আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মালয়েশিয়া বো'লে ! ....৯


Click This Link সুরিয়া কেএলসিসি-টুইন টাওয়ার পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার ও সুরিয়া কেএলসিসি শপিং মল একসূত্রে গাঁথা। মালয়ী ভাষায় এই টাওয়ারের নাম Menara Berkember Petronas. এটা মূলত: মালয়েশিয়ার জাতীয় পেট্রোলিয়াম (তেল ও গ্যাস) কোম্পানীর সদর দপ্তর। মালয়ী ভাষায় নাম- Petroliam Nasional Berhad (National Petroleum Ltd)। বোল্ড করা অংশ দু'টি মিলে হয়েছে পেট্রোনাস। সরকারী মালিকানাধীন এ কোম্পানী সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের অধীন।

১৯৯২ সালে নির্মান শুরু করে সাত বছরে ১৯৯৮ সালে এর নির্মানকাজ শেষ হয়। এরও মূল ভাবনা এসেছে মাহাথীর মোহাম্মদের মাথা থেকে। নির্মানের সমাপ্তির দিন থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এটি ছিলো বিশ্বের উচ্চতম ভবন। যা বিশ্বের বুকে মালয়েশিয়ার গৌরবকে তুলে ধরেছে। ২০০৪ সালে নির্মিত তাইপে১০১ ভবনটি উচ্চতম স্থান দখল করে।

২০১০ সালে বুর্জ আল খলিফা বিশ্বের উচ্চতম স্থানটি দখল করায় পেট্রোনাস টাওয়ার বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ ভবন। কিন্তু যুগল ভবন হিসাবে এটি এখনো বিশ্বের উচ্চতম ভবন। কারণ তাইপে১০১ বা বুর্জ আল খলিফা একক ভবন। ৮৮ তলা এই ভবনের উচ্চতা ১৪৮২.৬ ফুট। আর্জেন্টিনার দুই স্থপতি Cesar Pelli এবং Djay Cerico এই ভবনের ডিজাইনার।

আর স্ট্রাকচারাল ইন্জিনিয়ার ছিলেন Thornton Tomasetti। বিশ্বের গভীরতম ফাউন্ডেশান (১২০ মিটার) বিশিষ্ট ভবন দু'টি রিইনফোর্সড কংক্রিট, স্টিল আর গ্লাস দিয়ে তৈরি। এর স্থাপত্য নকশায় মুসলিম স্থাপত্যকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মুসলিম প্রধান মালয়েশিয়াকে তুলে ধরার জন্য। দু'টি মূল টাওয়ারে আছে ৭৮টি দোতলা লিফট। লিফটের নীচ তলার যাত্রীরা নামবেন বেজোড় নম্বরের তলায় আর দোতলার যাত্রীরা নামবেন জোড় নম্বরের তলায়।

যারা জোড় নম্বরের তলায় যেতে চান তাদেরকে গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে স্কেলেটর ব্যবহার করে লিফটের দোতলায় উঠতে হবে। ১নং টাওয়ারের পুরোটা জুড়ে আছে পেট্রোনাসের অফিস। ২নং টাওয়ারে আছে আইবিএম, মাইক্রোসফট, রয়টার্স সহ বিভিন্ন কোম্পানীর অফিস (ভাড়ায়)। দুটি ভবন ঘিরে আছে মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শপিং মল সুরিয়া কেএলসিসি। আরেকপাশে আছে ১৭ একরের ওপর কেএলসিসি পার্ক (জগিং/হাঁটার ট্র্যাকসহ)।

স্কাই ব্রীজ ৪১ ও ৪২ তালায় দুই টাওয়ারকে সংযুক্ত করে আছে স্কাই ব্রীজ। এটি বিশ্বের উচ্চতম দোতলা-ব্রীজ। মূল ভবনের স্ট্রাকচারের সাথে সংযুক্ত নয়। ভুমি থেকে ১৭০ মিটার (৫৫৮ ফুট) উচ্চতায় ৫৮ মিটার (১৯০ ফুট) দীর্ঘ ব্রীজের ওজন ৭৫০ টন। ৪১ তলার ব্রীজটি দর্শনার্থীদের জন্য আর ৪২ তালার ব্রীজটি দুই টাওয়ারের লোকজন আন্ত-টাওয়ার যাতায়াতের জন্য সংরক্ষিত।

দৈনিক ১৭০০ জন দর্শনার্থী আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বিনামূল্যে পাস পেতে পারেন। আমরা এবার শুনে এসেছি দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ ফি ধার্য করার পরিকল্পনা চলছে। (চলবে)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।