আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামী বুদ্ধিজীবী জাফর ইকবালের দাবি হেফাততে ইসলামের ১৩ দফা দাবি মানলে দেশ ১৩০০ বছর পিছিয়ে যাবে।আসুন তার কথাগুলো একটু বিশ্লেষণ করি

আমি সবুজ হতে চাই হেফাততে ইসলামের ১৩ দফা দাবি মানলে দেশ ১৩০০ বছর পিছিয়ে যাবে=======> জাফর ইকবাল গত ২০ শে এপ্রিলে জাফর ইকবাল এই কথা বলেছিলো। তিনি আরও বলেছেন “হেফাজতের একেকটি দফা মানলে বাংলাদেশ একশ বছর করে পিছিয়ে যাবে। ব্যাহত হবে দেশের উন্নয়ন। ”তখন আমি আমার লেখাটি লেখেছিলাম। ইন্টারনেট ছিলো না বিধায় লেখাটা ব্লগে দিতে পারি নি।

তাই এখন দিলাম। এখন আমরা বিশ্লেষণ করে দেখি আসেন কিভাবে দেশ ১৩ দফা মানলে ১৩ শত বছর পিছিয়ে যায়। তিনি বলেন হেফাজতের ১ টা দাবি মানা মানে দেশ ১০০ বছর পিছিয়ে যাওয়া। নিম্মে কিভাবে ১ টা দাবি মানলে ১০০ বছর করে পেছাবে তার যুক্তি ও ব্যাখ্যা এবং পয়েন্টগুলোর বিশ্লেষণ দিলাম হেফাজতের দাবি নাম্বার ১ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বর্জন করে ধর্মের শাশ্বত সৌন্দর্যের প্রতি প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ‘মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন করতে হবে ১০০ বছর পিছিয়ে যাবার যুক্তি আল্লাহ্‌র শাসন দিয়ে দেশে কিছু হবে এইটা আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে ভগবান,গড এদের উপরে বিশ্বাস স্থাপন করা যায় কিন্তু আল্লাহ্‌র মত ১৪০০ বছরের একটা পুরোনো নামকে সংবিধানে নেওয়া যায় না।

তাই তো আওয়ামী লীগের সাজেদা চৌধুরী বলেন "সংবিধান থেকে ধর্মের কালো ছায়া টুকু মুছে ফেলা হবে" । সৈয়দ আশরাফ সাহেব বলেন "তথাকথিত আল্লাহ্‌র শাসন দিয়ে কিছু হবে না" । তাই হেফাজতের এই সংবিধানে আল্লাহ্‌র উপরে পূর্ণ আস্থা পুনরায় স্থাপন করা মানে দেশ ১০০ বছর পিছায়া গেল মানে ১৯০০ সালে চলে গেল হেফাজতের নাম্বার টু দাবি ভবিষ্যতে সব রকম ইসলাম অবমাননার দুঃসাহস বন্ধ করার স্বার্থে আগ্রাসী নাস্তিক্যবাদ, ধর্মদ্রোহ ও ইসলাম অবমাননার কোন ঘটনাই বিনা বিচারে ও বিনা শাস্তিতে ছেড়ে দেয়ার কোন অবকাশ থাকতে পারে না। সেজন্যই জঘন্য ইসলাম বিদ্বেষের গুরুতর অপরাধে শাহবাগ আন্দোলনের সংগঠক ও নেতৃত্বদানকারী চিহ্নিত নাস্তিক মুরতাদদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে ১০০ বছর পিছিয়ে যাবার যুক্তি হেফাজতেই এইটা কুনু দাবি হইলো। নাস্তিকরা হইলো আওয়ামী লীগের শাখা নাস্তিক লীগের লোক।

আওয়ামী লীগের আদর্শই তারা প্রচার করে। এদের গ্রেফতার করা তো মহা অন্যায় কাজ। নাস্তিকতায় জয় হোক এইটাই তো আওয়ামী লীগ চায়। এটা মানলেও আরও ১০০ বছর মানে ১৮০০ সালে দেশ চলে যাবে হেফাজতের নাম্বার ৩ দাবি ইসলামের অবমাননার মধ্য দিয়ে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের উস্কানি সৃষ্টির সব রকম উপায় বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ইসলাম অবমাননার যে কোন রকম অপতৎপরতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। এ লক্ষ্যে আল্লাহ, রাসুল (সা.), কোরআন ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচাররোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে ১০০ বছর পিছিয়ে যাবার যুক্তি আবারও সেই একই কথা।

