আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আদালতে কাঁদলেন ফেলানীর বাবা

নিজের মেয়ের মৃত্যুর সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলা থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে সোনারিতে ১৮১ নং বিএসএফ-এর কেন্দ্রীয় ব্যাটেলিয়নের বিশেষ আদালতে বিচার ট্রাইব্যুনাল  বসে। বেলা ১১টা নাগাদ শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব।

সমর্থিত সূত্রে খবর, নিজের ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানীর মৃত্যুর প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে এদিন সাক্ষ্য দিতে ওঠেন ফেলানীর বাবা। সেদিনকার ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে নিজেকে সামলাতে পারেননি নুরুল ইসলাম।

একসময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই সজোরে কেঁদে ওঠেন। এরপরই বিএসএফ-এর কর্মকর্তারা তাকে সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করেন। একসময় বিশেষে আদালতের পাশেই অন্য একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় ফেলানীর বাবাকে।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে নিহত হওয়া বংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুনের হত্যার বিচারের জন্য গঠিত  বিএসএফ-এর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দেওয়ার জন্য গতকাল রোববার বিকেলের দিকেই ভারতে এসে পৌঁছান নিহত ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মামা আব্দুল হানিফসহ বিজিবি'র আধিকারিক তথা কুড়িগ্রামের ৪৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জিয়াউল হক খালেদ, কুড়িগ্রাম জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী আব্রাহাম লিংকন।

এদিকে, সাক্ষ্য প্রমাণকে ঘিরে সোনারিতে ১৮১ নং বিএসএফ-এর কেন্দ্রীয় ব্যাটেলিয়নের বিশেষ আদালতের বাইরে চলছে কঠোর নিরাপত্তা।

গণমাধ্যমের কর্মীদের পাশাপাশি আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের ওপরও নিষেধাজ্ঞা বজায় আছে।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার সীমান্তে ফেলানী খাতুন নামে ১৫ বছরের এক বংলাদেশী কিশোরী ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রবেশের পথে বিএসএফ-এর গুলিতে মারা যায়। বিএসএফ-এর গুলিতে মারা যাওয়া ফেলানির দেহ কাঁটাতারের বেড়ার ওপরে কয়েক ঘণ্টা ঝুলে থাকে। ঝুলে থাকা দেহের ছবি সেই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলিতে ফলাও করে ছাপা হলে দেশবিদেশে মানবাধিকার সংস্থাগুলি এর তীব্র সমালোচনা করে। বাংলাদেশ সরকারও তীব্র ভাষায় এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায়।

অবশেষে দীর্ঘ আড়াই বছর গত ১৩ আগস্ট অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ফেলানী হত্যা ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিচারের প্রথমদিনেই অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ান অমিয় ঘোষের জবানবন্দী নেওয়া হয়।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.