আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশের সুশীল জনগোষ্ঠীর শোক প্রকাশের সৌজন্যতা

রাজিব হায়দার থাবাবাবার মরার পরে তার ফেবু টাইমলাইন ঘুরেছিলাম। লোকজনের সে কী হাউকাউ--আপনি চলে যেতে পারেন না, ফিরে আসুন একটিবার, এ হত্যার প্রতিশোধ নেবই... ইত্যাদি, ইত্যাদি। শাহবাগি আন্দোলনের কর্মী থাবার মৃত্যুতে বাংলাদেশের মিডিয়া হেডলাইন করল, তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া হল, তার হত্যাকারীদের সুলুক-সন্ধান করা হলো। শেষমেশ দিন কয়েকের মাথায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। তিনজন ইমামের চাকরি চলে গেল নর্থ-সাউথ থেকে কারণ এই ছেলেগুলো নর্থ-সাউথের নামাযের রুমে কথা বলেছিল! ইমাম সাহেবদের কত বড় অন্যায়, তারা তাড়িয়ে দেননি নামায শেষেই।

আজ রেহান আহসানের টাইমলাইন ঘুরে আসলাম। খুব সাধারণ কয়েকটি পোস্ট। রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী কী খাবার পছন্দ করতেন তার একটা ছবি শেয়ার করা। যে ছেলেগুলো তার জানাজা পড়েছে তারাও কোন বাণী দিয়ে যায়নি ছেলেটার ওয়ালে। হেডলাইন দূরে কথা সে যে মারা গেছে এটাও অনেক প্রগতিশীল পত্রিকাতে আসেনি।

তাকে কে মারল, কেন মারল সেসব প্রশ্ন তোলা তো দূরের কথা। সেও কিন্তু একটা আন্দোলনের কর্মী। সেও একটা দাবীকে ন্যায্য মনে করে রাস্তায় নেমেছিল--তাকে কেউ ফুসলিয়ে নিয়ে যায়নি। সে দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ছাত্র ছিল, তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশের সৌজন্যতা এ দেশের সুশীল জনগোষ্ঠীর হয়নি। আমরা মনে প্রাণে কামনা করি আমাদের এই ভাইটাকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করে নিয়েছেন।

দুনিয়াতে তাকে নিয়ে একটাও কথা না হোক--জান্নাতে যেন তাকে ঘিরে উৎসব পড়ে যায়। - সংগৃহিত। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.