নাস্তিকতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের একটা আদর্শ। তাই তাদের এই দাবিও মানা যাবে না। তাই এটা মানলেও দেশ ১০০ বছর পিছায়া গেল মানে ১৭০০ সালে চলে যাবে হেফাজতের নাম্বার ৪ দাবি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আল্রাহ-বিশ্বাসী ও রাসুল (সা.) প্রেমিক ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। সে কারণে আল্লাহ-রাসুলের সম্মানহানির চলমান জঘন্য প্রয়াসের বিরুদ্ধে দাবি ও প্রতিবাদ নিয়ে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তাওহিদী জনতার ওপর সব রকম হামলা-মামলা, দমন-নিপীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে। চলমান আন্দোলনে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারপক্ষীয় সন্ত্রাসী দুষ্কৃতকারী কর্তৃক গুলিবর্ষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন ও হত্যাকান্ডের কঠোর বিচার করতে হবে ১০০ বছর পিছিয়ে যাবার যুক্তি আল্লাহ্‌ বিশ্বাসীদের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন করা যাবে না।

আলেম এবং মাদ্রাসা ছাত্রদের উপরে আগেও হামলা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হামলা হবে। তাই এটাও মানা যাবে না। তাদের উপরে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কোন বিচার হবে না। এই দাবিও মানলে বাংলাদেশ ১০০ বছর পিছায়া গেল মানে ১৬০০ সালে চলে যাবে হেফাজতের নাম্বার ৫ দাবি ধর্মীয় অধিকার রক্ষার চেস্টার কারণে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের রাষ্ট্রীয় আয়োজনে কষ্ট দেয়ার সব নিন্দনীয় চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। সে কারণেই ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলন-বিক্ষোভে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তাওহিদী জনতাকে মুক্তি দিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে ১০০ বছর পিছিয়ে যাবার যুক্তি ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের উপরে অত্যাচার হবেই।

কোন মাদ্রাসার আলেমকে মুক্তি দেওয়া চলবে না। তাদের বিরুদ্ধে কোন মিথ্যা মামলাও প্রতাহার করা যাবে না। এটা মানলেও দেশ ১০০ বছর পিছায়া গেল মানে ১৫০০ সালে চলে গেল হেফাজতের নাম্বার ৬ দাবি পৃথিবীর কোন মসজিদেই নামাজ, ইবাদত, দোয়া করতে কোন রকম বাঁধা দেয়া হয় না। মুসলিমপ্রধান দেশে তো এমন প্রতিবন্ধকতার কথা কল্পনাও করা যায় না। অথচ এদেশের জাতীয় মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায়ে সরকারি উদ্যোগে বিধি-নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে।

এ প্রেক্ষাপটে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সব মসজিদে নামাজসহ ইবাদত, আমল, ওয়াজ নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপের ক্ষেত্রে সব ধরনের বাঁধা প্রদানের চেষ্টা বন্ধ করতে হবে ১০০ বছর পিছিয়ে যাবার যুক্তি বাইতুল মোকাররমের উপরে বিধি-নিষেধ থাকবে। সব মসজিদে নামাজসহ ইবাদত, আমল, ওয়াজ নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপের ক্ষেত্রে সব ধরনের বাঁধা প্রদানের চেষ্টা করা হবে। এইদাবিও মানলে দেশ ১০০ বছর মানে ১৪০০ সালে চলে যাবে হেফাজতের নাম্বার ৭ দাবি মুসলমানদের জন্য তাদের নিজস্ব মূল্যবোঁধ-সংস্কৃতিই অনুসরণীয়। অপসংস্কৃতিতে একাত্ম হওয়ার সুযোগ তাদের নেই।

