আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আদালতে মামুন

মামলা দায়ের থেকে শুরু করে পুরো বিচার প্রক্রিয়াতেই অনুপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে  তারেক। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।
তার অনুপস্থিতিতেই ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন রোববার এ মামলার রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছেন।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মামুনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে বিচারকক্ষে আইনজীবীদর আসনে বসানো হয়।


অফ হোয়াইট সুতির শার্টে মামুনকে এ সময় চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে দেখা যায়।
তার আইনজীবী মো. জাহেদুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম লিটনও আদালতে উপস্থিত রয়েছেন।  
ফাইল ছবি তারেক ও তার বন্ধু মামুনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৬ জুলাই এই মামলার বিচার শুরু হয়। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর। গত বছরের জুলাই মাসে অভিযোগপত্র আদালতে দেয়া হয়।


ফাইল ছবি
চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর বাদি ও আসামি পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষের পর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়, যা শেষ হয় বৃহস্পতিবার।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন।
সিঙ্গাপুরে লেনদেনের পর সেখানকার সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসাবে জমা রাখা এই অর্থের মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক খরচ করেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল মামলার শুনানিতে বলেন, “তারেকের সঙ্গে বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে মামুন অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বাংলাদেশের ব্যাংককে ফাঁকি দিয়ে অর্থ পাচার করে দেন। ”
২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পন্থায় ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।


ওই সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, মা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তখন হাওয়া ভবন ‘খুলে লুটপাট’ চালিয়েছিল তারেক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বনানীর নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানির মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে মামুন ওই অর্থ নিয়েছিলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারেকের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা হলেও এই প্রথম কোনো মামলার নিষ্পত্তি হতে যাচ্ছে।
জরুরি অবস্থা জারির পর ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পরের বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যান।
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তখন থেকে সেখানেই রয়েছেন তারেক। সম্প্রতি সেখানে দলীয় কয়েকটি অনুষ্ঠানেও তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.