আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কক্সবাজার ভ্রমন কিছু অম্ল মধুর অভিজ্ঞতা এবং কিছু মাগনা টিপস্ পার্ট ২

শুধু মাত্র জীবিত মানুষ মৃত্যুবরন করতে পারে ।
কক্সবাজার ভ্রমন কিছু অম্ল মধুর অভিজ্ঞতা এবং কিছু মাগনা টিপস্ পার্ট ১ পীক সীজেনে কক্সবাজারে সময় মতো হোটেলের সীট বুকিং না দিলে যে ঝামেলা পোহাতে হয় তার হাতে কলমে প্রেকটিক্যাল করার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিলাম । কিন্তু সেই প্রস্তুতি যে যথেস্ট ছিলোনা সেটা জানান দিতে শুরুহলো কাচমিঠা বৃষ্টি এদিকে ভাগ্য ভালো আধাঘন্টার মধ্য সেটা চলে যাওয়ায় ভাবলাম যাই আরেক বার বীচে যাই !! রাত একটার উপরে বাজে কিন্তু বীচে মানুষের কমতি নেই আর এই সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটকদের মনের পিপাসা মিটানোর জন্য সাহরও জেনো তার সব রাতের সুন্দর্য এক করে দিচ্ছিলো ঠান্ডা নির্মল হাওয়ার মনটা উদাস হয়ে যাচ্ছিলো বার বার । সাগরের পানিতো অন্য সব সময়ের চেয়ে আজ যেনো অনেক বেশি ফসফরাসের খেলা । কোন আলো নাই তার পরেও ডেউ গুলো ঠিকই দেখা যাচ্ছিলো ।

চলে যাওয়া ডেউগুলো মৃদু আলোর আভা রেখে যাচ্ছিলো বালির বুকে । অনেক কে দেখলাম এই সৌন্দর্য সহ্য করতে না পেরে প্রিয়জনের হাত ধরে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে !! কিন্তু এই দেখার যেনো শেষ নাই। একটা বীচ তাকিয়া দখল করে বসলাম এমন সময় আসলো আলাপ জমানোর চেষ্টা দেখতে পেলাম । যেনো আজ ই সব সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং আমার কাছে তার চাবিকাঠি আছে কিছু না বলে মুখটা একবার সাগরের দিকে ফিরিয়ে দিলাম ..... যাস্ট থ...। আমাকে আর কিছু বলতে হয়নি আর কিছু শুনতেও হয়নি।

দেড়ি করে ঘুমিয়েছিলাম তার উপরে ছিলো দীর্ঘ ভ্রমন জনিতো ক্লান্তি তাই ঘুম থেকে উঠতে কিছুটা দেরি হয়ে গেলো কিন্তু ঝুপঝাপ করে সাগরে ঝাপিয়ে পড়তেই দিনটা অন্য রকম হয়ে গেলো। এদিকে স্পিড বোটের ঝপাং ঝপাং দেখে সবাই উৎসাহী হওয়াতে সেটাও যোগার করা হলো কিন্তু উঠে বসতেই অনেকের মুখ চোখ শুকিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পেলাম । সেখান থেকে নেমে আরও কিছুক্ষন দাপাদাপীর পর মনে হলো এবার উঠাযাক । কিন্তু যাক বলার পরেও আধাঘন্টা পরে যখন বা বাস্তবায়ন করতে পালাম তখন কারো আর সড়ার শক্তি নাই । মিঠা পানিতে আরেক বার গুসলের পর যখন রেস্টুরেন্টে পৌছলাম সবার কথা জানিনা নিজেকে আমার রাক্ষস মনে হলো ।

গোটা দুয়েক িডম আর সবজির সাথে গোটা ছয়েক পরটার একটা গতি করে যখন কফির কাফটা হাতে নিলাম তখন মনে হলো জীবন টা খারাপনা । ড্রাইভার সামছু ফুয়েলিং করে গাড়িটাকে একটা ফর্মে আনার ফাকে মিডিয়াতে একটা রুমের বুকিং দেয়া গেলো । সাথে কিছু শুকনা খাবার নিয়ে যখন ইনানী বীচের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ততক্ষনে ঘড়ি এগারোটা বাজার সাক্ষী দিচ্ছিলো । ইনানী বীচ আরও সুন্দর একটা বিচ । তবে যদি আপনার সাথে গাড়ি থাকে তবে পরামর্শ দিবো মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে যাবার সময় জায় গায় জায়গায় থেমে থেমে যান ।

কোথায় থামবেন? আপনার পথই আপনাকে জানিয়ে দিবে দাড়াও পথিক !! বীচের বর্ননা দিয়ে আর কলেবর বৃদ্ধি করবোনা কেবল এটুকু জানাবো ফিরার পথে ঝোপের মধ্য দিয়ে হাটার সময় সাবাই সাথে করে অন্ততো একটি করে জোক নিয়ে গাড়িতে উঠে ছিলাম । এবং ফেরার পথে আরেক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে মানতে যেয়ে চলন্ত গাড়িথেকে পড়ে এক বন্ধু বেশ ভালো আহতো হল । ভাগ্য বালো ঐসময় বিপরীত দিক থেকে কোন গাড়ি ছিলোনা তাকে যখন গাড়িতে তুললাম তখন রক্তে কাপড় মাখামাখি কিন্তু বোকাটার মুখে বোকা বোকা হাসি । রাগে পিত্তি জ্বলে যাচ্ছিলো যাহোক কোন রকমে হালকা চিকিৎসা দিয়ে সেই গাড়িতে করেই দিনে দিনে ঢাকা পাঠিয়ে দিলাম। আমরা কিন্তু শেষ পর্যন্ত মজা করেছিলাম তবে কতটা সেদিন ভয়ংকর বিপদ থেকে বেঁচে এসেছি ভাবলে গায়ে কাটা দ্যায়।

১.কক্সবাজারের লেনা পানি বেশ কড়া তাই পানিতে নামার আগে হাত পায়ের তালু এবং মুখে ভেসলিন কিম্বা প্রটেকশন ক্রিম লাগাতে ভূলবেন না। ২. পানিতে নামার আগে পকেটে ভূলেও কিছু রাখবেন না টাকা বা কাগজ । কারন এগুলো ভিজবেনা বরং গায়েব হয়ে যাবে । ৩. জলকেলির ছবি তুলার জন্য আপনার ক্যামেরা নিয়ে কেন রিস্ক নিবেন ? নোনা পানিতে নস্ট হতে পারে! তার চাইতে বীচ পাড়ে প্রচুর ছবি তুলিয়ে আছে। এরা কোমর পানিতে নেমে আপনার ছবি তুলে দিতে সিদ্ধ হস্ত এবং আপনার হোটেলে ছবি নিয়ে পৌছে দিবে ।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।