তাই ব্যক্তি ও বাক স্বাধীনতার নামে সব ধরনের ধর্মদ্রোহ, চিন্তা ও আচরণগত অনাচার, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, নারী-পুরুষের অবাঁধ মেলামেশা, ব্যভিচার, জাতীয় পর্যায়ে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালানোসহ অপসংস্কৃতি, বিজাতীয় ও ভিন্নধর্মীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে ১০০ বছর পিছিয়ে যাবার যুক্তি ধর্মদ্রোহী চিন্তা,বেহায়াপানা,নারীপুরুষের অবাধ মেলামেশ(সেক্সি কন্যা লাকির মত),ব্যভিচার ইত্যাদিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে এবং যারা এইসমস্ত কাজ করবে তাদের পুরস্কার দেবে আওয়ামী লীগ। হিন্দুদের মঙ্গলপ্রদীপ সংস্কৃতি এবং ইসলাম ধর্মে জোর করেই ঢুকিয়ে ছাড়বে আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগ এই দাবিও মানবে না। এইটা মানলে দেশ আরও ১০০ বছর মানে ১৩০০ সালে চলে যাবে হেফাজতের নাম্বার ৮ দাবি খতমে নবুওয়াতের আদর্শে ছুরিকাঘাতকারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে সব সময় ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসলামের বিনাশকামী শক্তির মিত্র হিসেবে প্রকাশ্যে ও গোপনে সক্রিয় থাকা। ইসলামবিনাশী কর্মকান্ড থেকে তাদের রুখে দেয়ার প্রয়োজনে অবিলম্বে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।

বন্ধ করতে হবে তাদের ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা এবং নিষিদ্ধ করতে হবে তাদের সব প্রচারণা ও প্রকাশনা। একই সঙ্গে বন্ধ করতে হবে তাদের জন্য ইসলাম ধর্মীয় পরিভাষার ব্যবহার। আর সর্বাত্মকভাবে তাদের পণ্য (প্রাণ, আরএফএল, সিজান) বর্জন করতে হবে ১০০ বছর পিছিয়ে যাবার যুক্তি এইটাও মানা যাইবে না। এইটা মানলে দেশ আরও ১০০ বছর মানে ১২০০ সালে চলে যাবে হেফাজতের নাম্বার ৯ দাবি এই দেশে বাছ-বিচারহীনভাবে পৌত্তলিক সংস্কৃতি অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। এজন্যই মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটির ক্যাম্পাসে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে ১০০ বছর পিছিয়ে যাবার যুক্তি মসজিদের নগরী ঢাকাকে মন্দিরের নগরী বানাতেই চেস্টা করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

এইটাও কেউ রুখতে পারবো না। এইটা মানলে দেশ আরও ১০০ বছর মানে ১১০০ সালে চলে যাবে হেফাজতের নাম্বার ১০ দাবি এই মহাসমাবেশ এদেশের সব আইন ও নীতির ক্ষেত্রে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থান পরিহারের জোরালো আহ্বান রাখছে। এ কারণেই ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও ইসলাম বিরোধী নারীনীতি বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে ঘোষণা করছে যে, শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষাকে বাঁধ্যতামূলক করতে হবে ১০০ বছর পিছিয়ে যাবার যুক্তি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক আইন প্রনয়ন করা হবে,ইসলাম বিরোধী নারীনিতি বাস্তবায়ন করা হবে,মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যন্ত ইসলামকে বাধ্যতামূলক করা যাবে না। এইটা মানলেও দেশ ১০০ বছর পিছায়া যাবে মানে ১০০০ সালে চলে যাবে হেফাজতের নাম্বার ১১ দাবি এদেশের স্বাধীন ও খালিছ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র কওমি মাদরাসাগুলোকে স্বাধীনভাবে দ্বীনী খেদমত করে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

