আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

।-উপভোগ-।

পূর্ণ হতে চাইনি তাই পূর্ণতার খোঁজ করি, অপূর্ণতাই থেকেছে পাশে তাই অপূর্ণতার কাছে ঋণী
একটা বয়ে যাওয়া নদী আকাশ ছুঁইছুঁই কিছু চূড়া, ওপর থেকে আক্ষেপে জ্বলছে কয়েক নক্ষত্ররা। হু হু বাতাস শূন্যতা বয়ে বেড়ায়- অজানা থেকে অজানায়। এসবের মাঝখানে- গায়ে কিচকিচ করা ধুলোর বরফ মেখে ডাকলো কেউ হঠাৎ দূর পেছন হতে- -'ফিরে! অথবা ভুলে!' তবে কার তরফ থেকে? তারপর... ছটাক আলোর নিশান হাতে দিক-বিদিক হতে এক এক করে দাঁড়িয়ে গেল আলোর সারথিরা যেন বলছে- 'এইদিকে! এইদিকে!' আঁধারের চাঁদরে লুকোনো আমি সেই আলোগুলো দেখতে পাই- খুব স্পষ্ট! আবার! কিন্তু, আলোধরা মূর্তিগুলো কি দেখতে পায় তখন আঁধারের কতটা গভীরে আমার আধার?! আমি বলি- 'ফিরে যাও, ফিরে যাও তোমরা। অন্ধকারকে সাথে নিয়ে যেদিন ছুটছিলাম গভীরে দীর্ঘ করা রুদ্ধশ্বাসে, অন্যকোথাও বিক্রি হয়েছিল তোমাদের সময় সেদিন তাচ্ছিল্যভরা ত্রাসে। ' তবুও কৃতজ্ঞ- উৎযাপনের যে এতগুলো দিন শুধু অন্ধকারেই হয়েছি বিলীন! তোমাদের হাতে এত আলো, আর আমার হাতে একটি মাত্র আঁধার।

তার মাঝে বাসি আমি। তাকে ফিরে খুঁজি। পূর্ণ করি আমার অভাবে, তাকে একাকীতে বুঝি। 'ফিরে যাও, ফিরে যাও সারথি তোমরা। ' আমি আজ যাবো না।

আমি আজ যাবো না। ওরা বলে- 'ক্ষমা করো, বুঝিনি তোমায় আলোর নিশান তবু ছেড়ে গেলাম আকাশের তারায়!' তারপর... এক এক করে ফিরে যায় তারা। ফিরতে ফিরতে শেষ যেজন দাঁড়ায় কিছুক্ষণ তাকায় ... ...ডুবে যায় মুহূর্তটুকুর আলো, পৃথিবীর সমস্ত নীরবতা যেন আমার মাঝে ভর করে! শেষ রাতের একটি ক্যানভাস- যার ভেতরে ধীরে ধীরে, কালো রঙে রাঙানো একাকীত্বটাকে পাশে নিয়ে- বসে থাকি- শুধু আমি ।
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।