আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বায়োগ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বদলে দিতে পারে দেশ...

মা বাবার সেবা করা সবচেয়ে বড় ইবাদত

কষ্টকর হলেও বাস্তব যে আজ বিদ্যুৎ ঘাটতি মিটাতে মাত্র ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ের জন্য ভারতের সাথে চুক্তি করতে হচ্ছে। অত্যন্ত কষ্টকর যে আমাদের মতো ছোট্ট একটি দেশের প্রাকৃতিক গ্যাস বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে আবাসিক লাইনে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে অপচয় করছি। ব্যবহার করছি গাড়ির জ্বালানী হিসাবে। কত দিন চলবে এভাবে! আমাদের দেশের মাননীয় নীতি নির্ধারকগণের নিকট সবিনয়ে জানতে চাই সেই দিন বেশী দূরে নয় যখন আপনার সন্তান বা তার সন্তানকে লিফটে করে অথবা মাথায় করে সংসারের বাজারের সাথে রান্নার জন্য লাকড়ী কিনে উঠতে হবে ২৪ তলা এ্যপার্টমেন্টে- তাদের কথা কি ভাবছেন ? আমার সোনার বাংলা সত্যিকার অর্থেই সোনার হবে যদি সুষ্ঠ পরিকল্পণা নিয়ে আগাই। আমার আজকের এই পোষ্টটি দেশের জ্বালানী ঘাটতি পূরণে নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে লেখার চেষ্টা করছি।

যা বদলে দিতে পারে দেশের সার্বিক চিত্র। বায়োগ্যসের মাধ্যমে কিভাবে বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে, বাস ট্রাক এমনকি ট্রেনের জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। রান্নার গ্যাস তো থাকছেই। যেই প্রযুক্তিতে গোপনে গোপনে অনেক এগিয়ে গেছে চীন ও ভারতের মতো আমাদের পার্শবর্তী দেশ গুলো। সুইডেনের মতো দেশে প্রাইভেট কার বাস ট্রেন চলছে বায়োগ্যাসের মাধ্যমে।

অথচ আমাদের পর্যাপ্ত সম্ভাবনা থাকা স্বত্বেও অত্যন্ত ব্যায়বহুল স্বল্প উৎপাদনকারী এবং প্যানেলের জন্য ইউরোপ আমেরিকার বাজার নির্ভর সৌরবিদ্যুতের কথাই বার বার সামনে নিয়ে আসি। অনেকেরই জানা যে বায়োগ্যাস উৎপাদনে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার হয় গোবর, পেলিাট্র খামারের মুরগীর বিষ্টা, শিল্প কারখানার বর্য্য, আবর্জনা, কচুরীপানা, লতাপাতা এমনকি গৃহস্থালীর উচ্ছিষ্ঠ। যা কৃষি নির্ভর একটি দেশে অধিকাংশই সহজলভ্য। যা একটি ডাইজেষ্টারের মধ্যে প্রবেশ করালে বাতাশের অনুপস্থিতিতে যে গ্যাস উৎপাদন হয় তাই বায়োগ্যাস। জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করলে যা সরাসরি রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায়।

কিন্তু গাড়ি চালাতে হলে পরিশোধন যন্ত্রের মাধ্যমে পরিশোধন করে ব্যবহার করতে হবে। যা দিয়ে গ্যাস জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। বিষয়টি পরিস্কার করতে উল্লেখ করা যেতে পারে যে প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমান থাকে ৯৫-৯৬ ভাগ আর বায়োগ্যাসে থাকে মিথেন ৬৮-৭০ ভাগ, কার্বন-ডাই-অক্্রাইড ২৭-২৮ ভাগ বাকী ৪-৫ ভাগ অন্যান্য গ্যাস। ফিল্টার করে কার্বন-ডাই-অক্্রাইড সহজেই পৃথক করা যায় ফলে বায়োগ্যাসের গুনাগুণ প্রকৃতিক গ্যাসের সমপর্যায়ে চলে আসে। যা দিয়ে আপনি চালাতে পারেন আপনার দামী গাড়ীটি।

জেনারেটরের মাধ্যমে উৎপাদন করতে পারেন বিদ্যুৎ। যা পরিবেশ বান্ধব। আপনার যদি ১০০ টি গরুর একটি খামার থাকে তা দিয়ে উৎপাদন করতে পারেন ১০-১৫ কি:ও: বিদ্যুৎ.... প্রতি ঘনমিটার ডাইজেষ্টারে উৎপাদন হয় ৩৫.৩১৫ ঘনফুট গ্যাস..... প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রয়োজন ২৫ ঘনফুট গ্যাস..... ১ টি পরিবারের শুধু রান্নার কাজে গ্যাস উৎপাদন করতে ২-৩ টি গরু থাকলেই হবে.... একটি তথ্য না দিয়ে পারছিনা ঢাকা শহরে যে পরিমান মানুষ প্রতিদিন মলমুত্র ত্যাগ করে আর আবর্জনা ফেলে শুধু এর মাধ্যমে বায়োগ্যাস বিদ্যুতে ঢাকার বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করেও পার্শ্ববর্তী জেলা গুলোতে আবাসিক বিদ্যুতের যোগান দেয়া সম্ভব...! কিন্তু সরকার এমন প্রকল্পে মুখ না খুলার কারণ হচ্ছে যে এমন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বড় ভাই দেশ গুলো অর্থের যোগান দেবেনা করতে হবে নিজের টাকায়। না দেয়ার আরেকটি কারণ এতে তাদের বাংলাদেশের সাথে তেল ও এনার্জি সেক্টরের ব্যবসার তি হবে। বাড়তি যা পাওয়া যাবে: প্রতি ঘনমিটার ডাইজেষ্টার থেকে দৈনিক ১৪ কেজি ড্রাই কম্পোষ্ট তৈরী হয়।

এ সার ফসলের মাঠে ব্যবহার করলে কোনো প্রকার রাসায়নিক সারের ব্যবহার না করেই অধিক ফসল উৎপাদন সম্ভব। যে সার ব্যবহারে মাটি ফিরে পাবে তার প্রাকৃতিক চরিত্র। ব্লগার বন্ধুরা আপনারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ েেত্র প্রতিষ্ঠিত এবং সচেতন। দেশকে নিয়ে শুধু সরকারকে ভাবলেই চলবেনা। পরিবর্তনের ইতিহাসে মূখ্য চরিত্রে বরাবরই ছিলো ব্যাক্তি উদ্দোগ।

উপযুক্ত ত্রে ও সামর্থ থাকলে প্রত্যেকে নিজেই উৎপাদন করতে পারেন নিজের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস এবং বিদ্যুৎ। স্বপ্ন দেখি এভাবেই একদিন সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরাও মাথা উচু করে দাড়াতে পারি বিশ্ব দরবারে। গড়তে পারি স্বনির্ভর আর সত্যিকার অর্থেই একটি সোনার বাংলা। এখান থেকে কপি করেছি : http://prothom-aloblog.com/posts/16/84575/ ছবিতে বায়োগ্যাস চালিত ট্রেন বায়োগ্যাস চালিত বাস বায়োগ্যাস চালিত জেনারেটর বায়োগ্যাস ডাইজেষ্টার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।