তাই সারাদেশের কওমি মাদরাসার ছাত্র, শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম খতিবকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদান বন্ধ করাসহ তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে ১০০ বছর পিছিয়ে যাবার যুক্তি কউমি মাদ্রাসাগুলোকে স্বাধীনভাবে দীনি খেদমত করতে দেওয়া যাবে না। সারা দেশে কউমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের ভয়ভীতি এবং হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ এও তাদের এ ধরনের হুমকি ধামকি দেওয়া হবে। এই দাবি তাই কোনভাবে মানে যায় না। এই দাবি মানলেও দেশ ১০০ বছর মানে ৯০০ সালে চলে যাবে হেফাজতের নাম্বার ১২ দাবি এই সমাবেশ কঠোরভাবে ইসলামের প্রতীক এবং ইসলামের চিহ্ন ও চরিত্র নিয়ে বিদ্রুপ ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার সব রকম তৎপরতার নিন্দা করছে। একই সঙ্গে ঘোষণা করছে যে, রেডিও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে ১০০ বছর পিছিয়ে যাবার যুক্তি ইস্লামি সিম্বল নিয়ে হাসাহাসি করা হবে,দাড়ি টুপিকে খারাপ ভাবে দেখানো হবে,হুজুরদেরকেই নাটক সিনেমার খল চরিত্র দেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগ এটাই বিশ্বাস করে। তাই এটাও আওয়ামী লীগ মানবে না। এটা মানলেও দেশ ১০০ বছর আই মিন ৮০০ সালে চলে যাবে হেফাজতের নাম্বার ১২ দাবি মুসলিম প্রধান এই দেশে সব রকম ষড়যন্ত্রমূলক ধর্মান্তরকরণ ও মিশনারি তৎপরতা, জাতিসত্বা ধ্বংস ও দেশের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনবে। তাই মহাসমাবেশ ঘোষণা করছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত এনজিওগুলোর অপতৎপরতা এবং খ্রিষ্টান মিশনারীদের ধর্মান্তরকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে ৭০০ সালে চলে যাব ১০০ বছর পিছিয়ে যাবার যুক্তি মুসলিম প্রধান এই দেশে মিশনারি তৎপরতা চলবে। পার্বত্য চত্তগ্রাম এ মিশনারি তৎপরতা চলতে আওয়ামী লীগ কোন বাধা দেবে না।

আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে বর্বর ধর্ম ইসলাম থেকে বাংলাদেশকে বাচাতে একমাত্র আম্রিকাই পারবে। তাই তো রাজাকার মুরগী শাহরিয়ার বলে "দেশকে ইসলাম মুক্ত করতে আম্রিকার সাহায্য নিমু" । এই দাবিও মানলে দেশ ১০০ বছর মানে ৬০০ সালে পৌঁছাইয়া যাইবো জাফর ইকবাল আরও বলেন “ব্যভিচারী এরশাদ হেফাজতে ইসলামকে পানি খাইয়েছেন। আর বিএনপির সিনিয়র নেতারা গেছেন মঞ্চে। এই সমাবেশ শেষে তারা শাহবাগে হামলা করেছিলেন।

আমি সেখানে ছিলাম। দেখেছি তরুণদের সাহস। তাদের কাউকে ভয় পেতে দেখিনি। তারা হামলা প্রতিহত করেছে। ” আমিও জাফর স্যার এর সাথে একমত।

সে দিন(৬ এপ্রিল) শাহবাগের বীর তরুনরা কিভাবে হেফাজতের বুড়াদের আক্রমন করেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করলাম। এই বীর তরুণদের পুরস্কৃত করারও দাবি জানালাম এই ছিলো হেফাজতের ১৩ দফা দাবি এবং কিভাবে দেশ ১৩ শত বছর পিছিয়ে যাবে তার যুক্তি। আমি আমার নিজের মত করে যুক্তিগুলো দিলাম। কেউ যদি জাফর স্যার এর ১০০ বছর করে কিভাবে পিছিয়ে যাবে ১ টা দাবি মানলে সেই ব্যাখ্যা যুক্তিপূর্ণভাবে দিতে পারেন তাহলে তার প্রতি অত্যন্ত বাধিত থাকবো। তবে গালাগালি কিংবা বস্তির ছেলেদের মত কমেন্ট করলে তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে আমার ব্লগ থেকে বের করে দেওয়া হবে।

ধন্যবাদ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.