়াও আছে বিশাল আকৃতির ধাতব মূর্তি। বাতুকেভস যেতে পারেন পাসারসেনি থেকেই। বাতু কেইভসের বাস পাবেন ওখান থেকে, অথবা ট্রেনে করে যেতে চাইলেও পারবেন, তবে এক্ষেত্রে আপনাকে যেতে হবে কে.এল সেন্ট্রাল, অতপের ট্রেন চেন্জ করে যেতে হবে বাতু কেইভস, এরপর ইচ্ছা করলে যেতে পারেন রাওয়াং টেম্পেল পার্ক বা সুন্গাই কান্চিং ঝরনা। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ২৬ নং বাসে উঠতে হবে, কারন রাওয়াং নামক জায়গাতে যেতে হলে আপনাকে উঠতে হবে মেট্রো বাসে। মেট্রো বাস পাবেন পাসার সেনির কাছেই, কাউকে জিগ্গেস করলেই রাওয়াং বাস ষ্টেশন দেখিয়ে দেবে, ১.৫০ রিংগিত ভাড়া দিয়ে পৌছে যেতে পারেন সুন্গাই কান্চিং ঝরনায়।

ঝংগলের ভেতর বেশ খানিকটা পথ হেটে আপনাকে যেতে হবে অনেকখানি উপরে মূল ঝরনায়। যদিও এর আগে দুটো ঝরনা পরবে, কিন্তু তা মূল ঝরনার শাখা মাত্র। রয়েছে বানর এবং অনান্য প্রানী। প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসে এই জংগলে ঝরনায় গোসল করতে, আপনিও আসতে পারেন এবার গুপন সংবাদ দিই, গত দুয়েকদিন ধইরা যারা খুব কষ্টে আছেন তাগো জন্য এই সংবাদ, লগে বৌ থাকলে সাবধান, ওরা এই ব্যাপারে খুব একটা জ্বালাতন করে, সেটা হচ্ছে একটু-আধটু পানি খাওয়া, মোজ-মাস্তি আর কি, কে.এল এর মূলকেন্দ্র কে.এল.সি.সির আশে-পাশেই আছে বেশ কয়েকটা উন্নতমানের বার কাম ডিস্কো, এছাড়াও বাংসার এবং বুকিত বিনতাং নামক এরিয়ায় আছে হাজা-হাজার বিষ্ট্রো, বার, পাব এবং ডেস্কো, তবে জালান আমপাং মানে কে.এল.সি.সির খুব কাছেই রয়েছে যুক এবং বিচ ক্লাব, সাহারার মত উন্নতমানের ডিস্কো। যুউক এ এন্ট্রি টিকেট ৩৫-৫০ রিংগিত।

বৃঃষ্পতিবারে লেডিস নাইট, ঐরাতে মেয়েদের এন্ট্রি ফ্রি, আসল মজা ঐরাতে, হাজার-হাজার মেয়ে উদ্যাম নৃত্যে ঢলে পড়ে, এন্ট্রি ফির সাথে রয়েছে দু পেগ ড্রিংকস ফ্রী। এছাড়াও বিচ (মন্গলবার লেডিস নাইট, লেডিস এন্ট্রি ফ্রী) এবং অন্যান্য ক্লাবে এন্ট্রি ফি ৩০-৪০ রিংগিত, কিছু কিছু ক্লাবে এন্ট্রি ফ্রী, ঐসব ক্লাবে মেয়েও যায় কম, মজাও কম। এগুলোর মধ্যে রাম জন্গল ক্লাব মোটামুটি ভাল মানের। কিছু ক্লাব আছে যেগুলোতে কাপল ছাড়া ঢুকতে দেয়না, এছাড়া বারগুলোতে বসে বিয়ার, হুইস্কি, ম্যান্গো জুস যা খুশী গিলতে পারেন, ক্লাবগুলোতেও আপনি ম্যান্গো জুস পেতে পারেন, চাইলে শুধু কোক বা অন্য কোন পানীয় গিলতে পারেন, এটা যার-যার রূচীর ব্যাপার। এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক কিছু, সেগুলো আর এইখানে নাইবা বল্লাম, ইচ্ছা হলে নিজ দায়িত্বে খুজে নেবেন সামনে আসছে আরো..........


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।